২৫ এপ্রিল ২০২৪ / ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ৭:৩১/ বৃহস্পতিবার
এপ্রিল ২৫, ২০২৪ ৭:৩১ পূর্বাহ্ণ

আজ থেকে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবিরাম ধর্মঘট

     

 

শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করনসহ ১১ দফা দাবী বাস্তবায়নে এমপিও ভুক্ত ৯টি শিক্ষক-কর্মচারী সংগঠনের মোর্চা শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটির আহ্বানে আজ রবিবার (১১ মার্চ) থেকে বেসরকারি এমপিও ভুক্ত স্কুল ও কলেজে শুরু হচ্ছে অবিরাম ধর্মঘট। ধর্মঘট চলাকালীন করণীয় নির্ধারণকল্পে সংগ্রাম কমিটির আওতাভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের প্রথম সভা শুক্রবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় বাশিস আঞ্চলিক শাখার ৪০০ আন্দরকিল্লাস্থ কার্যালয় অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বাশিস) আঞ্চলিক শাখার সভাপতি সৈয়দ লকিতুল্লাহর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অঞ্চল চৌধুরীর সাঞ্চলনায় স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক উত্তম চৌধুরী, অধ্যাপক তড়িৎ কুমার ভট্টাচার্য, মোঃ নুরুল হক সিদ্দিকী, মোঃ জানে আলম, মোঃ ওসমান গণি, শিমুল মহাজন, অধ্যাপক অজিত দাশ, অধ্যাপক শ্যামল দাশ, অধ্যাপক ভবরঞ্জন বনিক, আবুল কালাম, অধ্যাপক পুলক রায়, কৃষ্ণ শেখর দত্ত ও সনজীব কুসুম চৌধুরী, তাহেরুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী, মির্জা বখতিয়ার প্রমুখ। সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১১ মার্চ থেকে ধর্মঘট চলাকালীন রবিবার সকাল ১১ টায় উপজেলা সদরে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল। ধর্মঘট চলাকালীন বিকল্প হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর। ১৪ মার্চ ঢাকা কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ উপলক্ষে চট্টগ্রাম থেকে ব্যাপক শিক্ষক-কর্মচারীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ধর্মঘট চলাকালীন চট্টগ্রাম মহানগর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মনিটরিং সেল গঠন করা হয়। (১) শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ করতে হবে। (২) সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের ৫% বার্ষিক প্রবৃদ্ধি, পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, বাংলা নবর্বষ ভাতা, বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা প্রদান করতে হবে। (৩) অনুপাত প্রথা বিলুপ্ত করে সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দিতে হবে। (৪) বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহকারি প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহকারি প্রধান শিক্ষকের অনুরূপ প্রদান করতে হবে। শিক্ষক-কর্মচারীদের পূর্বের ন্যায় টাইম স্কেল দিতে হবে। (৫) বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের আর্থিক সুবিধা প্রদানের পরিবর্তে অবিলম্বে পূর্নাঙ্গ পেনশন চালু করতে হবে। (৬) নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং অনার্স ও মাস্টার্স কোর্সে পাঠদানকারী শিক্ষকসহ বিধিমোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্ত করতে হবে। (৭) ইউনেস্কোর সুপারিশ অনুযায়ী শিক্ষাখাতে জিডিপি’র ৬% এবং জাতীয় বাজেটের ২০% বরাদ্দ রাখতে হবে। (৮) বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো যুগোপযোগীকরণ ও সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের চাকরি বিধিমালা অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে। (৯) শিক্ষা সংশ্লিষ্ঠ সকল দপ্তরে বেসরকারি শিক্ষকদের ৩৫% প্রেষণে নিয়োগ দিতে হবে। (১০) কারিগরি শিক্ষা উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি কারিগরি ও ভোকেশনাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে। (১১) জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে হবে।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply