২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / সন্ধ্যা ৭:৫০/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ৭:৫০ অপরাহ্ণ

ডিমলায় ঘটকের ধর্ষণ, অন্ত:স্বত্বার ঘটনায় তোলপাড় 

     

বখতিয়ার ঈবনে জীবন

দীর্ঘদিন ধরে জেঠাতো ভাই ঘটকের ধর্ষনের শিকার স্বামী পরিত্যাক্তা এক সন্তানের জননী গৃহবধু পদ্মফুল (ছদ্মনাম) অন্ত:স্বত্ত্বা হয়ে পড়ায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। বইয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। দিশেহারা হয়ে পড়েছে ভূক্তভোগী অন্ত:স্বত্ত্বা গৃহবধু। গ্রাম সমাজে ও গ্রাম্য সালিশে বিচার চেয়েও পাচ্ছে না বিচার ওই গৃহবধু। বেশ কয়েক দিন ইউপি চেয়ারম্যানের দেখা করতে গিয়ে পায়নি দেখা তার। ফলে নিরাশ হয়ে ফিরে আসতে হয়েছে ভূক্তভোগীকে। কোনখানেই মিলছে না বিচার, পায়নি বিচারের প্রতিশ্রুতি, দেয়নি কেহ বিচারের আশ্বাস। এদিকে তার এ অন্ত:স্বত্ত্বার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় ভিক্ষুক মা ছামিনা বেগম ভিক্ষুার ঝুঁলি হাতে নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও গ্রামবাসী ভিক্ষা না দিয়ে মিলছে অপবাদ। অপরদিকে অন্ত:স্বত্ত্বা গৃহবধুর বাবার মাথায় দীর্ঘদিনের টিউমার নিয়ে আক্রান্ত হয়েছে ক্যানসার রোগে। মৃত্যুর প্রহর গুনছে বিছানায় শয্যাসায়ী হয়ে। জায়গা-জমি অর্থ-সম্পদ না থাকায় অর্থাভাবে হচ্ছে না বাবার চিকিৎসা। ফলে অন্যদিকে ভূক্তভোগী স্বামী পরিত্যাক্তা ৭ মাসের অন্ত:স্বত্বা পদ্মফুল (ছদ্মনাম) আড়াই বছরের পুত্র সন্তান নিয়ে এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। ঘটনার সূত্র ধরে ১৮ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, নীলফামারীর ডিমলায় গয়াবাড়ী ইউনিয়নের ৮ নং ওর্য়াডের কালীবাড়ী মোড় এলাকায় দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত অসুস্থ্য বাবার কন্যা স্বামী পরিত্যাক্তা গৃহবধু অন্ত:স্বত্বার মেয়েটির মা, প্রায় ৩/৪ বছর পূর্বে একই এলাকার নয়া মসজিদ পাড়া গ্রামের মনছুর আলীর পুত্র জেঠাতো ভাই মোজাম্মেল হক মোজাম ঘটক সেজে আমার মেয়েকে বিয়ে দেয় একই ইউনিয়নের নুর হোসেনের পুত্র মনির হোসেনের সাথে। এরই মধ্যে মেয়ে এবং-মনিরের সংসারে আসে একটি পুত্র সন্তান। তারপর থেকেই দুই সন্তানের জনক ঘটক মোজাম ফুঁসলিয়ে মেয়েকে পরকীয়ায় প্রেমে জড়িয়ে ফেলে। দীর্ঘদিন ধরে গৃহবধু-মোজামের পরকীয়ার ঘটনার কিছুটা জানাজানি হলে মনের দু:খে মনির হোসেন তার স্ত্রী ও ৭ দিনের ছোট্ট শিশুপুত্রকে রেখে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। সে থেকে মনির আর স্ত্রী পুত্রের সাথে যোগাযোগ রাখেনি। আর সেই সুযোগে ঘটক মোজাম ওই গৃহবধুকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তুলে সম্পর্ক চালিয়ে যায় দীর্ঘদিন ধরেই। এরই মধ্যে গেল ৭/৮ মাস পূর্বে ভিক্ষুক কন্যা অন্ত:স্বত্বা হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় প্রতারক মোজাম গৃহবধুর পেটে আসা সন্তানকে নষ্ট করার জন্য গৃহবধুর মা ও তাকেও টাকা দিতে চায়। কিন্তু গৃহবধু মোজামকে বিয়ের কথা বলায় সে থেকেই মোজা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। গৃহবধু তার আড়াই বছরের পুত্র সন্তানকে নিয়ে ও পেটে ৭ মাসের বাচ্চা নিয়ে এখন চোখে দেখছে অন্ধকার আর মুখে পড়েছে বিষাদের ছায়া। ফলে মানসিক ভাবেও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বর্তমানে প্রতারক মোজাম ঢাকা কিংবা সিলেটে কাজ করছে বলে মোজামের মা ও প্রথম স্ত্রী জানিয়েছে। এ ঘটনায় আর্ন্তজাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিটস্ এর রংপুর বিভাগীয় চিপ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ জানান, আমি ঘটনার কথা শুনার পরেই সেখানেই আমার সহকর্মী নীলফামারী জেলা সভাপতি জাহানারা বেগমকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। তিনি ঘটনা দেখে এবং শুনে প্রতিবেদন দিয়েছে যে, ঘটনা সম্পূর্ন রুপেই সত্যি। ফলে আমাদের সংস্থা অসহায় মেয়েটির পক্ষে দাড়িয়ে আইনীসহ সর্বাক্তক সহযোগীতা করবে। উক্ত সংস্থার নীলফামারী জেলা সভাপতি ও ডিমলা উপজেলা আওয়ামী তাতীলীগের সভাপতি নারী নেত্রী জাহানারা বেগম ঘটনার তিব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, আমি ভুক্তভোগীর বাড়ীতে গিয়ে সরেজমিনে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। এ ঘটনায় নারী নির্যাতিতা গৃহবধুকে সংস্থার পক্ষ থেকে সব রকম সহযোগীতা করা হবে।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply