২৪ এপ্রিল ২০২৪ / ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সন্ধ্যা ৬:১১/ বুধবার
এপ্রিল ২৪, ২০২৪ ৬:১১ অপরাহ্ণ

কোটা সংস্কারের দাবিতে শাহবাগে বিক্ষোভ

     

কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে শাহবাগে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে বিক্ষোভ করেছেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা। তারা বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।
আজ রবিবার বেলা ১১টা থেকে শুরু হওয়া এ বিক্ষোভ সমাবেশ চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
ঘণ্টাব্যাপী ওই কর্মসূচিতে শত শত শিক্ষার্থী স্লোগান ও হাততালি দিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেন। তারা বিভিন্ন প্লাকার্ডে ও স্লোগানে স্লোগানে তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেছেন।
প্লাকার্ডগুলোয় লেখা হয়েছে, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় কোটা বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘১০%-এর বেশি কোটা নয়’, ‘নিয়োগে অভিন্ন কার্ড মার্ক নিশ্চিত কর’। তাঁরা স্লোগান দিচ্ছেন, ‘কোটা পদ্ধতির সংস্কার চাই, সংস্কার চাই’।
কর্মসূচিতে বিক্ষোভকারীরা ৫ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো- কোটা ব্যবস্থা সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নিয়ে আসা, কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধা থেকে শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া, কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ পরীক্ষা না নেওয়া, সরকারি চাকরিতে সবার জন্য অভিন্ন বয়সসীমা এবং চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার না করা। কোটা সংস্কারের দাবিতে শাহবাগে বিক্ষোভ
আন্দোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে চাকরিপ্রত্যাশী রঞ্জন খান বলেন, আমাদের আন্দোলন কোটার বিপক্ষে না। আমরা আন্দোলন করছি কোটা সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ কমিয়ে আনার জন্য। আমরাও চাই মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া উচিত। কিন্তু এত বৈষম্য করে না। প্রকৃত মেধাবীদের যদি মূল্যায়ন করা না হয়, তাহলে দেশের শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বেড়ে যাবে। তখন আত্মসম্মান রক্ষা না করতে পেরে, শিক্ষিত বেকাররা আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া আরেক শিক্ষার্থী জানান, কোটার প্রার্থী না পাওয়ায় ২৮তম বিসিএসে ৮১৩ জনের পদ শূন্য ছিল। একইভাবে ২৯তম-তে ৭৯২ জন, ৩০তম-তে ৭৮৪ জন, ৩১তম-তে ৭৭৩ জন, ৩৫তম-তে ৩৩৮ জনের পদ শূন্য ছিল। এই শূন্য পদ না রেখে সেখানে মেধা থেকে প্রার্থী নিয়োগের দাবি তার।
বিক্ষোভকারীরা জানান, তাদের ৪ জনের একটি দল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে কোটা সংস্কারের জন্য একটি আবেদনপত্র দেবেন। আগামী ৩ মার্চের মধ্যে যদি তাদের ওই দাবি পূরণ না হয়, তা হলে ৪ মার্চ আবার কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করবেন তারা।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply