২৬ এপ্রিল ২০২৪ / ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ১২:৪৯/ শুক্রবার
এপ্রিল ২৬, ২০২৪ ১২:৪৯ পূর্বাহ্ণ

যতদিন পৃথিবী থাকবে ততদিন মশা থাকবে

     

মশাকে পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব নয় বলে মনে করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তার মতে, পৃথিবী যতদিন থাকবে, ততদিনই মশার যন্ত্রণা থাকবে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের সভাকক্ষে চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে গৃহীত ব্যবস্থা ও রোগ দমনে করণীয় বিষয়ে সভায় মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। মশার প্রকোপ বৃদ্ধি, প্রতিরোধের উপায়, দুই সিটি করপোরেশন কী কী করছে, এসব নিয়ে আলোচনা হয় এই সভায়।
মশা নিধনের চেষ্টা চলছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবী যতদিন থাকবে মশাও ততদিন থাকবে। এটা সত্য। তবে মশাবাহিত দুই রোগ ডেঙ্গু এবং চিকুনগুনিয়া মোকাবেলায় তাদের প্রবারের প্রস্তুতি ভালো। আমি একটি কথা বলতে চাই মশার কারণে মহামারি তো দূরের কথা, ডেঙ্গু আক্রমণের কোন আশঙ্কাই নেই এবার।’
মশা নিধনে দুই সিটি করপোরেশনের তাদের কার্যক্রম ও পরিকল্পনার শুনে সন্তুষ্ট মন্ত্রী বলেন, ‘আমি অত্যন্ত সেটিসফাইড যে, আমাদের প্রস্তুতি ভালো আছে।…আমার মনে হয়, তাদের এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে মশার প্রাদুর্ভাব কমে যাবে।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শেখ সালাহউদ্দিন মশা নিধনে তাদের বাধাগুলোর কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘শহরের বেশকিছু ড্রেন আছে যেগুলো ঢাকনা দিয়ে ঢাকা থাকে। সেখানে আমরা মশা মারার প্রক্রিয়া করতে পারছি না। এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঢাকা শহরের চারিদিকে বেশ কিছু ডোবা আছে যেগুলো পরিকল্পিত নয়। এখানে মাছের চাষও হয় না। পরিষ্কার করাও হয় না। এ জায়গা গুলো থেকেও মশা উৎপন্ন হচ্ছে।’
উড়ন্ত মশা মারা কঠিন জানিয়ে ঢাকা দক্ষিণের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা পানির প্রবাহটা যতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি তাহলে এ ধরনের মশার ৭০ শতাংশ মশা জন্মগ্রহণই করত না।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শেখ সালাহউদ্দিন জানিয়েছেন, নালায় ঢাকনা আর শহরের চারপাশের অপরিচ্ছন্ন ডোবা সমস্যার কারণ হয়েছে।
উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেসবাহুল ইসলাম বলেন, এবার মশা নিধনে তারা যে কাজ করছেন, সেটা অন্য বছরের তুলনায় বেশি। তিনি বলেন, ‘আমরা এ বছর মশা নিধন মেশিন, জনবল ও ওষুধের পরিমাণ বৃদ্ধি করেছি। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন আগামী ১৭ মার্চ উপলক্ষে মশা নিধন ও পরিচ্ছন্নতার জন্য একটি বিশেষ সপ্তাহ পালন করব।’
‘ঢাকা শহরে প্রচুর পরিমাণে অফিস আছে। এ বছর আমরা বেশকিছু সরকারি ও বেসরকারি অফিস ভিজিট করেছি। সেখানে আমরা ডেঙ্গু রোগবাহী মশার সন্ধান পেয়েছি। গণমাধ্যমের মাধ্যমে এসব অফিসের কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করব আপনারা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন।’
সভায় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ হচ্ছে কেউ মশার কামড় খেয়ে অসুস্থ হলে তাকে সঠিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া। আর মশা নিধনের কাজ হচ্ছে সিটি করপোরেশনগুলোর। আর বাড়ির ভিতরে মশা নিধনের দায়িত্ব হচ্ছে বাড়ির মালিকের। এর সাথে বাড়ির মালিক উক্ত বাড়ির আশে পাশে পরিস্কার রাখার ব্যবস্থা করবেন।’

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply