১৭ এপ্রিল ২০২৪ / ৪ঠা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ১:০৭/ বুধবার
এপ্রিল ১৭, ২০২৪ ১:০৭ পূর্বাহ্ণ

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবলের ফাইনাল আজ

     

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আজ ফাইনাল খেলতে চেয়েছিল বাংলাদেশ। নিজের দেশে ২০১৫ আসরে ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ। এবার পঞ্চম আসরে এসে দর্শক আসনে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। আজ যদি বাংলাদেশ ফাইনালে উঠত তাহলে স্টেডিয়ামে তিল ধারণের জায়গা থাকত না। তারপরও ফুটবলের এমন অনেক দর্শক আছেন যারা মাঠে যাবেন ফিলিস্তিন এবং তাজিকিস্তান ফাইনাল দেখতে।
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের খেলা সিলেটে গ্রুপ পর্ব এবং কক্সবাজারে দুটি সেমিফাইনাল হয়েছে। ঢাকায় খেলা হয়নি। এই দর্শকদের আক্ষেপ আছে। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের পর বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ চলে গেল রাজধানীর বাইরে। তাজিকিস্তান এবং ফিলিস্তিনের ফাইনালটা গায়ে মাখতে চান সেই সব দর্শক। উপভোগ করতে চান লড়াই।
ঢাকার বঞ্চিত দর্শকদের একটা ময়দানী লড়াই উপহার দিতে চান তাজিকিস্তান ও ফিলিস্তিন। দুই দেশ বেশ মুখিয়ে আছে ট্রফি নিয়ে যাওয়ার জন্য। দুই দেশের একাধিক ফুটবলারকে দেখা গেছে গ্রুপ পর্বের খেলার সময় মাঠে রাখা সোনালী ট্রফির সঙ্গে ছবি তুলতে। কিন্তু উল্লাস করে ছবি তুলেননি। তারা বলছিলেন চ্যাম্পিয়ন হয়েই ট্রফি হাতে উল্লাস করতে চান।
সেই দুই দলই ফাইনালে এলো যারা ‘এ’ গ্রুপেই পরস্পরের মুখোমুুখি হয়েছিল। সিলেটে অনুষ্ঠিত সেই খেলায় ফিলিস্তিন ২-০ গোলে তাজিকিস্তানকে হারিয়েছিল। এই দুই দল আজ সাড়ে ৫টায় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ফাইনালে মুখোমুখি হবে। তাজিকিস্তান হারলেও তারা বলছে সেই খেলা আজকের ফাইনাল, এক ফ্রেমে মাপলে ঠিক হবে না। ফিলিস্তিনও বলছে সেই খেলায় জিতলেও আজকের ফাইনালের সঙ্গে পেছনের খেলার সঙ্গে মিল নেই। এটি ভিন্ন খেলা।
তাজিকিস্তান মনে করছেন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম তাদের জন্য সৌভাগ্যের মাঠ। ২০০৬ সালে প্রথম এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ ফুটবলে তাজিকিস্তান চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। আবার সেই মাঠে তাজিকিস্তান ফাইনাল খেলছে আরেকটি আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টে। তাজিকরা মনে করছে ভাগ্য তাদের পক্ষেই থাকবে। গতকাল তাজিক কোচ তুখতায়েব আলীসের জানিয়েছেন সেই ২০০৬ সালের ইতিহাসের পর আরেকটি ইতিহাস হতে পারে আজ। তবে এটা ভাবতে হবে ফাইনালে কোনো দলই দুর্বল নয়।’
কক্সবাজার থেকে একদিন আগেই ঢাকায় এসেছে তাকিজিস্তান। বিশ্রামটা বেশি পেয়েছে তাজিক দল। ততটা পায়নি ফিলিস্তিন। পরশু দ্বিতীয় সেমিফাইনাল খেলে গতকাল সকালে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা থাকলেও দেরি হয়েছে। বিকালে পৌঁছে ফিলিস্তিন ফুটবল দল অনুশীলন করতে করতেও পারেনি। দলের আলজেরিয়ান কোচ নুরুদ্দিন জানিয়েছেন, তারা জিম করে রুমে যাবেন। বিশ্রামটা পর্যাপ্ত হয়নি। তা নিয়েও আক্ষেপ নেই কোচের। তিনি বলছেন ক্লান্তি কাটিয়ে নেয়ার মতো তার খেলোয়াড়দের সেই সামর্থ্য আছে। তাজিকিস্তান ভালো দল। তারা আমাদের চেয়ে বেশি সময় পেয়েছে। আর আমরা যদি বিশ্রামের জন্য একঘণ্টা বেশিও পাই তাহলে আমরা ভালো খেলতে পারব। এই খেলোয়াড়রা ইচ্ছা করলেই জিততে পারে।
এই কোচ সেমিফাইনালে বাংলাদশকে হারিয়ে বলেছিলেন বাংলাদেশ ভালো খেলেছে তাদের দুর্ভাগ্য গোল পায়নি। কাল ফাইনালের আগে সুর বদলেছেন আলজেরিয়ায় জন্ম নেয়া ফিলিস্তিনের কোচ নুরুদ্দিন। এখন তিনি বলছেন, ‘আমরা বাংলাদেশের চেয়ে ভালো খেলেছি। কারণ ট্যাকটিকেল, ফিজিক্যাল এবং স্পিরিডে আমাদের ফিলিলিস্তিন ফুটবলাররা এগিয়ে ছিল।’ নিজেদের ঘরের টুর্নামেন্ট আল নাগবা ফুটবল টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ফিলিস্তিন।
তাজিকিস্তান এবং ফিলিস্তিন চারবার মুখোমুখি হয়েছে। ২ বার ড্র, একবার জিতেছে ফিলিস্তিন, সেটা এবার সিলেটের মাঠে।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply