২০ এপ্রিল ২০২৪ / ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / দুপুর ২:০৯/ শনিবার
এপ্রিল ২০, ২০২৪ ২:০৯ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশে বেকারত্ব দূর হবে কী?

     

আজহার মাহমুদ
বাংলাদেশে যতগুলো সমস্য রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি সমস্য হচ্ছে বেকারত্ব। বেশী অবাক হতে হয় তখন, যখন আমাদের দেশে শিক্ষিত বেকার অধিক । বেকারত্ব দূরকরার লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের পদক্ষেপ থাকলেও বাস্তবে এ সমস্যার কোনো সমাধান হচ্ছে বলে মনে হয় না। বাংলাদেশে যে পরিমান বেকার ছেলে মেয়ে রয়েছে সে পরিমান এখনো কর্মসংস্থান নেই বল্লেই চলে। এটি আমাদের জন্য বড় একটি সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। বেকারত্ব দূর করতে হলে সর্বপ্রথমে পর্যাপ্ত পরিমানে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। আর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার দায়িত্ব সরকারের। আমাদের দেশের বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের অভাবের কারণে তারা চলে যাচ্ছে ধ্বংসের পথে। তাদের এই ধ্বংসের পথ থেকে সরিয়ে আনার জন্য অবশ্যই বেকারত্ব দূর করতে হবে। অনেকে পেটের জন্য অবৈধ পথ বেছে নিতে কোনো প্রকার চিন্তা করছে না। কেউ মাদক, কেউ ইয়াবা সহ নানান রকমের নেশা জাতিয় দ্রব্য নিয়ে ধ্বংস করছে নিজেদের জীবন। আর তাদের এ ধ্বংসের কারণ হচ্ছে বেকার জীবন। বেকারত্বই সকল ধ্বংসের মূল। বর্তমান সরকার এই বেকারত্ব দূর কারর লক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় জেলায় কারিগরি প্রশিক্ষন কেন্দ্র তৈরী করে দিচ্ছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে সেখানেও এখন চলছে এক প্রকার দুর্নীতি। দুর্নীতি নেই কোথায়? প্রশিক্ষনে দুর্নীতি, ভর্তিতে দুর্নীতি, চাকরীতে দুর্নীতি। যেখানেই যাবেন দুর্নীতি আর দুর্নীতি। এসকল প্রশিক্ষন নিয়ে আজকাল কোনো চাকরী মিলেনা গরীব বেকারদের। স্বজনপ্রীতি আর টাকায় এখন চাকরী পাওয়া যায়। বাবা, চাচা, মামা, খালু না থাকলে আজকাল চাকরীতো দূরের কথা চাকরীর ইন্টারভিউ দেওয়াও অসম্ভব হয়ে পড়ে। বাস্তবতা অস্বিকার করার কোনো ক্ষমতা আমাদের নেই। আমাদের দেশের যুব সমাজ ধ্বংস হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে চাকরি না পাওয়া। পড়ালেখা শেষ করে যদি একজন শিক্ষিত ছেলে তার যোগ্যতানুসারে একটি চাকরি না পায়, তবে সে ছেলেটি দেশের জন্য বোঝা হবে তো বটেই অনেক সময় দেশের জন্য ক্ষতিকর হয়েও দাড়াবে। এই যুব সমাজকে বাঁচতে এগিয়ে আসতে হবে সকলের। দেশের প্রতিটি খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে হবে বেকার যুবকদের। বেকারত্ব দূরকরার জন্য আমাদের সকলের এক হতে হবে। সরকার এবং দেশের বিত্তবানদের এ বিষয়ে সুদৃষ্টি দিতে হবে। বেকার যুবসমাজ পচ্ছেনা কোনো চাকরি, মেটাতে পারছেনা পরিবারের চাহিদা। বাধ্য হয়ে যেতে হচ্ছে অবৈধ পথে। চলে যাচ্ছে ধ্বংসের পথে। যে পথে থাকে না কোনো সুখ, কিন্তু থাকে কালো টাকা। কেউ জঙ্গি, কেউ সন্ত্রাসী এভাবেই চলে যাচ্ছে অন্ধকার জগতে। আসলে এর জন্য দায়ী এই সমাজ। কোনো এক গবেষকের কথা, একজন ব্যাক্তি যখন কোনো কর্মহীনভাবে থাকে তখন নাকি তার মাথায় খারাপ চিন্তা আসে। আসলেই কথাটি সত্য। আর এই কর্মহীন ব্যাক্তিরাই সমাজের ক্ষতি করছে। যার কারন হচ্ছে বেকারত্ব। এখন কর্মসংস্থানে দূর্নীতির মাত্রা অতিরিক্ত ভাবে বেড়েছে। তাই সরকার এবং প্রশাসনের প্রয়োজন এই বিষয়টিও তাদের নজরে রাখবেন। ঘুষ ছাড়া যেনো চাকরী নাই! এটা এখন সহজ একটি কথা। বিশেষ করে সরকারী চাকুরীতে এটি বেশী প্রজোজ্য। আমরা মনে করি বেকারত্ব বিষয়টি খূব সাধারণ একটি বিষয়। কিন্তু বাস্তবে এই বেকারত্ব থেকে তৈরী অসাধারণ সকল সন্ত্রাসবাদী এবং জঙ্গীবাদী। তাই আমাদের সকলের প্রয়োজন এই বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করা। প্রশাসন এবং সরকারকে এই বিষয়টির উপর জোর দিতে হবে। সরকারের পাশাপাশি বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে তবেই বাংলাদেশে বেকারত্বের সংখ্যা কমবে।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply