২০ এপ্রিল ২০২৪ / ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৪:৫৫/ শনিবার
এপ্রিল ২০, ২০২৪ ৪:৫৫ অপরাহ্ণ

দাউদকান্দিতে পবিত্র কুরআন অবমাননাকারীদের ফাঁসির দাবিতে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের বিক্ষোভ সমাবেশ

     

নিজস্ব প্রতিনিধি
দাউদকান্দিতে পবিত্র কুরআন অবমাননারীদের ফাঁসির দাবিতে স্থানীয় ওলামায়ে কেরাম ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের পক্ষ থেকে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়।
১৫ মার্চ সন্ধ্যায় উপজেলার দাউদকান্দি বাজারের বড় মসজিদের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ স্থানীয় ওলামায়ে কেরাম ও-ধর্মপ্রাণ মুসল্লীগণ অংশ নেন। বিক্ষোভ সমাবেশে মাও. শফিকুল ইসলামের পরিচলানায় বক্তব্য রাখেন, ওলামায়ে কেরাম ও-ধর্মপ্রাণ মুসল্লীগণের আহ্বায়ক মাও. মুহাম্মদ আবু ইউসুফ মুন্সী, মাও. মোঃ শফিকুল ইসলাম, মাও. আবুল বাশার, মাও. মোঃ মোবারক মোল্লা, মাও. মোঃ নাছির উদ্দিন, মাও. আবু সুফিয়ান, মাও. মকবুল এলাহী, ক্বারী মোঃ মনির হোসেন, মাও. ওমর ফারুক, মাও. দিদার হোসেন, বারপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ দুলাল মিয়া, মাও. মোঃ মোর্শেদ আহমেদ প্রমুখ।
এসময় প্রায় ৫’শতাধিক ধর্মপ্রাণ মুসল্লি এ বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেন। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন,‘ আমরা মুসলমানরা শান্তি চাই। শান্তির লক্ষ্যেই আমাদের ধর্মচর্চা। আজকে যারা আমাদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কুরআনের অবমাননা করেছে, আমরা তাদেও ফাঁসি চাই। সরকারের কাছে আমরা এর জন্য জোর দাবি জানাই। অন্যথায় এদেশের ওলামায়ে কেরাম,-ধর্মপ্রাণ মুসল্লীগণ ও তৌহিদী জনতা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে’। বক্তারা আরো বলেন, ‘দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি আমাদের কাছ থেকে দুই দিনের সময় নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যে করে হউক ওইসব দুষ্কৃতিকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবেন। এই দুই দিনের মধ্যে প্রশাসন কি করে দেখি। এরপর আমরা সমগ্র দাউদকান্দিবাসীকে নিয়ে আন্দোলনে নামবো।’
উল্লেখ্য যে, ১৪ মার্চ মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার শহীদনগর ভাগুলপুর ফকির আব্দুল হাকিম ফরিদুনেছা মাইজভান্ডারী ফোরকানিয়া মাদ্রাসায় দুষ্কৃতিকারীরা একটি কক্ষের ১৬টি পবিত্র কুরআন শরীফে মলত্যাগের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন, কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ শাহ আবিদ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল মোমেন, কুমিল্লা এনএসআই এর যুগ্ম পরিচালক মজিবুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (দাউদকান্দি সার্কেল) মহিদুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার (হোমনা সার্কেল) সাইফুর রহমান আজাদ, কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ. কে.এম মুনজুর আলম, দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আল-আমিন, দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান, তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল আলম, চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন মৃধা, মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামছুদ্দিন আহমেদ, মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ বদিউজ্জামান, গোয়েন্দা সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মর্কতাসহ বিপুল সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যবৃন্দসহ স্থানীয রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
এ ব্যাপারে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ শাহ আবিদ হোসেন বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। অপরাধী যে কেউ হউক খুঁজে বের করে আইনের কাঠগড়া দাঁড় করানো হবে’।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply