অধ্যাপক আ, আ, ম, স, আরেফিন সিদ্দিক বাঙালি জাতির হাজার বছরের গৌরবের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক অবিচ্ছেদ্য অংশ
বাঙালি জাতির হাজার বছরের গৌরবের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক অবিচ্ছেদ্য অংশ । বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন। বাঙালির কালজয়ী ও গর্বিত ইতিহাস থেকে ইতিহাসের রাখাল রাজা বঙ্গবন্ধুকে আলাদা করা কখনো সম্ভব নয়। যারা বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে আলাদা করতে চায় তারা জাতির শত্রু। ইতিহাসের স্বর্ণালী অধ্যায়কে কলংকিত করার অপচেষ্টা মাত্র। যুদ্ধাপরাধী জামায়াত – বিএনপি বঙ্গবন্ধুকে বাঙালির কালজয়ী ইতিহাস থেকে আলাদা করতে চায়। আজ জামায়াত – বিএনপি বঙ্গবন্ধুকে আলাদা করতে চায় বলেই জনসম্পৃক্ততা ও রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন তারা। চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ, আ, ম, স, আরেফিন সিদ্দিক উপরোক্ত মন্তব্য করেন ।
বঙ্গবন্ধু শিশু উৎসব উদযাপন পরিষদ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ পাবলিসিটি কাউন্সিলের উদ্যোগে গত ২৪ মার্চ শুক্রবার বিকাল ৪ টায় নগরীর সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু শিশু উৎসব উদযাপন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য সাবেক এমপি আলহাজ্ব মো: ইসহাক মিঞার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ, আ, ম, স, আরেফিন সিদ্দিক। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের সৃষ্টি হতো না। বঙ্গবন্ধুর জন্ম ও বাংলাদেশের জন্ম এক এবং অভিন্ন। বাঙালির ইতিহাস আর বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস একসূত্রে গাঁথা। তিনি আরো বলেন, বাঙালির ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু অগ্রপথিক ও সাহসী বীর। জামায়াত- বিএনপি বঙ্গবন্ধুকে স্বীকার করে না বলেই তারা আজ রাজনীতি থেকে জনবিচ্ছিন্ন। অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক আরে বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশের পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অগ্রণী ভ’মিকা রেখেছেন। বলতে গেলে বঙ্গবন্ধুর সাহসী নেতৃত্বেই বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। সভায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। শেখ হাসিনার স্বপ্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তরুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর চেতনায় গড়ে তুলতে হবে। বক্তারা আরো বলেন আগামীর বিশ্ব ও বাংলাদেশ তরুন প্রজন্মের হাত ধরে এগিয়ে যাবে।তাই যত বেশি তরুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়ে তোলা সম্ভব হবে তত বেশি জাতি বেশি সমৃদ্ধ হবে। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লি: এর ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড: জিনবোধি ভিক্ষু, সাদার্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো: মহিউদ্দীন চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাংষ্কৃতিক সম্পাদক স্বজন কুমার তালুকদার, ইউরোপীয়ান আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম, এ, গণি, ফুলকলি প্রোডাক্টস লি: এর মহাব্যবস্থাপক এম, এ, সবুর, বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ও সাবেক ছাত্রনেতা এ, কে, জাহেদ চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ড: মো: ফয়সল কামাল, হাজেরা তজু স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সেলিমুজ্জামান মজুমদার,সিটিজি পোষ্ট ডট কমের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মোঃ জামাল উদ্দীন। বঙ্গবন্ধু শিশু উৎসব উদযাপন পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী স ম জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম লিয়াকত হোসেন, মো: জসিম উদ্দীন চৌধুরী, প্রকৌশলী টি কে সিকদার, আওয়ামীলীগ নেতা প্রকৌশলী প্রদীপ বড়–য়া, চন্দন পালিত, মাওলানা মাহাবুবুর রহমান,অধ্যাপক সৈয়দ মোঃ মিসবাহ উদ্দীন, সুভাষ চৌধুরী টাংকু, জে,বি,এস, আনন্দবোধি ভিক্ষু, শেখ আব্দুল্লাহ শেকাব, কাজী সাইফুল ইসলাম, অভিজিৎ দে রিপন, মোঃ সেলিম উদ্দীন, সুমন চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান মানিক, সুপন বিশ্বাস, কবি স্বপন বড়–য়া, নারী নাত্রী সেলিনা শফি, প্রাঞ্জল বড়ুয়া, আকলিমা আকতার, জয়িতা মিত্র প্রমুখ।