১৯ এপ্রিল ২০২৪ / ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ১০:১৭/ শুক্রবার
এপ্রিল ১৯, ২০২৪ ১০:১৭ অপরাহ্ণ

হত্যার রাজনীতি পরিহার করুন – ডা. শাহাদাত হোসেন

     

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, এই সরকার বাংলাদেশকে গোরস্থানে পরিনত করতে চায়। খবরের কাগজ খোললেই দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত গুম, খুন আর বিভিষিকাময় নির্যাতনের সচিত্র প্রতিবেদন ও খবর দেখা যায়। দেশের মানুষ এক ভীত এবং উৎকণ্ঠার মধ্যে দিনাপাত করছে। কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা নুরুল আলম নুরু ছিল হারানো গণতন্ত্র উদ্ধারের রাজপথের সাহসী নেতা। রাজনীতির সুষ্ঠু ধারাকে ব্যাহত করার জন্য গণতন্ত্রের শত্র“, ফ্যাসিষ্ট এই হায়না গুম সরকার নুরুকে হত্যা করেছে। যে সরকার দেশের মানুষের অর্জিত গণতন্ত্র, বাক, চিন্তা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, মানুষের গণতান্ত্রিক সভা সমাবেশের অধিকার কেঁড়ে নিতে পারে সে সরকার ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার লক্ষ্যে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে গুম, পাশবিক নির্যাতন করে নির্বিচারে হত্যা করতে দিধাবোধ করবেনা। তারা ফ্যাসিস্ট, তারা গণতন্ত্র বোঝেনা, তারা মানবিকতা বোঝেনা, তারা ক্ষমতার লোভে অন্ধ হয়ে স্বৈরতন্ত্রের প্রাচীর তৈরি করছে। ডা. শাহাদাত আরো বলেন, হত্যার রাজনীতি পরিহার করুন। হত্যার রাজনীতি কোন দেশের জন্য শুভ নয়। আজ নুরু হত্যার প্রতিবাদে কোন পিকেটিং ছাড়ায় হরতাল সর্বাত্মক ভাবে চট্টগ্রামবাসী সফল করেছে। আজ এইচ.এস.সি পরীক্ষার্থীদের কথা চিন্তাকরে হরতালকে শিতিল করা হয়েছে। তিনি অদ্য ২রা এপ্রিল রবিবার বিকালে দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা নুরুল আলম নুরু হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম উত্তর-দক্ষিণ এবং মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন আয়োজিত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব জাফরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা, হামলা, নির্যাতন চালিয়ে আসছে। ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে বিএনপির নেতাকর্মীদের গুম, হত্যা, নির্যাতনের পথ বেঁচে নিয়েছে। কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা নুরু একজন সাহসী বিএনপির ছাত্রনেতা ছিলেন। তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
প্রতিবাদ সমাবেশে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, নুরুর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চায়, নুরুর মত সংগঠকদের হত্যা করে বিএনপিকে নিশ্চিন্ন করা যাবেনা। নুরু হত্যার মধ্যদিয়ে বিএনপি ছাত্রদল আরো শক্তিশালী হবে। কারা নুরুকে তুলে নিয়ে হত্যা করেছে তার জবাব প্রশাসনকে দিতে হবে। তিনি অবিলম্বে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে খুনীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার আহবান জানান।
প্রতিবাদ সমাবেশে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলাহাজ্ব আবু সুফিয়ান বলেন, মামলা, হামলা নির্যাতন, খুন, গুম করে অতীতের কোন সরকার ঠিকে থাকতে পারে নাই, এই সরকারও ঠিকে থাকতে পারবে না। সময় আসলে দেশের জনগন সরকারের সকল অন্যায়, অবিচার, জুলুম, নির্যাতন, গুম, খুনের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উত্তর জেলা বিএনপি নেতা এম.এ হালিম, চাকসু ভিপি মো: নাজিম উদ্দীন, ইসহাক কাদের চৌধুরী, আলহাজ্ব ছালাউদ্দীন, মো; নুরুল আমিন, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, এডভোকেট আবু তাহের, আব্দুল আওয়াল চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতা এডভোকেট ইফতেকার হোসেন মহসীন, মহানগর বিএনপি নেতা মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এস.এম সাইফুল আলম, ইসকান্দার মির্জা, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সৈয়দ আজম উদ্দীন, আনোয়ার হোসেন লিপু, কামরুল ইসলাম, দক্ষিন জেলা যুবদল সভাপতি বদরুল খাইর চৌধুরী, উত্তর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সোলেমান মঞ্জু, নগর ছাত্রদল সভাপতি গাজী সিরাজ উল্লাহ, কেন্দ্রীয় মহিলা দলনেত্রী ফাতেমা বাদশা, নগর মহিলা দলের সভানেত্রী কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি, নগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, উত্তর জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী এডভোকেট ফরিদা আক্তার, নগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা জেলী চৌধুরী, দক্ষিন জেলা মহিলাদলের সভানেত্রী জান্নাতুল নাঈম রিকু সহ মহানগর, দক্ষিণ ও উত্তর জেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল সহ অঙ্গ সংগঠনের প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ভোরে হরতাল চলাকালে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্করের নেতৃত্বে নুর আহমদ সড়কে হরতালের সমর্থনে মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply