নীলফামারী সদরে এক ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার
নীলফামারী সদরে জাহিদুল ইসলাম (৪৫) নামের এক ব্যাক্তিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (১৭ জানুয়ারী) সন্ধ্যা ৭টার দিকে নীলফামারী সদরের গোড়গ্রাম ইউনিয়নের বিহারীপাড়ার নিজবাসার ঘরের তালা ভেঙ্গে পুলিশ জাহিদুল ইসলামের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে। ধারনা করা হচ্ছে পূর্ব শক্রতার জের ধরে তাকে কেউ হত্যা করেছে। সে ওই গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। এলাকাবাসী জানায়, খুনের শিকার জাহিদুল ইসলাম এলাকার একজন সন্ত্রাসী বলে পরিচিত। সে একটি মামলায় দীর্ঘ দিন কারাগারে থাকার পর জামিনে বের হয়ে আসে। জাহিদুলের সঙ্গে তার বাবার পরিবারের সর্ম্পক না থাকায় সে পৃথক স্থানে বাড়ি বানিয়ে বসবাস করছিল। ইতোমধ্যে তার প্রথম স্ত্রী বিচ্ছেদ ঘটিয়ে চলে যায়। সম্প্রতি সে পাশ্ববর্তী দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার সূর্বণখুলী গ্রামে দ্বিতীয় বিয়ে করে। ১৫ দিন আগে তার দ্বিতীয় স্ত্রী রাগারাগি করে বাবার বাড়ি চলে যায়। এরপর গত ১২ দিন ধরে জাহিদুলকে এলাকায় আর ঘুরতে দেখা যায়নি। ঘটনার দিন বিকালে জাহিদুলের বাড়ির গেটে ও ঘরে তালা লাগা অবস্থায় পঁচা গন্ধ বেরিয়ে আসতে থাকলে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। নীলফামারী থানার ওসি বাবুল আকতার জানান, বাড়ির গেটে ও ঘরের দরজার তালা ভেঙ্গে ধারালো অন্ত্র দিয়ে গলা ও গোপনাঙ্গ কাটা ঘরের বিছানায় লেপ দিয়ে ঢাকা অর্ধগলিত একজনের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এলাকাবাসী লাশটি জাহিদুল ইসলামের বলে জানায়। বিছানার পার্শ্বে পাওয়া যায় একটি বড় ধারলো অস্ত্র। ধারনা করা হচ্ছে পূর্ব শুক্রতার জেরে কেউ তাকে হত্যা করতে পারে। মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।