২০ এপ্রিল ২০২৪ / ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ৩:৫২/ শনিবার
এপ্রিল ২০, ২০২৪ ৩:৫২ পূর্বাহ্ণ

দাউদকান্দিতে মাদরাসার ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় শিক্ষক জেলহাজতে॥ পরিবারের দাবি ষড়যন্ত্র

     

নিজস্ব প্রতিনিধি
দাউদকান্দিতে মাদরাসার ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় শিক্ষক জেলহাজতে॥ পরিবারের দাবি ষড়যন্ত্র।উপজেলার গৌরীপুরের স্বল্পপেন্নাই জান্নাতুল ফেরদাউস মহিলা মাদরসার ১ম শ্রেণির ছাত্রী ছদ্ম নামতনু (৭) ওই মাদরসার শিক্ষক মো. এনামুলহক (৩৫) কর্তৃক ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে প্রথমে আটক ও মামলার পরে কুমিল্লা জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
জানাযায়,কিশোরগঞ্জেরমিঠামইনউপজেলারপাথারকান্দিগ্রামেরফরজআলীর ছেলে মো.এনামুলহক দীর্ঘদিনধরে দাউদকান্দিরবিভিন্নমসজিদ ও মাদরসায়চাকুরিকরেন।পরেতিনি গত দুইবছর পূর্বে গৌরীপুরবাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন স্বল্পপেন্নাইয়েজান্নাতুল ফেরদাউসমহিলামা দরসানামেএকটিপ্রতিষ্ঠানকরেন। ওই মাদরাসায়আবাসিক ও অনাবাসিক সব মিলিয়েপ্রায়দেড়’শছাত্রীরয়েছে।
স্থানীয়আবাসিকছাত্রীতনুরবাবাঅভিযোগকরেন যে, ‘গত ১৯ এপ্রিল মঙ্গলবাররাতেতার মেয়েমাদরাসারকক্ষেঘুমিয়েছিল। এসময় ওই শিক্ষক মেয়েটিকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টাচালায়।এখবর পেয়েআমরাপুলিশেরসহযোগিতা মেয়েটিকেউদ্ধারকরেবাড়িতেনিয়েযাই। এ বিষয়টিশিক্ষকএনামুলহকসকলেরসামনে স্বীকারকরেক্ষমাচায়।কিন্তু আমিমনেকরি, এসবঅসভ্য লোকদেরছাড় দেওয়ামানেঅসংখ্য মেয়েশিশুরভবিষ্যৎনষ্টকরে দেওয়া। এরপরইআমিশিশু ও নারীনির্যাতনআইনেএকটিমামলা দায়েরকরি। যারফলেপুলিশশিক্ষকএনামুলহককেআটককরেপ্রথমে দাউদকান্দি মডেল থানায়এবংপরেকুমিল্লা জেলহাজতে প্রেরণকরেন’।
এনামুলহকেরবাবাফরজআলীবলেন, ‘আমার ৫ ছেলে ও ৪ মেয়ে। তারাসবাই উচ্চ শিক্ষিত। এনামুলএকজনমুফতী। তারদ্বারা এই কাজকখনও সম্ভব নয়। আমার ছেলেরবিরুদ্ধে এই অভিযোগভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’।
এনামুলহকের স্ত্রী তাহমীনা আক্তার বলেন,‘ওইছাত্রীটি বেশকয়েকটিমাদরাসাপাল্টিয়েএখানেএসেপ্রায় ৬ মাসআগেভর্তি হয়। ভর্তি হওয়ার পর থেকেই সে এখান থেকে চলে যেতেযাইছিল। এমনকি মেয়েটিপালিয়েও যেতে চেয়েছেকয়েকবার। মঙ্গলবার রাতে মেয়েটিবাড়িতেযাওয়ারজন্য কান্নাকাটিশুরুকরে। এসময়আমার স্বামী মেয়েটিকেআমাররুমে ডেকে এনেমাথায়হাতবুলিয়েআদরকরেছেমাত্র’।তিনিআরোবলেন, ‘আমারবিয়েহয়েছে ৭ বছর,আমিআমার স্বামীসম্পর্কে জানি। সে একজনমুফতী, তার স্বভাব-চরিত্র খুব ভালো। আমাদের প্রতিষ্ঠানেরসুনামনষ্টকরারজন্যইএকশ্রেণিরমানুষ এই নাটকসাজিয়েছে’।তিনিআরোঅভিযোগকরেন,‘ওই রাতেছাত্রীরপরিবারের লোকজনআমাদের মাদরাসায়এসেআমার স্বামীকে বেধরকমারধরকরেএবংবাসারআসবাবপত্র ভাঙ্গচুর করে। পরেতারাআমার স্বামীকেপুলিশেরহাতেতুলে দেয়। আমরাএরন্যায্য বিচারচাই’।
উপজেলারকানড়া দুর্গাপুরএলাকারএকজননারীনামপ্রকাশনাকরারশর্তেজানান, ‘এই হুজুরআমাদেরমসজিদে ঈমামতিকরতেনএকসময়। ওইসময় সে আমার মেয়ের সঙ্গেও এমনআচরণকরেছে। আমিতখন লজ্জায় কাউকেবিষয়টিবলিনি’। তিনি এই হুজুরেরবিচার দাবিকরেন।
এই এলাকারব্যবসায়ী মোঃশাহআলম, শিক্ষক মোঃনজরুলইসলাম, মাস্টার বেলাল হোসেন, মোঃজাকির হোসেন, মোঃইয়াকুবআলী, মোঃআহসানউল্লাহ, মোঃমাছুমবিল্লাহ, মোঃফয়সালএবংমাদরাসারআবাসিকছাত্রীসানজিদা আক্তার, ইসরাতজাহান ও সোহানা আক্তার প্রমুখ ব্যক্তিরা দাবিকরেন যে, এটিএকটিষড়যন্ত্র। মুফতীএনামুলহকএকজনসৎএবং মেধাবীশিক্ষক। এই প্রতিষ্ঠানেরসফলতা দেখে ঈর্ষাাণি¦তহয়েই এই ঘটনাটিঘটিয়েছেএকদল লোক’।তারামনেকরেন,‘সুষ্ঠুতদন্তহলেইমূলঘটনা বেরহয়েআসবেএবংএনামুলহকনির্দোষহিসেবেখালাশপাবেন।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply