২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / সকাল ১১:৪৮/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ

নিখোঁজ সন্তান উদ্ধারের জন্য সংবাদ সম্মেলন

     

 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানী ২য় বর্ষের মেধাবী ছাত্র নিখোঁজ সীমান্ত শীলেরকে উদ্ধারের নিমিত্তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনায়  ৩১ মে দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে তাঁর পরিবার এক সংবাদ সম্মেলন করে। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিখোঁজ সীমান্ত শীলের ছোট বোন লিজা শীল।
এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নিখোঁজ সীমান্ত শীলের বাবা প্রদীপ শীল, কাকা সুজিত শীল, নন্দন শীল, বিকাশ ধর, শুভ মুহুরী, মামুন, ধ্রুব, হৃদয় দাশ, অনিক অধিকারী, নিলয় চৌধুরী, অমিত দাশ প্রমুখ। লিখিত বক্তব্যে পিতার পক্ষে মেয়ে লিজা শীল বলেন আমি প্রদীপ শীল (৫০) পিতা মৃত বানেশ্বর শীল, সাং- কোকদন্ডী, ডাকঘর- গুনাগুরি, থানা- বাঁশখালী, জেলা- চট্টগ্রাম বর্তমানে শেভরন, চান্দগাঁও আবাসিক, ১১নং রোগ, থানাথ চান্দগাঁও, জেলা- চট্টগ্রাম এ মর্মে লিখিত বক্তব্য পাঠ করছি যে, আমি একজন সাধারণ সেলুন দোকানদার। সেলুনের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। আমার ২ মেয়ে এক ছেলে। আমার ছেলে সীমান্ত শীল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানী বিভাগের ২য় বর্ষে অধ্যয়নরত ছিল। পারিবারিক অনেক টানপোড়নের মধ্যেও আমি অনেক দুঃখে কষ্টে ছেলেকে এতদুর পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলাম। তারই ধারাবাহিকতায় আমার ছেলে বাকলিয়া ধানাধীন বি.এড কলেজের পাশে নবী ভিলা নামক স্থানে অন্যান্য ছাত্রদের সহিত ব্যাচেলর হিসেবে ভাড়া বাসায় থাকতো।
গত ১৫/১২/২০১৭ ইং তারিখ সকাল আনুমানিক ১০:৩০ ঘটিকার সময় বাজারের উদ্দেশ্যে নবী ভিলা হইতে বাহির হইয়া আপর ফিরিয়া আসে নাই। আমি খবর পাইয়া সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করিয়া আমার ছেলের সন্ধান না পাইলে বিগত ১৬/১২/২০১৭ইং বাকলিয়া থানা জিডি নং ৮৮৫ রুজু করি এবং সাথে সাথে দৈনিক পুর্বদেশ পত্রিকায় নিখোঁজ ছেলের ছবিসহ ১৮/১২/২০১৭ইং তারিখ নিখোঁজ সংবাদ ছাপানোর ব্যবস্থা করি। তারপরও আমি আমার আতœীয়স্বজন বন্ধু-বান্ধব, আমার ছেলের বন্ধু-বান্ধব সবার কাছে খোঁজ নিতে থাকি এবং আমার পরিবার উদ্বেগ, উৎকন্ঠায় ছেলের সন্ধানে অস্থির হইয়া উঠি। এমন সময় আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী শেলী শীলের আচার আচারণে সন্দেহ হইলে তার কথিত ভাইপো কাজল শীলসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে বিগত ১০/০৫/২০১৮ ইং মাননীয় মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে সি.আর.মামলা নং- ১৫৩/১৮ মামলা রুজু করি। কারণ তাদের কথাবার্তা, তাদের আলাপ চারিতায় আমার মনে হয়েছে তারা আমার ছেলেকে গুম করিয়া হত্যা করিয়াছে। মামলাটি বর্তমানে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পি.বি.আই) চট্টগ্রামকে তদন্তের জন্য আদেশ দিয়েছেন। তাই আমি চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশের সমস্ত আইন- প্রয়োগকারী সংস্থার নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি আমার নিখোঁজ ছেলের ব্যাপারে সঠিক তথ্য উদঘাটন পুর্বক প্রকৃত রহস্য উৎঘাটন করার এবং আমি সাথে সাথে আমার ছেলে উদ্ধারের ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply