২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / দুপুর ১২:২৯/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ১২:২৯ অপরাহ্ণ

আশরাফ খান দেশের ইতিহাসে একটি নন্দিত নাম

     

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী পরিষদের উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ষাটের দশকের তুখোড় ছাত্রনেতা, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির সাবেক চেয়ারম্যান,মহাসচিব প্রবীণ রাজনীতিবিদ মরহুম জননেতা মুহাম্মদ আশরাফ খানের শোকসভা সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইকবালের সভাপতিত্বে  ১১ জুন বিকেল ৫টায় মোমিন রোডস্হ অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক গণ পরিষদ সদস্য, চট্টগ্রাম দক্ষিণজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ষাটের দশকের সাবেক ছাত্রনেতা এম. আবু ছালেহ।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচ্য ও পালিভাষা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জিনবোধি ভিক্ষু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী জহুর আহমদ চৌধুরীর কনিষ্ঠ সন্তান শরফুদ্দীন আহমদ চৌধুরী রাজু, ফুলকলির মহাব্যবস্থাপক এম.এ. সবুর, কালারপোল হাজী ওমরা মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম. আবদুর রহিম চৌধুরী, সন্দীপনা সাংস্কৃতিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর ডি. কে. দাশ মামুন, বৃহত্তর ডেন্টাল এসোসিয়েশন চট্টগ্রামের সভাপতি ডাঃ জামাল উদ্দীন, চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি সোহেল মোঃ ফখরুদ্দীন, কবি আরিফ চৌধুরী, সংগঠক স.ম জিয়াউর রহমান, চকবাজার থানা আওয়ামীলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক অমর দত্ত, লেখক এ.কে.এম. আবু ইউছুফ, মোরাপত্র লেখক সমাজের সভাপতি কবি সজল দাশ, দক্ষিণজেলা কৃষকলীগনেতা আবুল হোসেন শুভ, মুকতাদের আজাদ খান পল্লীকবি জসিম স্মৃতি বৃত্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সভাপতি রতন দাশ গুপ্ত, নারীনেত্রী ছেনোয়ারা সুলতানা, রুমকি সেনগুপ্ত, ঝর্ণা দাশ, সাংস্কৃতিক সংগঠক সিব্বির আহমদ বাহাদুর, লাভলু চক্রবর্তী, দীলিপ সেন গুপ্ত, সংগীতশিল্পী অচিন্ত্য কুমার দাশ, নারায়ন দাশ, ঝিশু সেন, সাংবাদিক রাজীব চক্রবর্তী, জাতীয় প্রতীবন্ধী দলের ক্রিকেটার মোঃ আহাদ খান, আবৃত্তিশিল্পী মোঃ রাশেদ, রতন ঘোষ, জারিয়াত, তানিশা প্রমুখ।
সভায় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন মরহুম জননেতা মুহাম্মদ আশরাফ একজন আপদমস্তক রাজনীতিবিদ হিসেবে এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অনবদ্য অবদান রেখে গেছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর একজন বিশ্বস্ত সহচর হিসেবে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে তাঁর অবদান দেশবাসী কখনো ভুলতে পারবেনা। তিনি ছিলেন ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসে এক কালজয়ী নাম। যার বক্তব্য শুনার জন্য তখনকার সময়ে মানুষ জনসভায় ছুটে যেত। বাংলাদেশের রাজনীতিতে মুহাম্মদ আশরাফ খান নিরবে নিবৃত্তে অনেক অবদান রেখে গেছেন। শুধু রাজনীতিবিদ হিসেবে একজন আদর্শিক মানুষ হিসেবে মুহাম্মদ আশরাফ খান নিজের সাধ্য অনুযায়ী মানুষের জন্য কল্যাণ সাধন করে গেছেন। বাংলাদেশের নানা আন্দোলন সংগ্রামে আশরাফ খানের ভুমিকা ভুলার নয়। প্রধান বক্তা প্রফেসর ড. জিনবোধি ভিক্ষু বলেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ মুহাম্মদ আশরাফ খানের সাথে আমার দীর্ঘ ৪০ বছরের সম্পর্ক। এ ৪০ বছরে চট্টগ্রামের বিভিন্ন সভা সেমিনারে তাঁকে একজন দেশপ্রেমিক মানুষ হিসেবে দেখেছি। যার বক্তব্যে সব সময় জাতিকে দিব নির্দেশনা দেওয়ার একটা প্রচেষ্ঠা থাকত। তিনি সব সময় তরুণ প্রজন্মকে সৎ, শিক্ষিত, দেশপ্রেমিক নাগরিক, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানার জন্য নানা তথ্য উপাত্ত দিতেন। শুধু বক্তব্য নয় লেখনির মাধ্যমেও স্বাধীনতা সৃষ্টির অনেক অজানা তথ্য তিনি তুল ধরতেন।মুলত বঙ্গবন্ধুর সাথে রাজনীতি করার কল্যাণে মরহুম জননেতা মুহাম্মদ আশরাফ খান সব সময় একজন দায়িত্বশীল মানুষ হিসেব দেশের কল্যাণে ভুমিকা রাখার চেষ্ঠা করতেন। মৃত্যুর আগদিন পর্যন্ত তিনি একজন মহৎ মনের মানুষ হিসেবে মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন। মরহুম জননেতা মুহাম্মদ আশরাফ বাংলাদেশ সৃষ্টির ইতিহাসের নানা ঘটনা আন্দোলন সংগ্রামের নেতা হিসেবে নতুন প্রজন্মের কাছে অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। সভা শেষে মরহুম জননেতা মুহাম্মদ আশরাফ খানের আতœার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মুনাজাত করেন মুহাম্মদ আবদুর রহিম চৌধুরী।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply