২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / রাত ২:৫৬/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ২:৫৬ পূর্বাহ্ণ

বালু চরে কুমড়া চাষ

     

মোঃ গোলজার রহমান
তিস্তার বুক জুড়ে শুধু ধু-ধু বালু চর। চরাঞ্চলে নানাবিধ ফসলের চাষাবাদ কৃষিক্ষেত্রে এনে দিয়েছে নতুন বিপ্লব। বালু চরে কুমড়াসহ বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ করে কৃষকরা এখন স্বালম্বী হয়ে উঠেছে। দীঘদিন ধরে উজান থেকে নেমে আসা পলি জমে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা,হরিপুর,চন্ডিপুর ,শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদী বর্তমানে আবাদি জমিতে পরিনত হয়েছে। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চরাঞ্চলের কৃষকরা তিস্তার বুকে চাষ করছে নানাবিধ ফসল। খোজ নিয়ে জানা গেছে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর চরের কৃষকদের মাঝে কুমড়া,ভুট্ট,গমসহ বিভিন্ন ফসলের প্রদর্শনী প্রদান করেছে। চরের সেই প্রদর্শনী সমুহ বর্তমানে বাহারী উঠতি ফসলে ভড়ে উঠেছে। সম্প্রতি রংপুর অঞ্চলের কৃষি অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো: শাহ আলম উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন চরের কুমড়া,ভুট্টসহ বিভিন্ন প্রদর্শনী সমুহ পরিদশন করেন। এসময় গাইবান্ধা কৃষি অধিদপ্তরের উপপরিচালক আ.কা.মো:রহুল আমীন,উপজেলা কৃষি অফিসার রাশেদুল ইসলাম তার সঙ্গে ছিল। চরাঞ্চলে বিশেষ করে কুমড়া, ধান, গম, ভুট্ট, সরিষা, বাদাম, তিল, তিশি, তামাক, আলু, বেগুন, মরিচ, বেগুন, রসুন, পিয়াচ, লাউ, ছিম, করলা, আদা, গাজর, টমেটো, ফুল কপি, বাধাকপি, ঢ়েড়স, মুলা, নানা প্রকার শাক সবজির চাষাবাদ করা হচ্ছে। নদী ভাঙ্গনের ফলে অন্যত্র চলে যাওয়া পরিবারগুলো ফিরে এসেছে তাদের বাপ দাদার ভিটায়। শুরু করেছে নতুন করে সংসার। কথা হয় কাপাসিয়ার শিংগীজানি চরের ফয়জার রহমানের সাথে। তিনি জানান তিস্তার ভাঙ্গনে বাপ দাদার বসত ভিটা হারিয়ে বগুড়ার কাহালুয় গিয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে দিন মজুরের কাজ করত। গত ৫ বছর আগে তার বাপ দাদার ভিটামাটি চরে পরিনত হওয়ায় সে ফিরে এসেছে। বর্তমানে সে তার বাপ দাদার ৫বিঘা জমিতে নানাবিধ ফসলের চাষাবাদ করে সংসার পরিচালনা করছে। এখন আর তাকে দিনমজুরের কাজ করতে হয় না। ফয়জারের মত হাজারও পরিবার চরে ফিরে এসে চাষাবাদ শুরু করেছে। কাপাসিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন জানান তার ইউনিয়নের কমপক্ষে ৮ াজার পরিবার নদী ভাঙ্গনের ফলে উপজেলার অন্য ইউনিয়নে এসে বসবাস করছিল। বর্তমানে তারা চরে ফিরে গিয়ে কৃষি কাজ করে সংসার চালাচ্ছে। তিনি বলেন বালু চর এখন সবুজের রাজ্যে পরিনত হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাশেদুল ইসলাম জানান,গোটা উপজেলার চাহিদার সিংহভাগ শাক সবজি চাষাবাদ এখন চরাঞ্চলে উৎপাদন হয়। তাছাড়া কুমড়া, গম, ভুট্ট, সরিষা, বাদাম, তিল, তিশি, তামাক, মরিচ, বেগুন, রসুন, আদা, বেশিভাগ তিস্তার চরাঞ্চলে পাওয়া যায়। তিনি আরও বলেন চরাঞ্চলের মাটি এখন বেশ উর্ববর। সে কারনে যে কোন প্রকার ফসলের ফলন ভাল

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply