২০ এপ্রিল ২০২৪ / ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৪:২০/ শনিবার
এপ্রিল ২০, ২০২৪ ৪:২০ অপরাহ্ণ

পুলিশের নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলন

     

পতেঙ্গা থানা পুলিশ নিজেদের দোষ,চাকুরী, এবং অপরাধ ঢাকতে অন্য থানা/ওয়ার্ডবাসী কে ধরিয়ে দিয়ে প্রকৃত হত্যাকান্ডের সত্যতা আড়াল করতে চেয়েছেন বলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে নির্যাতিত পরিবার বর্গের সদস্যরা গুরুতর অভিযোগ করেন। ২৬ আগষ্ট রোববার বিকেল ৩টায় ইপিজেড থানাস্থ নির্যাতিত পরিবারের পক্ষে মুকবুল হোসেন সওদাগর,কামাল হোসেন, মোছামৎ জেসমিন বেগম, জাহানারা বেগমসহ আরো অনেক প্রতিবেশী আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনা সূত্র তারা জানান যে, গত ১৬/০৬/২০১৮ইং তারিখে নগরীর ইপিজেড থানাস্থ মহাজন টাওয়ার সংলগ্ন জনৈক সাজু মহাজনের ভাড়াটিয়া নিকটস্থ পতেঙ্গা থানায় অজ্ঞাত নামা ২জন কে আসামী কে এজাহার দাখিল করে রিপন মিত্র নামের এক যুবক । তিনি এজাহারে জানান,তার স্ত্রী চম্পা মিত্র’র সাথে ১৬/০৬/২০১৮ইং তারিখে বিকলে ৫-৬টার মধ্যে বাসায় হঠাৎ হামলা করে কে বা কারা তাদের শিশু কন্যা নিঝুম(০৯ মাস) ঝাপঠে ধরে ছুঁড়ে পেলে বালতির পানিতে ডুবিয়ে মেরে ফেলে।
এই ঘটনা কে কেন্দ্র করে কুচক্রি পুলিশ, তাদের সোর্স ঘটনার এক/দেড় মাস পরে সাজ্জাদ,সাইফুল ও হাবিবকে ধরে নিয়ে গেলে বাদীর স্ত্রী চম্পা মিত্র’র উল্লেখিত সাজ্জাদ,সাইফুল ও হাবিব কিংবা( তাদের সঙ্গী সাথি বা পরিচতি কেউ ঐ ঘটনার সাথে জড়িত নহে বা বাদীর স্ত্রী চম্পা মিত্র আসামী সনাক্ত করতে না পারাই স্থানীয় কয়েজন নেতার জিম্মায় ধৃত সন্দেহভাজন সাজ্জাদ,সাইফুল ও হাবিব পুলিশ ছেড়ে দেন।
ঘটনার ১৫/২০ দিন পরে পুলিশ আবারো সাদা পোষাকে ইপিজেড থানা কে অবগত না করে এবং কোন জনপ্রতিনিধির কথা তোয়াক্কা না করে অভিযানের নামে সন্দেহভাজন সাজ্জাদ,সাইফুল এবং দুদিন পরে আলী আজগর রুবেলও হাবিব কে ৩৯নংয়ার্ডস্থ বিভিন্ন সস্মানিত লোকদের ভাড়াঘরের গ্রিল,দরজা,সীমানা দেয়াল ভেঙ্গে সবার সামনে চরম নির্যাতন করতে করতে পতেঙ্গা থানায় নিয়ে যায়।
এসময় ওসি আবুল কাশেম ভুইয়া,  সোর্স রিয়াজ,সাদেক এর ইশরায় অত্যন্ত গোপনীয়ভাবে অভিনব কায়দায় ৪দিন যাবত তীব্র কষ্ট-যন্ত্র এবং ক্রসফায়ার ভীতি, পিস্তল টেকিয়ে সাজ্জাদ,সাইফুল ,রুবেল কে বিদ্যুতের শর্ট দিয়ে,গরম জ্বল ঢেলে নির্যাতন করেছে এস.আই আব্দুলমোমিন, মোঃ নবী,মীর হোসেন, এস আই(ফোন-আইটি) মনির হোসেন গংরা।
এ ছাড়া বাদী রিপন মিত্র ১৮/৬/২০১৮ইং সকালে থানায় এসে আবারো আসামী সনাক্ততে ধৃতরা কেউ তার আসামী নই বল্লে জানালে পুলিশ বাদী রিপন কে শাসিয়ে থানা থেকে বের করে দেন। অপর স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ হানিফ’এর বাসায় গিয়ে বেদম প্রহার ,ভাঙ্গচুর চালিয়ে হানিফের স্ত্রী, স্মার্ট কার্ডের জন্য ৩৯নং ওয়ার্ডে আসা (গাইবান্দার) আত্মীয় কে থানায় ৩/৪ নির্যাতন করলে একজন মহিলা এস্ট্রোক করে হাসপাতালে ভর্তি হন। এর পরেঐ মহিলা ও তার ভাই কে পুলিশ ছেড়ে দিয়ে চিকিৎসার জন্য পাঠান।
পতেঙ্গা থানা সাদা পোষাকে ইপিজেড থানা কে কোন রূপ অবগত না করে কোন ওয়ারেন্ট ছাড়াই এভাবে ধরা যায় কিনা বলতে এস.আই মোমিন খারাপ ভাষায় বলে স্বামীর সাথে থানায় আস ওয়ারেন্ট পত্র বের করিয়ে দেখাব।এসময় ঐ সাদা পোষাক’পুলিশ পরিচয় দান কারীরা বাসায় আলমিরা ভেঙ্গে ২টি মোবাইল, স্বামীর মানি ব্যাগের টাকা সহ অন্যান্য জিনিষপত্র নিয়ে এখনো ফেরত দেন নি। এ সময় সাদা পোষাক’পুলিশ পিস্তল টেকিয়ে পায়ে গুলি করবে বলে,ক্রস ফায়ারে নিয়ে যাবে হুমকি দিয়ে থানায় আমাদের কে দেখা করতে দেয়নি।
ঘটনার উলেলখ্য যে,৩/৪ দিন পরে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করলে ও বাদ কোন উকিল কিংবা পতেঙ্গা থানা পুলিশ আসামীদের রিমান্ড অন্য আসামীদের ব্যাপারে তথ্য চাওয়া নিয়ে কোন রূপ নেটিশও দাখিল করেনি। আর পুলিশ ৩/৪ দিন থানা ক্রসফায়ার ভীতি, পিস্তল টেকিয়ে তাদের শিখিয়ে দেওয়া বয়ান বিজ্ঞ কোর্টে(১৬৪)ধারায় জবান/কথা বলতে অনেকটাই বাধ্য করেছেন বলে আমাদের জানান।
সংবাদ সম্মে নে আরো জানান যে, পতেঙ্গা থানা পুলিশ নিজেদের দোষ( বিশেষ করে ওসি কাশেম) উচ্চ মহলে অন্য অপরাধ থেকে বাচাঁর জন্য দোষর সোর্স রিয়াজ সহ আরো কয়েকজন বকাটে লোকের পরচনায়ে আমাদের স্বামী/ভাই/ছেলে/নিকট আত্মীয়কে শিশু তরী হত্যা মামলা নং১৫/১৮, ৩৯২,৩০২ যজ্ঞন্যতম ধারায় সন্দেহজনক আসামী করে বিজ্ঞ কোর্টে চালান দেন।
আমরা সকল নির্যাতিত পরিবারের সদস্যরা আজকের সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মিথ্যা হত্যা মামলা, পুলিশী নির্যাতন এবং ক্রসফায়ার ভীতি মানষিক অত্যাচার থেকে প্রতিকার চেয়ে মাননীয় পুলিশের আইজিপি,স্বরাস্ট্রমন্ত্রী, পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক এবং বিজ্ঞ আইনজীবীর সভাপতি/সাঃসম্পাদক, জাতীয় মানবাধিকার চেয়ারম্যান, উপ-পুলিশ কমিশনার এর বিশেষ আবেদন জানাচ্ছি যে, এই নিরীহ গামের্ন্টস শিল্পের যুবকদের মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই দিয়ে সত্যিকার আইনের শাসন প্রতিষ্টার জন্য । তাড়াছা সাংবাদিক সহ সুশীল সমাজের মাধ্যমে ঐ শিশু তরী হত্যা কান্ডের পূর্নতদন্ত করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply