ডোমার আমবাড়ীতে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষন! ধর্ষক পলাতক।
বখতিয়ার ঈবনে জীবন
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার আমবাড়ীতে ভালবাসার ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখীয়ে ৭ম শ্রেনীর স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষন। ধর্ষক পলাতক! এলাকার কুচক্রী মহল বিষয়টি রফাদফা ও ধামাচাপা দেয়া চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার গোমনাতী ইউনিয়নের উত্তর আমবাড়ী মাঝাপাড়া গ্রামে। সরেজমিনে যানাযায়, উক্ত গ্রামের এক দিনমুজুরের কন্যা আমবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী (ছদ্দনাম বিউটি) আক্তার (১৩) সাথে একই ইউনিয়নের দক্ষিণ আমবাড়ী মঞ্জু পাড়া গ্রামের মকবুল হোসেনের লম্পট ছেলে মিজাগঞ্জ কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্র রুবেল ইসলাম (১৮) কখোনো হৃদয়, সাগর, সুয়েল, নয়ন নামে নিজের পরিচয় দিয়ে প্রায় দিনই মেয়েটিকে রাস্তায়, স্কুল যাওয়ার পথে প্রেম ভালবাসার প্রস্তাব দিতো। এ নিয়ে কয়েক মাস পূর্বে মেয়েটির পরিবারের লোকজন ছেলেটির বাড়ীতে অভিযোগ করেন। এতে করে সে ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়েটিকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২২ জানুয়ারী সোমবার বিয়ের প্রলোভন দিয়ে রাত ৮টায় মেয়েটিকে নিয়ে উধাও হয়। রাতের অন্ধকারে বাড়ীর পিছনে খোলা মাঠে ও বাঁশ ঝাড়ে অবস্থান করে এবং ওই দিনই বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কৌশলে একাধীক বার ধর্ষন করে। শেষে রাত ১২ টায় চালাকি করে বাড়ী থেকে টাকা ও কাপড় আনার নাম করে মেয়েটির বাড়ীর পাশে রেখে রুবেল পালিয়ে যায়। অপেক্ষার শেষে মেয়েটি অশ্রুভেজা চোখে বাড়ী ফিরতে বাধ্য হয়। এলাকায় খোজ নিয়ে জানাযায়, ছেলেটি ১০/১২ টি সিম কার্ড ব্যাবহার করে এবং সহজ সরল মেয়েদের বিভিন্ন নামে পরিচয় দিয়ে প্রেমের নাটক করে তাদের সাথে প্রতারণা করায় এলাকার মানুষ বিশ্ব প্রেমিক নাম করণ দিয়েছে। ধর্ষনের বিষয়ে রাত দিন চেষ্টা করে কোন সমাধান না হওয়ায়, মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ডোমার থানায় নাঃশিঃনিঃ আইনে ৯/১ ধারা মোতাবেক মামলা নং- ১২, তারিখ-২৩/০১/১৮ দায়ের করেন। সেই থেকে ঘাতক পলাতক রয়েছে, ধর্ষক রুবেলের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির জোর দাবী জানান মেয়েটির পরিবার।
