রোগ নির্ণয়ের চেয়ে পকেট ভরার ধান্ধায় থাকে ওরা
জিল্লুর রহমান
বাংলাদেশের ডাক্তার দের বেশীরভাগই পেশাকে ব্যাবসা হিসেবেই বেছে নিয়েছেন আর এই ব্যাবসা বাঁচিয়ে রাখতে তারা ক্ষমতার সিঁড়ি ব্যবহার করেন । পৃথিবীর কোন দেশে এই মহৎ পেশায় এত দলাদলি নেই । তাদের পড়াশুনা করার দিকে নজর নেই কিন্ত একজন ডাক্তারের মৃত্যুর আগ মুহূর্তেও পড়াশুনা এবং গবেষণায় সময় দিতে হয় । আমরা কখনো হিসেব করে দেখেছি কত টাকা আমাদের পাশের দেশ ইন্ডিয়াতে চিকিৎসায় ব্যয় করে আসি তার কারন একটাই আমাদের চিকিৎসকগণ পেশাগত দক্ষতায় অনেক পিছিয়ে । তারা রোগ নির্নয়ের চেয়ে পকেট ভরার ধান্ধায় থাকে সবসময় ।তাঁরাই রোগীকে তাদের বাসার কাজের লোকের চেয়েও খারাপ মনে করেন তারা ভাবেন এই দেশের ফাস্ট সিটিজেন একমাত্র তাঁরাই তাই তারা যেভাবে চাইবে আপনাকে ওইভাবেই চিকিৎসা সেবা নিতে হবে তাতে আপনি মরেন বা সমস্ত সম্পদ উজাড় করেন তাতে তাদের ভাবার সময় নেই। এর মধ্যে হাতে গুনা ২/৪ জন ভাল মানুষ যে নেই তা বলা যাবে না তবে যেখানে খারাপের পাল্লা ভারী সেখানে ওই ভাল মানুষগুলো চুপ করেই থাকে । আসলে রাজনীতি নির্ভর সমাজে ক্ষমতার অপব্যবহার যেন এক বাজারের পন্য যে যখন ইচ্ছে কিনে নিচ্ছে আর তা যত্র তত্র ব্যবহার করছে আর যারা তাদের কাছে ক্ষমতার সিঁড়ি দিচ্ছে তারাও লাভবান হচ্ছে । কিছুদিন আগে এক বি এম এ নেতার প্রভাব কাঠিয়ে আমার পরিচিত এক ব্যবসায়ীর জায়গা দখল করেছিল এক ডাক্তার প্রশাসন ওই বি এম এ নেতার সাথে সেলফি নেতাদের সাথে সম্পর্কের কথা ভেবে অভিযোগকারীর পক্ষে কিছুই করতে পারেনি । আর শিশু রাইসা তো অবোধ শিশু মরলেই কি তাইতো ডাক্তার নামের শ্রদ্ধার মানুষগুলো হুমকি দেন চিকিৎসা ব্যাবস্হা অচল করে দেবেন অথচ তাদের চিকিৎসক বানাতে সরকার রাইসার বাবার ট্যাক্সের টাকার অংশ ব্যয় করেছেন ।
আসুন, আমাদের বিবেককে জাগ্রত করে অণ্যায়কারীদের সামাজিকভাবে বয়কট করি ।