সিডিএ চট্টগ্রামের ৬৫ লাখ মানুষের উন্নয়নে কাজ করছে
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নিজস্ব অর্থায়নে ৬১৫৬.৯৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬৪টি আবাসিক ফ্ল্যাট, ২০৯টি দোকান ও ৮২টি কার পার্কিং সুবিধা সম্বলিত কাজীর দেউড়ি মার্কেট ও এ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স সোমবার বিকালে উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম।
এ উপলক্ষে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন, চট্টগ্রামে নির্মিত শতাব্দীর প্রথম আধুনিক কাঁচাবাজার কাজীর দেউড়ি। ব্যবসায়ী ভাইদের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার পর তাদের আশা, আকাক্সক্ষা, স্বপ্ন, চাহিদা আজ পূরণ হতে চলছে। সিডিএ-তে আমি যখন প্রথম যোগদান করি, তখন আমার কাজটা ছিল এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা। ঠিকাদারের কারণে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে দীর্ঘদিন অতিবাহিত হয়ে গেছে। তারপরও আমি আশান্বিত ছিলাম। আমার দৃঢ় প্রত্যায় ছিল কাজীর দেউড়ি বাজারকে আমি চট্টগ্রামের শ্রেষ্ঠ বাজার হিসাবে চট্টগ্রামবাসীকে উপহার দিবো। আজ উদ্বোধনের মাধ্যমে তার প্রমাণ হয়ে গেলো। আমার স্বপ্ন, প্রত্যাশা পূর্ণ হলো।
আবদুচ ছালাম বলেন, সিডিএ কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নয়, সিডিএ উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে, সিডিএ প্লট, ফ্ল্যাট কিংবা বাজার নিয়ে ব্যস্ত নেই, সিডিএ এখন সারা চট্টগ্রামের ৬৫ লাখ মানুষের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছে।
সিডিএ চেয়ারম্যান বলেন, কাজীর দেউড়ি বাজারের আলাদা খ্যাতি রয়েছে। তাই অভিজাত মানুষের সৌখিন চোখ কাজীর দেউড়ি মাছ বাজারে ঢুঁ মারবেনই। আর সমুদ্রে কিংবা পুকুরে বড় আকারের মাছ ধরা পড়লে তার সরাসরি ঠিকানা কাজীর দেউড়ি বাজার। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কতৃপক্ষ বাজারটির উন্নয়ন, সম্প্রসারণসহ বহুতল আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এতে আপামর জনগোষ্ঠী বহুলভাবে উপকার ভোগ করবেন।
তিনি বলেন, আমি একজন ব্যবসায়ী হিসেবে এই বাজারকে নান্দনিক সৌন্দর্যে সাজিয়েছি, আমি বুঝি ব্যবসায়ীরা কি চান, কাস্টমাররা কি চান। একজন ভালো ক্রেতা শুধু পণ্য কেনেন না, ভালো আচরণ, ব্যবহার ও রুচিও ক্রয় করেন। তাই আমি আশা করবো সকল ব্যবসায়ী ভালো ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালানা করবেন। ক্রেতার মন জয় করবেন।
সিডিএ চেয়ারম্যান আরো বলেন, সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছে প্রিয় বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম এখন সেই উন্নয়নের অংশীদার। চট্টগ্রামে যেভাবে উন্নয়ন হচ্ছে, তাতে আগামীর চট্টগ্রাম হবে উন্নত বিশ্বের নগরীগুলোর মতো একটি নগরী। যেখানে যানজট থাকবে না, মানুষের হাঁটার ফুটপাত দখলে থাকবে না, চারদিকে বাগান থাকবে, ময়লা-আবর্জনা থাকবে না। বাস্তবে একটি স্বাস্থ্যকর নগরী হিসেবে গড়ে উঠবে চট্টগ্রাম। তাই এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য, দেশের তথা চট্টগ্রামের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় নিতে হবে।
সিডিএ’র তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামসের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন সিডিএ’র বোর্ড সদস্য জসিম উদ্দিন, জসিম উদ্দিন শাহ, কেবিএম শাহজাহান, গিয়াস উদ্দিন, হাসান মুরাদ বিপ্লব, কাজীর দেউড়ি বাজার সমিতির সহ সভাপতি হাজী জাকির হোসেন, দামপাড়া মহল্লা কমিটির সদস্য সচিব এসএম সিরাজ, ভিআইপি টাওয়ার মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জালাল হোসেন, কাজীর দেউড়ি সিডিএ মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক আবু হান্নান।
সিডিএ সিস্টেম এনালিস্ট প্রকৌশলী মোস্তাফা জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ শাহিনুল ইসলাম খান, উপ-সচিব অমল গুহ, মো. নাজের, মো. হাসান প্রমুখ।