রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা থাকলেও এর ভিন্ন চিত্র শ্রীপুরে
এস এম জহিরুল ইসলাম
শ্রীপুর গাজীপুর প্রতিনিধি:
নেপালের কাঠমান্ডুতে বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় বৃহস্পতিবার সারা দেশে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া শুক্রবার মসজিদ-মন্দিরসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয়ে দোয়া ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হওয়া কথা রয়েছে।
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে রাষ্ট্রীয় শোক পালনের বিষয়ে আদেশ জারি করা হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, শোক দিবসে বাংলাদেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
গাজীপুরের শ্রীপুর সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র,সরকারি বেসরকারি প্রায় অর্ধশত প্রতিষ্ঠনে দেখা যায় জাতীয় পতাকা উত্বলন রয়েছে,কোনো কোনো স্কুলে জাতীয় পতাকায় নেই। ১৫ মার্চ বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে উপজেলার সাইটালিয়া দাখিল মাদ্রাসায় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত নেই, সাইটালিয়া দাখিল মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক নাজিম উদ্দিন বলেন জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করতে মনে নেই এখনি নামিয়ে দিচ্ছি। সাইটালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অর্ধনমিত তো দুরের কথা জাতীয় পতাকায় নেই। এই রকম একই দৃশ্য দেখা গেছে উপজেলার জৈনাবাজার কলেজ রোড ব্রাইট স্কলার মাদরাসা জাতীয় পতাকায় নেই,তেলিহাটি ইউনিয়নের ডোমবাড়ি চালা ডি.এইচ মডেল একাডেমি এন্ড হাই স্কুল,অধ্যাপক এ কে এম মোকছেদুর রহমান একাডেমি এন্ড কলেজ, যোগীরছিট উচ্চ বিদ্যালয়সহ প্রায় অর্ধশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পতাকার অর্ধনমি নেই।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার কামরুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা নেপালের কাঠমান্ডুতে বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় বৃহস্পতিবার সারা দেশে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। উপজেলার সকল সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠাক গুলোকে ঘোষণা করার সাথে সাথে মেসেজ দেওয়া হয়েছে,যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে শোক পালন না করে থাকে ওই সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনআনক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত সোমবার (১২ মার্চ) ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস ২১১ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর দুর্ঘটনায় পতিত হয়। বিমানবন্দরের এটিসি টাওয়ারের দেয়া ভুল অবতরণ বার্তার জেরে আকাশে অপেক্ষা করতে থাকে বিমানটি। পরে ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫১ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। তাদের মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি।