সুন্দরগঞ্জে আলোচিত বেগুনী রংয়ের দুলালী সুন্দরী ধান আমনে পরীক্ষামূলক চাষ হচ্ছে
সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে আলোচিত বেগুনী রংয়ের দুলালী সুন্দরী ধানের পরীক্ষামূলক চাষ হচ্ছে আমনে। উপজেলার ৩ স্থানে ৩ কৃষক চাষ করছেন এ ধান। এর মধ্যে একটি জমির কৃষক উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাশেদুল ইসলাম নিজেই।
প্রথম বারের মত গত বোরো মৌসুমে নতুন এ ধানের চাষ করা হয়। চাষ করেছিলেন উপজেলার রামজীবন কৃষক স্কুলের সদস্য দুলালী বেগম। মাঠ জুরে ধানের ক্ষেত। তার মধ্যে বেগুনী রংয়ের একটি ধান ক্ষেত হওয়ায় হৈ চৈ পড়ে যায়। প্রতিদিন ভীর জমেছিল দর্শকের। কৃষানী দুলালীর মতে তিনি বাজার থেকে বিভিন্ন জাতের বীজ কিনে ছিলেন। সেই বীজ তলায় বেগুনী রংয়ের কয়েকটি চারা দেখতে পেয়ে আলাদাভবে রোপন করে সেই ধান বীজ হিসেবে রেখে গত বোরো মৌসুমে চাষ করেন। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কৃষানী দুলালী এই নতুন ধানের চাষ করায় উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভায় নাম দেয়া হয় ধানের দুলালী সুন্দরী। উপজেলা কৃষি অফিসার রাশেদুল ইসলাম জানান, দুলালী সুন্দরী ধানের প্রতিটি পর্র্যায়ের তথ্য লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এতে প্রতি হেক্টরে ধানের ফলন হয়েছে ৭.৩০ মে:টন। যা বিঘায় ২৪মন। হেক্টরে চাল ৫.০২ মে:টন। ধানের কান্ড ও পাতার রং বেগুনী। শীষের রং সাধারন উফশীর মত। প্রতিটি ধানের দৈর্ঘ্য ৬ মিমি.। ধানে বেগুনী টিপস আছে। চালের দৈর্ঘ্য ৫ মিমি:। চালের রংয়ে একটু পার্থক্য আছে। যা গবেষনার বিষয়। শীষে গড়ে ২৩০ টি ধান হয়।
চলতি আমনেও বিভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করে পরীক্ষামূলক চাষ করা হচ্ছে। আমনেও ফলন ভাল হলে বোরোর পাশাপাশি আমন চাষে ধানের আবাদ সম্প্রসারন করা হবে। পরীক্ষামূলক চাষির একটি জমিতেই ৪ টি প্লট করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে একটি চারা, দুইটি চারা, তিনটি চারা ও কৃষক প্লট। প্রতিদিন কৃষি অফিসার এ ধান ক্ষেত পরিদর্শনসহ খোজ খবর রাখছেন। কৃষি অফিসার রাশেদুল ইসলাম আরও জানান, এ ধানের পুষ্টিমান কি, তা জানার জন্য বিভিন্ন গবেষনাগারে পাঠানো হয়েছে। আমনেও ভাল ফলনের সম্ভাবণা দেখা দিয়েছে।