২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / দুপুর ২:১৩/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ২:১৩ অপরাহ্ণ

মহুয়ায় লালন সাঁইজির ১২৮তম প্রয়াণদিবস পালিত

     

সাঁইজির অমৃতবাণী মানুষকে মানবতার পথ দেখায়

মরমী সাধক লালন সাঁইজির ১২৮তম প্রয়াণবার্ষিকী উপলক্ষে মহুয়া লালন গবেষণা কেন্দ্র চট্টগ্রামের এর উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ১৭ অক্টোবর ২০১৮ইং বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর ফিরিঙ্গিবাজারস্থ এক রেস্টুরেন্টে মহুয়ার সভাপতি প্রাবন্ধিক এ কে এম আবু ইউসুফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সংগঠক ভাস্কর ডি কে দাশ মামুন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন অধ্যাপক দিদারুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার নুর হোসেন, ইতিহাস গবেষক সোহেল মো. ফখরুদ-দীন, মোহাম্মদ আবদুর রহিম, সৈয়দ শিবলী ছাদেক কফিল, অনুতোষ দত্ত বাবু, লায়ন বরুণ কুমার, ডা. লিটন আচার্য, অমর কান্তি নাথ, সুজন বড়ুয়া, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, মোহাম্মদ নুরুল আলম, কবি মহিউদ্দিন প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেছেন, বাউলের জন্ম দ্রোহ থেকে। লালন জীবনভর বর্ণ-শোষণ, জাত-পাত ও অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও সংগ্রাম করে এসেছেন। তাঁর দর্শন, বর্ণ-শোষণ ও জাতপাতের বিরুদ্ধে মানুষ সত্যের উদারতার মানবিকতার দর্শন। তাঁর গান রূপক প্রতীকের আড়ালে প্রবল প্রতিবাদের গান প্রচলিত আচার-প্রথা-বিশ্বাসকে চূর্ণ করা নবজীবনের গান। বিশ্বাসের বদলে যুক্তি, প্রথার শাসন থেকে মুক্তি, সংস্কার-আচারকে মুক্তবুদ্ধি প্রতিস্থাপনÑবাউলের জীবনচেতনার মূল কথা। বক্তারা আরো বলেছেন, শুভবুদ্ধি ও কল্যাণ চেতনায় অভিষিক্ত হয়ে প্রথা-শাস্ত্রকে আঘাত করার সামাজিক শক্তি অর্জনের প্রয়াসী ছিলেন লালন। বিশুদ্ধ মানবিক গুণে ঋদ্ধ লালনের জীবন ও সাধনায় এই বাউল চেতনার পূর্ণ প্রকাশ লক্ষ করা যায়। তাই বাউল সাধনার উৎস ও ধারা বিশ্লেষণ করে লালনকে মরমী ও দ্রোহী এই পরিপূরক চেতনার সমন্বিত রূপ বৈশিষ্ট্যের আলোকে চিনতে পারলেই তাঁর স্বরূপ স্পষ্ট হয়ে ধরা দেবে। সভায় বক্তারা আরো বলেছেন, লালন সাঁইজির অমৃতবাণী মানুষকে মানবতার পথ দেখাবে যুগে যুগে। তাই প্রজন্মের পর প্রজন্ম লালনের এই ভাবাদর্শের শিক্ষায় শিক্ষিত হলে সমাজ কলুষিত থেকে মুক্ত হতে পারবে। সভায় চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি ইতিহাস গবেষক সোহেল মো. ফখরুদ-দীনকে মহুয়া লালন গবেষণা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বিশেষ স্মারক সম্মামনা ও সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply