২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / রাত ৮:১১/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ৮:১১ অপরাহ্ণ

আংশিক কমিটি দিয়েই মেয়াদ পার করল দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ

     

দীর্ঘদিন কমিটি না থাকার পর গত বছরের ১৫ অক্টোবর এক বছরের জন্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের ৫১ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। পূর্ণাঙ্গ না করেই গতকাল ১৫ অক্টোবর এক বছর পার করে মেয়াদউত্তীর্ণ করেছে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ।
কমিটি ঘোষণার পর পর পদ বঞ্চিতরা আন্দোলন, বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে পকেট কমিটি বাতিলের দাবী জানান। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বঞ্চিতদের মূল্যায়ন করবে বলে আশ্বস্থ করেন এবং নির্বাচনকে সামনে রেখে অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে আন্দোলন স্থগিত করান। বঞ্চিতদের অভিযোগ টাকার বিনিময়ে, ছাত্রসেনা, অছাত্র, বিবাহিতদের কমিটিতে পদ দেয়া হয়েছে।
এরই মধ্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সম্মেলন হয়। সম্মেলনের পূর্বেও জেলা ছাত্রলীগের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার কথা বলেও করে নি। ফলে দিন দিন পদ বঞ্চিতদের ক্ষোভ বাড়তে থাকে। জেলা ছাত্রলীগ কমিটি হওয়ার পর থেকে সমন্বয়হীনতা, কমিটি বাণিজ্য ও অযোগ্য নেত্বত্বের কারণে গ্রুপ-উপ গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এক বছরের মধ্যে একটিও কার্য্যকরি সভা করতে পারিনি বলে অভিযোগ করেন জেলা ছাত্রলীগের এক আংশের নেতৃবৃন্দ। তাছাড়া কয়েকটি পদ নিয়ে রয়েয়ে টানাটানি। যারফলে ৫১ সদস্যের কমিটি এখন ৬১ জনে দাড়িয়েছে। এক বছরের মধ্যে শুধুমাত্র একটি উপজেলা (সাতকানিয়া) কমিটি করতে পেরেছে জেলা ছাত্রলীগ। সেখানেও কমিটি বাণিজ্য ও তৃণমূলদের বঞ্চিত করার অভিযোগ তুলেছেন জেলা ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত একাংশ। সেই একাংশের নেতা জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মিজানুর রহমান, সহ -সভাপতি তওহিদুল ইসলাম জেকী, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন ও যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক বদরুদ্দোজার স্বাক্ষরে সাতকানিয়াতে পাল্টা কমিটি দেয়। দক্ষিণ জেলা কমিটি ঘোষণার পর থেকেই পদ বঞ্চিতদের মূল্যায়নের দাবী জানিয়ে আসছেন পদ বঞ্চিত ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ। পদ বঞ্চিতরাও এক বছর ধরে আলাদা কর্মসূচি পালন করে আসছেন। এরই মধ্যে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম বোরহানের সাথে পদ বঞ্চিত নেতৃবৃন্দের সাথে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। মেয়াদান্তে বঞ্চিতদের মুল্যায়ন না করায় ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেন তারা। এ ব্যাপারে পদ বঞ্চিত ছাত্রলীগ নেতা এম. মনজুর আলম বলেন সামনে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা যাতে কোন রকম অপ্রীতিকর কোন ঘটনা না ঘটে এবং নেতৃবৃন্দের আশ্বাসে আমাদের কর্মসূচি স্থগিত করেছিলাম। এখন যেহেতু কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে এবং তারা সম্পূর্ণরুপে সাংগঠিনিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে সেজন্য আমরা তৃণমূল ছাত্রলীগ কর্মীদের মূল্যায়নের জন্য দ্রুত সম্মেলনের দাবী জানাচ্ছি।
জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস. এম বোরহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন- বোরহানের বিরুদ্ধে আমরা কেন্দ্রে অভিযোগ দিয়েছি সে অতীতে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপ্র প্রচার করত এবং সে ছাত্রসেনার একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাক্তি। আমরা কমিটি ঘোষণার পর পর তার পদ ত্যাগ দাবী করেছিলাম ও এখনো করছি। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দরা বলেন এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটে কমিটি পূর্ণাঙ্গ না করেই মেয়াদউত্তীর্ণ করাটা দুঃখ জনক। তাছাড়া নির্বাচনের পূর্বে দক্ষিণের মত উল্লেখ যোগ্য জেলায় এমন গ্রুপিং জাতীয় নির্বাচনের প্রভাব পড়তে পারে বলে মন্তব্য করেন তারা। জেলা ছাত্রলীগের পদ বঞ্চিত নেতৃবৃন্দরা বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নিজ হাতে করা বর্তমান ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে দাবী জানাচ্ছি জেলা ছাত্রলীগের দ্রুত সম্মেলনের মাধ্যমে তৃণমূল ছাত্রলীগদের মূল্যায়নে করার জন্য।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply