২৩ এপ্রিল ২০২৪ / ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৩:০৩/ মঙ্গলবার
এপ্রিল ২৩, ২০২৪ ৩:০৩ অপরাহ্ণ

হয়ে গেল “৫ম বিভাগীয় যুব রেড ক্রিসেন্ট ক্যাম্প ২০১৭- চট্টগ্রাম ” “দূর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে প্রশিক্ষিত যুব শক্তি”

     

ফখরুল ইসলাম চৌধুরী পরাগ

২০১০ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে সফল ৪র্থ বিভাগীয় ক্যাম্প করার পর ২০১২ সালে চট্টগ্রামে ১২তম জাতীয় ক্যাম্প আয়োজনের উদ্দ্যেগ গ্রহন করি, সেখানেও পায় সফলতা। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালের মাঝামাঝি থেকে আবার পরিকল্পনা করলাম আরো একটি ক্যাম্প করা, যাতে করে আরো কিছু দক্ষ ও প্রতিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক গড়ে উঠে এবং মানবতার কল্যাণে কাজ করতে পারে। সেটি বিভাগীয় ক্যাম্পও হতে পারে আবার জাতীয় ক্যাম্পও হতে পারে। আমাদের চরম আগ্রহ ছিল মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতির মাধ্যমে একটি জাতীয় ক্যাম্প করা যাতে করা তারাও জানতে পারে রেড ক্রিসেন্ট তথা যুব রেড ক্রিসেন্ট এর যুব সদস্যরা কিভাবে মানবতার কল্যাণে কাজ করে। সেই লক্ষে আমরা কাজও শুরু করে দিয়েছিলাম কিন্তু নানা প্রতিকূলতার কারণে মন ভেঙ্গে যেত কয়েকদিন পর আবার নতুন উদ্দমে কাজ শুরু করতাম। জাতীয় সদর দপ্তরে সর্বাক্ষিনিক যোগাযোগ শুরু করতাম। দুইবার তারিখও ঠিক করেছিলাম কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হল না।আমরা যখন অনেকটাই হতাশ হয়ে পরলাম ঠিক তখনি আমাদের পাশে দাড়াঁলেন রেড ক্রিসেন্ট সিটি ইউনিটের ভাইস চেয়ারম্যান এম. এ ছালাম, যার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিগত দুটি ক্যাম্প সফলভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হই। ছালাম ভাই আমাদের ক্যাম্প করার আগ্রহ দেখে রেড ক্রিসেন্ট ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সদস্য ডা. শেখ শফিউল আজমের সাথে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নিলেন বিভাগীয় ক্যাম্প করবে। সেই থেকে আমরাও সিদ্ধান্ত নিলাম জাতীয় নয় বিভাগীয় ক্যাম্প করবো আমরা। সেভাব সেই কাজ, পুরাদমে কাজ শুরু করে দিলাম এভাবেই বিভিন্ন্ বাধা বিপত্তি কাঠিয়ে অবশেষে ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৭ হতে ০৪ মার্চ ২০১৭ইং পর্যন্ত বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চট্টগ্রাম জেলা ও সিটি ইউনিটের সহযোগিতায় যুব রেড ক্রিসেন্ট চট্টগ্রামের পরিচালনায় “দূর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে প্রশিক্ষিত যুব শক্তি” এ প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে “৫ম বিভাগীয় যুব রেড ক্রিসেন্ট ক্যাম্প ২০১৭- চট্টগ্রাম ” সফলভাবে সম্পন্ন করলাম। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিভাগীয় রেড ক্রিসেন্ট ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হল। ক্যাম্পের শুভকামনা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন মহামন্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় স্পিকারসহ মন্ত্রীপরিষদের অনেক সদস্যবৃন্দ।

সালাম ভাইয়ের (বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চট্টগ্রাম সিটি ইউনিটের ভাইস চেয়ারম্যান ও বিজিএমইএ’র সাবেক সহসভাপতি জনাব এম.এ. সালম) একান্ত আগ্রহ এবং যুব রেড ক্রিসেন্ট চট্টগ্রামের ৪র্থ বিভাগীয় যুব রেড ক্রিসেন্ট ক্যাম্প এবং ১২তম জাতীয় ক্যাম্পের সফল আয়োজন দেখে সোসাইটির মাননীয় চেয়ারম্যান হাফিজ আহমেদ মজুমদার ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা.হাবিবে মিল্লাত এম.পি’র ঐকান্তিক আগ্রহে এবং যুব রেড ক্রিসেন্ট চট্টগ্রামের যুব সদস্যদের নিরলস পরিশ্রম ও প্রচেষ্টায় মধ্য দিয়ে সুদীর্ঘ ০৬ বছর পর বিভাগীয় ক্যাম্প আয়োজন করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। যদিও এটি বিভাগীয় ক্যাম্প সারা দেশের যুব সদস্যদের অংশগ্রহনে এটি জাতীয় ক্যাম্পে পরিনিত হয়েছে। সারা দেশের যুব সদস্য অংশগ্রহন করেছে পাশাপাশি সিনিয়র যুব সদস্যরাও এসেছে এই ক্যাম্পে। মহান আল্লাহ দরবারে কৃতজ্ঞতা জানাই। এই ক্যাম্পের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামবাসীর সম্মান অনেকগুন বেড়ে গেল। যা শুধু আমার নয় সমগ্র চট্টগ্রামবাসীর জন্য অত্যন্ত আনন্দ ও গৌরবের।

দক্ষ ও প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক গড়ে তোলার লক্ষে আয়োজিত “৫ম বিভাগীয় যুব রেড ক্রিসেন্ট ক্যাম্প ’১৭-চট্টগ্রাম” ৩৯ জেলা ইউনিট, চট্টগ্রাম বিভাগের সব কয়টি জেলা এবং চট্টগ্রামের ৯৬ স্কুল কলেজের প্রায় ১০০০ জন রেড ক্রিসেন্ট যুব সদস্য, স্বেচ্ছাসেবক, দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক, ইউনিট লেভেল কর্মকর্তা, সোসাইটির কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। ক্যাম্পে তাদেরকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ ও যোগ্যতা সম্পন্ন করে গড়ে তোলা হয় যাতে করে তারা দেশের যে কোন দূর্যোগ এগিয়ে আসতে পারে। ক্যাম্প থেকে অর্জনকৃত প্রশিক্ষণ, শৃঙ্খলা, নিয়মানুবর্তিতা, একতা, বন্ধুত্ব, সৌহাদ্য ও সেবার মনোভাবসহ মানবিক সকল গুণাবলী সম্পন্ন সুযোগ্য নাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

বর্তমান বৈশ্বিক পরিবর্তনের প্রভাবের ফলে দূর্যোগ বেড়ে চলেছে প্রতিনিয়ত। একই সাথে বেড়ে গেছে মানব সৃষ্ট বিভিন্ন দূর্যোগ এই বিবেচনায় থেকে দূর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে এবং যুবদের মাঝে দূর্যোগ ঝুঁকির প্রভাব বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে “দূর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে প্রশিক্ষিত যুব শক্তি” শ্লোগানকে সামনে রেখে ক্যাম্প আয়োজন করা হয়েছে। এই ক্যাম্পের প্রতিপাদ্য বিষয়ের সাথে মিল রেখে অংশগ্রহণকারীদের ৮টি সাব ক্যাম্পের নামকরণ করা হয়েছিল বিভিন্ন দূর্যোগের নামে। ২৫ ফেব্রুয়ারী থেকে যুব সদস্যরা ক্যাস্পের উদ্দেশ্যেবিভিন্ন জেলঅ থেকে রওনা দেন। চাপাঁইনবাবগঞ্জ ইউনিটের যুব সদস্যরা প্রথমে ক্যাম্প ভেন্যুতে এসে উপস্থিত হন তার পর পর আসে বগুড়া ইউনিট। তারা আমাদের আয়োজনে সহযোগিতা করেন। বিশেষ করে প্রায় ক্যাম্পে অংশগ্রহনকারীদের রাত্রিযাপন ও অবস্থানের জন্য ১১৫টি তাবু তুলতে তাদের যতেষ্ট অবদান ছিল। ২৮ ফেব্রুয়ারী সারা দেশ থেকে প্রায় প্রতি ইউনিটের যুব সদস্যরা চট্টগ্রামের নিদিষ্ট ভেন্যু হালিশহরস্থ শারিরীক শিক্ষা কলেজে এসে হাজির হন। এতে করে চট্টগ্রামসহ সারা দেশের যুবসদস্যদের মিলনমেলায় পরিণত হয় ক্যাম্প ভেন্যু। চট্টগ্রামের পক্ষ থেকে আমরা (জব্বার ভাই, সালাউদ্দিন ভাই, সাফকাত আপা, মহসিন ভাই, মহিউদ্দিন ভাই, বেনজির ভাই, আজম ভাই, সোহেল, তন্নী, ফয়সাল, আরাফাত, হারুনসহ কার্যকরী পর্ষদ সদস্যরা) সকলে তাদেরকে স্বাগত জানালাম। নিবন্ধন শেষে কুশল বিনিময়ের পরে তাদের জন্য বরাদ্ধকৃত তাবুতে তাদেরকে পৌছাঁনোর ব্যবস্থা করলাম। তারা তাদের বিছনাপত্রসহ তলপাতলপি নিয়ে তাবুতে অবস্থান নিল। সন্ধায় অংশগ্রহনকারীদের স্বাগত জানাতে স্বাগত সন্ধার আয়োজন করা হয়। বন ও পরিবেশ মন্ত্রালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. হাসান মাহমুদ এম.পি, সোসাইটির ভাইাস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. হাবিবে মিল্লাত এমপি, রেড ক্রিসেন্ট চট্টগ্রাম জেলা ভাইস চেয়ারাম্যান ও সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সদস্য ডা. শেখ শফিউল আজম ও সিটি ইউনিটের ভাইস চেয়ারম্যান এম.এ ছালাম আগত সকলকে স্বাগত জানান। তাছাড়া যুবকদের মাঝে পাঁচদিনব্যাপী ক্যাম্পে অংশগ্রহনকারীদের ভূমিকা ও করণীয় সর্ম্পকে আমি প্রধান স্বোচ্ছসেবক ও ক্যাম্প মার্শাল হিসেবে বিস্তারিত বর্ণনা করি। যা সারা দেশ থেকে আগত অংশগ্রহনকারীরা অত্যান্ত আগ্রহের সাথে অংশগ্রহন করেছিল। এরপর পর ক্যাম্পর পতকা হস্তান্তন করা হয়। , সিটি ইউনিটের ভাইস চেয়ারম্যান এবং ক্যম্প কমান্ডার ডা. শেখ শফিউল আজমের হাতে জাতীয় পতকা তুলে দেন ড. হাসান মাহমুদ এম.পি, সিটি ইউনিটের ভাইস চেয়ারম্যান এবং ক্যম্প কমান্ডার এম. এ ছালামের হাতে রেড ক্রিসেন্ট পতকা তুলে দেন সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. হাবিবে মিল্লাত এম.পি এবং প্রধান স্বোচ্ছসেবক ও ক্যাম্প মার্শাল ফখরুল ইসলাম চৌধুরীর হাতে ক্যম্প পতাকা তুলে দেন সোসাইটির ট্রেজারার এডভোকেট তৌহিদুর রহমান। এছাড়া সাব ক্যাম্প কমান্ডারদেও হাতে সাব ক্যাম্প পতাকা তুলে দেন সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদ সদস্যরা। অংশগ্রহনকারীদের উদ্দেশ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিসহ নানা বিষয়ে বক্তব্য প্রদান করেন ড. হাসান মাহমুদ এম.পি এবং সেই সাথে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেন। তার আগে সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. হাবিবে মিল্লাত এম.পি. মাদকের উপর একটি বিফিং দেন। তিনি ক্যাম্প আয়োজন দেখে খ্বুই মুগ্ধ হন এবং চট্টগ্রাম জেলা ও সিটি ইউনিট এবং যুব রেড ক্রিসেন্ট চট্টগ্রামের প্রসংশা করেন। পরে সাংস্কৃতিক সন্ধার আয়োজন করা হয়। যুব সদস্যরা নেচে হেয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেন। শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের পাশাপাশি আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠা, একে অন্যের সাথে বন্ধুত্ব তৈরী সুযোগ সৃষ্টি হয়। তবে প্রত্যকটি কার্যক্রম নিয়ম শৃঙ্খলা ও সময়ানুবর্তীতা মেনে করতে হয়েছে। এভাবে স্বাগত স্বান্ধ্য ও পরিচিতি দিন সম্পন্œ করে পরের দিন ক্যাম্পের আনুষ্ঠানিতভাবে শুরু করার প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়। ‘টুপ টাপ শিশিরের শব্দে’ গানের মাধ্যমের অংশগ্রহনকারী ও সেচ্ছাসেবকদের ঘুমভাঙ্গে। ঘুম থেকে উঠে কুয়াশাচ্চন্ন সকালে যুব সদস্যরা ছুটে চলেছে ক্যাম্পের একটি নিদিষ্ট স্থানের দিকে যেখানে সারি সারি ভাবে সাজানো আছে গ্রীণ রুম (বার্থরুম) এতদিদন যারা নিজেদের বাড়িতে আলিশানভাবে প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিত তারা আজ বদনা হাতে লাইনে দাড়িয়ে আছে কর্ম সম্পন্ন করতে। এভাবে যুব সদস্যদের তৈরী করা হয় যাতে করে তা যে কোন জায়গায় যে কোন ভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে পাওে এবং মানিয়ে নিতে পারে। যুব সদস্যরা সকালের যাবতীয় কার্য়সম্পন্ন করে সকাল ৮টায় হাজির হন প্যারেড মাঠে। যুব সদম্যদের নিয়ে মাঠে উপস্থিত হন আগের দিনে পরীক্ষার মাধ্যমে নির্বাচিত প্যারেড কমান্ডার। সাব ক্যাম্প গুলোর নের্তৃত্ব দেন কনটিনজেন্ট কমান্ডার। পরে মাননীয় সংসদ ভূমিপ্রতি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এম.পি ০১ মার্চ ২০১৭ তারিখ সকাল ৯.৩০ মিনিটে ক্যাম্পের আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করেন। দিনের শুরুতে জাতীয় পতাকা, রেড ক্রিসেন্ট পতকা ও ক্যাম্প পতকা উত্তোলনের মাধ্যেমে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়।

জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ভূমি প্রতিমন্ত্রী জনাব সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এম.পি, রেড ক্রিসেন্ট পতাকা উত্তোলন করেন সোসাইটির মাননীয় ভাইস চেয়ারম্যান জনাব অধ্যাপক ডাঃ হাবিবে মিল্লাত এমপি, এবং ক্যাম্প পতাকা উত্তোলন করেন, চট্টগ্রামের জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব এম এ সালাম, এসময় সোসাইটির মাননীয় ট্রেজারার এডভোকেট তৌহিদুর রহমান, ক্যাম্প কমান্ডার ও ম্যানেজিং বোর্ড সদস্য এবং রেড ক্রিসেন্ট জেলা ইউনিট এর ভারপ্র্প্তা চেয়ারম্যান ডাঃ শেখ শফিউল আজম, রেড ক্রিসেন্ট চট্টগ্রাম সিটি ইউনিট এর ভাইস চেয়ারম্যান ও ক্যাম্প কমান্ডার এম এ সালাম এবং ক্যাম্প মার্শাল ও যুব রেড ক্রিসেন্ট চট্টগ্রামের যুব প্রধান ফখরুল ইসলাম চৌধুরী পরাগ অভিবাদন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। পতাকা উত্তোলনের সময় ব্যান্ডে জাতীয় সংগীতের সূর বাজানো হয় এবং সকলে দাড়িঁয়ে সম্মান প্রদর্শন করেন। এছাড়া ডেপুটি সাব ক্যাম্প কমান্ডাররা ৮টি সাব ক্যাম্পের পতাকা উত্তোলন করেন। পরে প্রধান অতিথি, উদ্বোধক এবং বিশেষ অতিথিবৃন্দ বেলুন ও শান্তির পায়রা উড়িয়ে ক্যাম্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। পরে ক্যাম্পে আগত অংশগ্রহণকারীদেরকে শপথ পাঠ করান স্বেচ্ছাসেবক প্রধান ও যুব রেড ক্রিসেন্ট চট্টগ্রামের যুব প্রধান ফখরুল ইসলাম চৌধুরী পরাগ। শপথ পাঠ শেষে প্রধান অতিথি সাব ক্যাম্পগুলো পরিদর্শন করেন। সাব ক্যাম্প গুলো হলো ভূমিধ্বস, খরা, ঘূর্ণিঝড়, জ্বলোচ্ছাস, ভূমিকম্প, বজ্রপাত, নদীভাঙ্গন ও অগ্নিকান্ড। এসকল সাব ক্যাম্পে রয়েছে ৩০টি জেলা ইউনিট এবং যুব রেড ক্রিসেন্ট চট্টগ্রামের আওতাধীন ৯৬টি স্কুল কলেজ থেকে আগত প্রায় ৭০০ যুব সদস্য ও ২৮০ জন স্বেচ্ছাসেবক। এদের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কলেজের ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ যারা যেকোন দুর্যোগে নিরপেক্ষভাবে অসহায় জনসাধারণকে সাহয্য করে থাকে। এরপর পর যুব সদস্যদের অংশগ্রহনে রেড ক্রিসেন্ট এর জন্ম কথা নিয়ে একটি ফিল্ড ড্রামা প্রদর্শন করা হয়। অংশগ্রহনকারীসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দরা ফিল্ড ড্রামা উপভোগ করেন। ফিল্ড ড্রামাটিতে ফুটে উঠি কিভাবে কেন কি উদ্দেশ্যে রেড ক্রস/ক্রিসেন্টে জন্ম হয়। এই প্রতিষ্ঠানে জনক জ্বীন হেনরী ডুনান্ট কি আবেদন করেছিল বিশ্ববাসীর প্রতি। সংগঠনের মূলমন্ত্র। উদে¦াধন শেষে যুব সদস্যরা প্রশিক্ষণে অংশগ্রহন করেন।
মাননীয় মন্ত্রী জাবেদ বলেন, বিভিন্ন দুর্যোগেসমূহে দক্ষ স্বেচ্ছাসেবক গড়ে তোলার অন্যতম পাথেয় এই ক্যাম্প। বর্তমান বিশ্বের পরিবেশগত কারণে এবং মানবসৃষ্ট বিভিন্ন দুর্যোগে মানবিক সাহায্যের অন্যতম নিদর্শন হল রেডক্রস রেডক্রিসেন্ট আন্দোলন। যে কোন দুর্যোগে মানুষের এখন প্রধান আস্থা হচ্ছে রেড ক্রিসেন্ট। আর যুব রেড ক্রিসেন্ট চট্টগ্রামের যুব সদস্যদের ত্যাগ ও সেবার মনোভাবের কারণে এ সংগঠনটির কার্যক্রম দেশে ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে অধিক গ্রহণযোগ্য ও প্রশংসিত হচ্ছে। তাদের কর্মকান্ড সারা বিশ্বে আস্থার একটি মূর্তপ্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মৌলিক রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট প্রশিক্ষণ, মাদক বিষয়ক সচেতনা সৃষ্টি, দূর্য়োগ ব্যবস্থাপনা, দূর্য়োগ ঝুঁকি হ্রাস, নের্তৃত্ব উন্নয়ন, সন্ধান ও উদ্ধার, মৃতদেহ ব্যবস্থাপনা, সামাজিক অংশগ্রহন মাদককে না, পক্ষঘাত পূর্ণবাসন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুব সদস্যদের যোগ্য, দক্ষ ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলার চেষ্টা করি। ভবিষ্যৎ কার্যক্রম বলে দিবে আমাদের এই ক্যাম্প বা আমাদের ত্যাগ কতটুকু সফল হয়েছে। নিদিষ্ট সময়ে প্রশিক্ষণ শেষে যুব সদস্যরা পতাকা নামানো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন। প্রতিদিন সন্ধার পরে শুরু হয় বিষয় ভিত্তিক সাংস্কৃতিক অংশগ্রহন। রবীন্দ্র সঙ্গীত, নজরুল সঙ্গীত, দেশের গান, সাধারণ নৃত্য এবং আবৃত্তি। অংশগ্রহনকারী প্রতিটি ইউনিটের সদস্যদের অংশগ্রহনে মুখরিত হয়ে উঠে সমগ্র ক্যাম্প এলাকা। সাংস্কৃতিক অংশগ্রহন ছাড়াও ছিল হস্ত শিল্প, দেয়াল পত্রিকা এবং এ্যালবাম। হস্ত শিল্প এ যুব সদস্যরা বিভিন্ন বস্তু তৈরী করে নিয়ে আসে যা অত্যান্ত সুন্দর ও আকর্ষনীয়। দেশের স্বাধীনতা, স্বাধীনতার ইতিহাস, বিভিন্ন ঐতিহ্য, সম্বাবনা, জনগুরুত্ব বিষয় নিয়ে যুব সদস্যরা দেয়াল পত্রিকা তৈরী করে নিয়ে আসে একই সাথে সারা বছরে নিজেদের কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে এ্যালবাম তৈরি করে আনেন। এ্যালবামের ডিজাইন করা হয় বিভিন্ন বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে ঐ আঙ্গিকে। এভাবে চলতে থাকে পাঁচদিন ব্যাপী বিভাগীয় রেড ক্রিসেন্ট ক্যাম্প। এরমধ্যে ০৩ মার্চ সমানপী দিন ছিল ক্যাম্পের সবচেয়ে আকর্ষনীয় একটি দিন। এই দিন ছিল আমাদের সিনিয়র ভাইদের পূর্ণমিলনী। যারা রেড ক্রিসে›টের জন্ম থেকে আজ পর্যন্ত মানবতার কল্যাণে কাজ করে গেছে এবং করছে তাদের মিলিত হবার দিন। ঐদিন সারা দেশের অসংখ্য প্রাক্তন বড় ভাইরা এসেছিল। এতদিন যাদের নাম শুনেছিল যুব সদসরা কিন্তু চোখে দেখিরাই তাদেরকে দেখল। তারাও তাদেও জীবনের গল্প, সফলতার গল্প এবং রেড ক্রিসেন্ট এ কিখাবে সময় দিন, মানবতার কল্যাণে কাজ করতে সে বিষয়ে সকলের নিকট তুলে ধরল। বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে যারা রেড ক্রিসেন্টর মডেল তাদেরকে কাছ থেকে দেখলাম তাদের সাথে কথা বললাম, তারাও আমাদের আদর করল, পরামর্শ দিল, রেড ক্রিসেন্ট নিয়ে তাদের অনুভূতির কথা বলল শুনতে খুবই ভাল লাগল। এবং নিজেকে নিয়ে গর্ভ হল এরকম একটি মহান সংগঠনের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পেরে। সিনিয়র ভাইরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছুটে এসেছে শুধুমাত্র ক্যাম্পে কথা শুনে রেড ক্রিসেন্টর টানে। অনেকে এসেছে দেশের বাহির থেকে। এযেন এক মায়ার বাঁধন। যা কখনোই ছিড়বে না। এই বন্ধন চির অটুক। অনেক সিনিয়রা তাদের পরিবার-পরিজনকে নিয়ে এসেছে শুধুমাত্র রেড ক্রিসেন্টের সাথে তাদেরকে পরিচিত করাতে এবং রেড ক্রিসেন্ট সর্ম্পকে জানাতে। যাতে করে ভবিষ্যৎতে তারা মানবতার কল্যাণের পতাকা তলে আসে মানবসেবাই নিজেকে নিয়োজিত করেন। এদিকে যুব সদস্যরা যেমন খুশি তেমন সাজ সাজতে নানা রংঙ্গে নানা ডংঙ্গে সেজে নেমে পড়েন বিচারকদের সামনে। পরেরদিন অর্থ্যা শেষদিন পতাকা উত্তেলনের পরে যুবসদস্যরা তৈরি হতে থাকে তাদেও এই কয়েকদিনের অর্জনকে কাজে লাগিয়ে একটি মহড়া প্রর্দশন করতে। যুব সদস্যরা প্রস্তুতি নিতে নিতে ক্যাম্প স্থলে হাজির হন মাননীয় সিটি মেয়র আজম নাসির উদ্দিন এবং মাননীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারারফ হোসেন এম. পি এসে হাজির হন যুবসদস্যদের সাথে ক্যাম্পের আনন্দ ভাগ করে নিতে। অতিথিদের উপস্থিতে যুব সদস্যদের অংশগ্রহনে একটি উদ্ধার মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। অংশগ্রহনকারী এবং মাননীয় মন্ত্রী ও মেয়র মহড়া দেখে যুবসদস্যদের অনেক প্রসংশা করেন এবং সাহসিকতার প্রসংশা করেন। মহড়া শেষে মাননীয় মন্ত্রী বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। দিনের শেষে জাতীয় পতাকা, রেড ক্রিসেন্ট পতকা ও ক্যাম্প পতকা নামানোর মাধ্যমে ক্যাম্পের আনুষ্ঠানিত সমাপ্তি হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে জাতীয় পতাকা নামান গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারারফ হোসেন এমপি, রেড ক্রিসেন্ট পতকা নামান বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রাম সিটি ইউনিটের সম্মানিত চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র জনাব আ জ ম নাছির উদ্দিন এবং ক্যাম্প পতাকা নামান বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রাম সিটি ইউনিটের ভাইস চেয়ারম্যান এম এ ছালাম। এসময় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উপ মহাসচিব খন্দকার জাকারিয়া খালেদ, চট্টগ্রাম সিটি ইউনিটের সেক্রেটারী জনাব আব্দুল জব্বার, স্বেচ্ছাসেবক প্রধান ও যুব রেড ক্রিসেন্ট চট্টগ্রামের যুব প্রধান ফখরুল ইসলাম চৌধুরী পরাগ, সিটি ইউনিটের কার্যকরী পর্ষদের সদস্য, মঞ্জুর মোর্শেদ ফিরোজ, এইচ এম সালাউদ্দিন, সাফকাত জাহান, তৌফিক আনোয়ার, মহসিন উদ্দিন চৌধুরী ফয়সাল, মো মঞ্জুরুল হক, সৈয়দ আদনান হোসাইন, মোঃ আনোয়ার আজম, জেলা ইউনিটের কার্যকরী পর্ষদের সদস্য জসীম উদ্দিন শাহ, প্রাক্তন যুব প্রধান আবু সালেহ মোহাম্মদ সামুন, অরুপ দত্ত অরুন, গোলাম বাকী মাসুদ, এইচ এম মহিউদ্দিন, বেনজির বিন ইসলাম খান ও কাজী তৌফিকুল আযম অভিবাদন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। পতাকা নামানোর সময় ব্যান্ডে জাতীয় সংগীতের সুর বাজানো হয় এবং জাতীয় সংগীতের সুর বাজানোর সময় জাতীয় পতাকার প্রতি অংশগ্রহনকারী সকলে দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করেন। জাতীয় পতাকা নামানোর পূর্বে যুব সদস্যরা উদ্ধার ও সাড়া প্রদানের একটি মহড়া প্রদর্শন করেন পরে সকল অশুভ শক্তিকে বিদায় জানিয়ে ক্যা¤প ফায়ারের মাধ্যমে মানবতার কল্যাণে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।
মন্ত্রী মোশরারফ বলেন, তরুণ ও যুবকদের পড়ালেখার পাশাপাশি মানবিক গুণাবলীর বিকাশ, সেবা ও বন্ধুত্বের পরিধি বিস্তৃতির ক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়ে রেড ক্রিসেন্ট ক্যাম্প আয়োজন যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করে। ক্যাম্পে অবস্থানকালীন সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ, অনুশীলন ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে অর্জিত শিক্ষাকে ভবিষ্য সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে এবং পরিবেশ বিপর্যয় রোধে ও মাদকমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
মেয়র আজম নাসির বলেন, তরুণ ও যুবকদের পড়ালেখার পাশাপাশি মানবিক গুণাবলীর বিকাশ, সেবা ও বন্ধুত্বের পরিধি বিস্তৃতির ক্ষেত্রে যুব রেড ক্রিসেন্ট সর্বদা সৃজনশীল পদক্ষেপ গ্রহণ করে। আর তারই প্রতিফলন হল এই সফল ক্যাম্প যা দেখে তিনি খুবই আনন্দিত। এই ক্যা¤প পরিবেশ বিপর্যয় রোধে অন্যতম ভূমিকা পলন করবে। আর এমন একটি মহৎ আয়োজনের সাথে জড়িত থাকতে পেরে আমি গর্বিত।
সমগ্র আয়োজনকে সফল করতে সিটি মেয়র ও সিটি ইউনিট চেয়ারম্যান আজম নাসিরের নের্তৃত্বে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সার্বিক সহযোগিতা করছেন। এছাড়াও ক্যাম্প চলাকালীন সময়ে প্রতিদিন ক্যাম্পে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী, সংসদীয় কমিটির সভাপতি, সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, পত্রিকার সম্পাদকসহ দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ক্যাম্পের দৈনিক কার্যক্রম উদ্বোধন, সমাপনী ও ক্যাম্প পরিদর্শনে করেন। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ক্যাম্পের সমাপনী ঘটে। এই ক্যাম্পে বসে যুব সদস্যরা দূপ্তকন্ঠে শপথ করেন দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে সব রকমের চেষ্টা ও সহয়োগিতা প্রদান করবেন এবং মানবতার কল্যাণে কাজ করে যাবেন। এছাড়া যুব সদস্যদের উৎসাহ দিতে ক্যাম্পে উপস্থিত ছিলেন সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদ সদস্য এ কে এম এ আওয়াল সাইদুর এমপি, লুৎফুর রহমান চৌধুরী হেলাল, শেখ রইসুল আলম ময়না, রেহেনা আশিকুর রহমান, রাজিয়া সুলতানা লুনা, রবীন্দ্র মোহন সাহা রবি ও গাজী মোজাম্মেল হোসেন টুকু, সোসাইটির মহাসচিব বি এম এম মোজাহারুল হক এসডিসি, উপ মহাসচিব খন্দকার জাকারিয়া খালেদ, যুব ও স্বেচ্ছাসেবক বিভাগের পরিচালক এস.এম আহমেদ তুহিনসহ আরো অনেকে।

ক্যাম্পে এসে যুব সদস্যরা দিপ্ত কন্ঠে শপথ নেন দূর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে নিজেকে যথাযথ প্রশিক্ষিত কওে গড়ে তুলে জাতির যে কোন প্রয়োজনে কাজ করে যাবে। বাংলাদেশসহ এই পৃথিবী হবে সুন্দর ও সুভাষিত, সুশীতল ও শান্তিময়, দূষণমুক্ত, তাহলেই কমবে পৃথিবীর নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয়। যদিও এটি মানুষের হাতে না তথাফি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঝুঁকি হ্রাসে কাজ করে যাবে প্রতিটি মূর্হূতে। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির আওতায় দেশব্যাপী প্রায় তিন লক্ষ আশি হাজার যুব স্বেচ্ছাসেবক আর্তমানবতার সেবায় তৎপর রয়েছে, দেশের ঘূর্ণিঝড় (সিডর, আইলা, রুয়ানো), ভূমিধ্বস, ভূমিকম্প, বন্যা, খরা, শৈত্য প্রবাহ ও বিভিন্ন দুর্যোগে যুব রেড ক্রিসেন্ট সদস্যবৃন্দ প্রশিক্ষিত জনবল হিসেবে সাফল্যের সাথে সরকারের সহযোগী সংস্থা হিসেবে নিরলস ভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। যুব রেড ক্রিসেন্ট কার্যক্রমকে ইতোমধ্যে বর্তমান সরকার কর্তৃক ”সহশিক্ষা কার্যক্রম” হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে দেশের যে কোন দুর্যোগে দেশের যেকোন স্থানে দক্ষ যুব রেড ক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবক সরকারের প্রয়োজনে সহযোগী হিসাবে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আর এই ক্যাম্প আমাদেরকে সে লক্ষে এগিয়ে নেবে। আমরা পেয়েছি একদল প্রশিক্ষিত যুব শক্তি যাদের মাধ্যমে যেকোন দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

ক্যাম্পে অবস্থানকালীন সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ, অনুশীলন ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে অর্জিত শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে যুব সদস্যরা ভবিষ্যতে সুনাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে এবং পরিবেশ বিপর্যয় রোধ ও মাদকমুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সহযোগিতা করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
বাংলাদেশ একটি দুর্যোগপ্রবণ দেশ। এদেশ প্রতিনিয়তই দুর্যোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আর এজন্য আমরাও কম দ্বায়ী নই। আমরাই আমাদের পরিবেশকে বসবাসের অনুপযোগী করে তুলেছি। তা এই পৃথিবীকে বাসযোগ্য রাখতে এবং এটি রক্ষার্থে তরুণদের এগিয়ে আসছে হবে, আমি আশা করি এ ক্যাম্প তাদের সে লক্ষে এগিয়ে নিতে এবং দক্ষতা ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply