২০ এপ্রিল ২০২৪ / ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ৭:৩৪/ শনিবার
এপ্রিল ২০, ২০২৪ ৭:৩৪ পূর্বাহ্ণ

পুুলিশ কমিশনারকে সনাপের স্বারকলিপি চট্টগ্রামে ট্রাফিক বিভাগে প্রসিকিউশনের লুটপাট বন্ধে ব্যাংক হিসাব চালুর দাবী

     

 

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে প্রসিকিউশন শাখার লুটপাট বন্ধে ব্যাংক হিসাব চালুর দাবী জানিয়েছে চট্টগ্রাম সচেতন নাগরিক পরিষদ।

আজ ২০ মার্চ সোমবার সংগঠনের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে প্রদত্ত এক স্বারকলিপিতে এই দাবী জানায় সংগঠনটি।
স্বারকলিপিতে বলা হয়, সিএমপিতে মোটরযান আইনের বিভিন্ন ধারায় প্রতিদিন প্রায় ৬শত মামলা করে থাকে। এসব মামলায় মোটরযান চালক ও মালিকদের কাছ থেকে প্রতিমাসে প্রায় আড়াই থেকে ৩ কোটি টাকা জরিমানা আদায় করা হলে সিংহভাগ অর্থ লুটপাট হচ্ছে। গ্রাহক বিশেষ করে চালক ও মালিকদের ট্রাফিক আইনের সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান না থাকায়, প্রসিকিউশন শাখার সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা না থাকায় গ্রাহকদের যথাযথ মেমো বা রশিদ না দেয়ায় সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের লুটপাট বানিজ্য সম্প্রতি সংগঠনটির নজরে আসায় তারা বিষয়টি সিএমপি কমিশনারকে অবহিত করার লক্ষে এই স্বারকলিপি প্রদান করে।

এতে আরো বলা হয়, ট্রাফিক বিভাগের সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ বহু আগে অনলাইন ব্যবস্থা চালু করে জরিমানার অর্থ ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে আদায় করছে। এছাড়াও রবি ও ইউক্যাশে ট্রাফিক বিভাগের মোটরযান আইনে রুজুকৃত মামলার জরিমানার অর্থ আদায়ের ব্যবস্থা করায় ঢাকা মহানগরীতে যে ধারার মামলা ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় চট্টগ্রামে একই ধারায় ৩০০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে, ৫০০ টাকার জরিমানার ক্ষেত্রে ৫০০০ টাকা থেকে ১৫,০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা আদায় করা হচ্ছে।

সিএমপি ট্রাফিক বিভাগে একটি গাড়ী “টো” বা আটকের ক্ষেত্রে ১০,০০০ (দশ) হাজার থেকে ১৫,০০০ (পনের) হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার নামে আটককৃত গাড়িপ্রতি আদায় করা হচ্ছে। অথচ ডিএমপি আটককৃত যানবাহনে মাত্র রেকার ভাড়া আদায় করা হয়।
মামলা ও “টো” বৃদ্ধিপেলে টাকা আদায় বেশি হয় এই কারণে সম্প্রতি বেশিহারে মামলা দেওয়ার জন্য এবং “টো” বা আটক বাড়ানোর জন্য ট্রাফিক সার্জেন্টদের উপর চাপ দেয়া হচ্ছে বলেও স্বারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়। এতে একদিকে যাত্রী হয়রানী ও ভাড়া নৈরাজ্য বাড়ছে অন্যদিকে মালিক- চালকরা ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। অন্যদিকে ট্রাফিক বিভাগের প্রসিকিউশন শাখার কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তারা মাসে কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে উর্পাজন করছে। সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। মালিক – চালক ও যাত্রী সাধারণ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, গোটা পরিবহন ব্যবস্থার উপর একটি বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
স্বারকলিপিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের অংশ হিসাবে সিএমপির ট্রাফিক বিভাগে অনলাইন ব্যবস্থা চালু করা, পান্সিং সিস্টেমে মামলা প্রদান ও ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে জরিমানার অর্থ আদায়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানানো হয়।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply