২০ এপ্রিল ২০২৪ / ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ৪:০৯/ শনিবার
এপ্রিল ২০, ২০২৪ ৪:০৯ পূর্বাহ্ণ

নরওয়ে এক নম্বর সুখী দেশ, বাংলাদেশ ১১০ তম

     

পৃথিবীতে অসুখী থাকার অনেক কারণ (যুদ্ধ, বিদ্বেষ, অসহিষ্ণুতা, শরণার্থী সমস্যা, বিশ্ব উষ্ণায়ন ইত্যাদি) থাকা সত্ত্বেও এসব সমস্যাকে দূরে ঠেলে ভালো থাকার নিরিখে বিশ্বে প্রথম স্থান অধিকার করল নরওয়ে। ২১ মার্চ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক সুখ দিবসে জাতিসংঘ সব চেয়ে সুখী দেশের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। যার শীর্ষে নরওয়ে। গত বছরের প্রথম স্থানাধিকারী ডেনমার্ক এবার দ্বিতীয় স্থানে।
তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ১১০ নম্বরে। তবে প্রতিবেশী দেশগুলির তুলনায় মধ্য অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। যেমন, তালিকায় চীনের স্থান ৭৯, পাকিস্তান ৮০, নেপাল ৯৯, শ্রীলঙ্কা ১২০ আর ভারত ১২২ । এ বছর তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে যথাক্রমে আইসল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড ও ফিনল্যান্ড। আর তালিকার সব চেয়ে পিছনে রয়েছে মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র। যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া ১৫২ নম্বরে। আর ইয়েমেন ১৪৭ নম্বরে।
প্রতি বছর ১৫০টির বেশি দেশের প্রায় হাজার মানুষের কাছে কয়েকটি প্রশ্ন রাখা হয়। তারই নিরিখে বিচার হয় কোন দেশে কত মানুষ সুখী এবং কেন সুখী। সে ক্ষেত্রে একটি দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার, মানুষের গড় আয়ু, সামাজিক সহায়তা, কাজ করার স্বাধীনতা, দুর্নীতি ইত্যাদি বিষয়গুলি মাপকাঠি হিসেবে গণ্য হয়। কেন একটি দেশের থেকে অন্য দেশ বেশি সুখী, এটিও পরিসংখ্যানের বিচারে খুঁজে দেখা হয়।
এই বছরের রিপোর্টে আমেরিকাকে আলাদা পরিচ্ছেদে রাখা হয়েছে। তালিকায় আমেরিকার স্থান ১৪ নম্বর। আর্থিক দিক দিয়ে উন্নতি হলেও আমেরিকার খুশির গ্রাফ কয়েক বছর ধরেই নিম্নমুখী। এটাই ভাবিয়ে তুলেছে সমাজবিজ্ঞানীদের। তাঁদের মতে, আমেরিকার সমস্যা সামাজিক। তাই আর্থিক বৃদ্ধির পাশাপাশি দুর্নীতি, বৈষম্য, একাকীত্বর মতো সামাজিক ব্যাধিগুলির উপরও আমেরিকার নজর দেওয়া প্রয়োজন।
ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, বেশি বেতনভোগী ব্যক্তিরা স্বভাবতই অন্যদের থেকে বেশি সুখী। তবে টাকাই সব নয়। তাই এ বছর রিপোর্টে সুখী থাকার সামাজিক ভিত্তির উপরে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। সিএনএন।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply