নির্বাচনে অংশগ্রহণের পরিবেশ সৃষ্টি করার দায়িত্ব সরকারের-আবদুস সামাদ
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চট্টগ্রাম নগর উত্তর শাখার কাউন্সিল ও প্রীতি সমাবেশ আজ ১৩ জানুয়ারি শনিবার বিকেলে মুরাদপুরে একটি কমিউনিটি সেন্টার (আপন গার্ডেন) অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামী ফ্রন্ট নগর উত্তরের সভাপতি মুহাম্মদ নাঈমুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য সম্মিলিত জাতীয় জোট নেতা সাংসদ জিয়াউদ্দিন আহমদ বাবলু। অনুষ্ঠান উদ্বোধক ছিলেন ইসলামী ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়া সদস্য মাওলানা আবু সুফিয়ান আবেদী আল কাদেরী। প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা স উ ম আবদুস সামাদ। নবনির্বাচিত মহানগর উত্তর ইসলামী ফ্রন্ট নেতৃবৃন্দদের শপথবাক্য পাঠ করান ইসলামী ফ্রন্ট চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব সোলায়মান চৌধুরী। প্রধান অতিথি জিয়াউদ্দিন বাবলু বলেন, রাজনীতি আজ প্রকৃত রাজনীতিবিদদের হাতে নেই। সত্যিকার দেশপ্রেমিক, সৎ ও ন্যায়পরায়ণ মানুষেরা রাজনীতিতে দিন দিন কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। কালো টাকা ছড়িয়ে রাজনীতির অঙ্গনকে কলুষিত করে ফেলছে এক শ্রেণির মৌসুমী চাটুকার রাজনীতিক। জিয়াউদ্দিন বাবলু বলেন, এরশাদকে স্বৈরাচার বলা হলেও তাঁর আমলেই মানুষ সুখে শান্তিতে ছিল। তখন আজকের মতো হানাহানি খুনোখুনি-সংঘাত ছিল না। সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগে ফেলার রাজনীতি এরশাদ করেন নি। এরশাদ ছিলেন সত্যিকার অর্থে ইসলামের সেবক। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচনে দেশপ্রেমিক ইসলামপন্থী জনগণ ও দলগুলোকে রাষ্ট্রনায়ক এরশাদের নেতৃত্বে একই প্লাটফরমে আসতে হবে। দুই জোটের বিপরীতে এরশাদের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোটকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী করে দেশে শান্তি ও জননিরাপত্তা ফিরিয়ে আনার তাগিদ দেন তিনি। সম্মিলিত জাতীয় জোটের শরিক ইসলামী ফ্রন্টের সুন্নিয়ত ভিত্তিক ও গণমুখী রাজনীতির প্রশংসা করেন তিনি। প্রধান আলোচক মাওলানা স উ ম আবদুস সামাদ বলেন, রাজনীতি আজ টাকা কামানোর ও ক্ষমতার দাপট দেখানোর হাতিয়ার হয়ে পড়েছে। অসৎ ব্যবসায়িরা টাকার জোরে রাজনীতিতে এসে রাজনীতিকে কালিমালিপ্ত করে ফেলছে। তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইস্যূতে দুই জোটের বিপরীতমূখী অবস্থানে দেশবাসী শংকিত হয়ে পড়েছে। সকল দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করার বড় দায়িত্ব সরকারের। সভাপতির বক্তব্যে নাঈমুল ইসলাম বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন ইস্যুতে দুই বিবাদমান জোটের মধ্যে সমঝোতা না হলে আবারও ওয়ান ইলেভেনের মতো বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। সম্মিলিত জাতীয় জোটকে ক্ষমতায় এনে জনস্বস্তি ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান তিনি। নগর উত্তর ইসলামী ফ্রন্ট সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম শফি ও দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম শাকিলের যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির শিল্প বিষয়ক উপদেষ্টা ও সাবেক এম.পি সিরাজুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক এম.পি নজরুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সামশুল আলম মাস্টার, মহানগর জাতীয় পার্টির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তপন চক্রবর্ত্তী, সদস্য আলহাজ্ব এয়াকুব হোসেন, উত্তর জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক শফিক উল আলম, ইসলামী ফ্রন্ট সহ-অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন, কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক আলহাজ্ব আবদুর রহিম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা জালাল উদ্দিন আল আজহারী, উত্তর জেলা ইসলামী ফ্রন্ট সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা তৈয়ব আলী, দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক মাস্টার আবুল হোসেন, আনজুমানে খোদ্দামুল মুসলেমীন মদিনা মনোয়ারা শাখার সভাপতি মাওলানা করিম উদ্দিন নূরী, দুবাই প্রতিনিধি মাওলানা নুরুল আবছার তৈয়বী, যুবসেনা কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু আজম, ছাত্রসেনার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এস.এম শহিদুল্লাহ, মহানগর উত্তর বাংলাদেশ ইসলামী মহিলা ফ্রন্ট সভাপতি হাজ্জা কুসুম আকতার ভা-ারী। মহানগর উত্তর নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা শব্বির আহমদ ওসমানী, হাবিবুর রহমান সর্দার, মাওলানা ফজলুল করিম তালুকতার, মাওলানা আবু নাসের তৈয়ব আলী, জায়নুল আলম, সোহাইল উদ্দিন আনসারী, আবদুল করিম সেলিম, মো. নবী হোসেন, নুরুল ইসলাম শাকিল, এস.এম শাহজাহান, আহম্মদ শাহ আলমগীর, মো. আবদুর রহিম, আলমগীর, ছাত্রনেতা ফরিদুল ইসলাম, মহানগর উত্তর ছাত্রসেনার সভাপতি আবদুল কাদের রুবেল, ছাত্রনেতা মাছুমুর রশীদ কাদেরী, মো. মিজান প্রমুখ। জাতীয় পার্টি, যুব সংহতি, সৈনিক পার্টি, স্বেচ্ছাসেবক পার্টির নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শায়েস্তা খান চৌধুরী, অধ্যাপক নুরুল বশর সুজন, আবু মুছা তালুকদার, হাফিজুর রহমান, জহুরুল ইসলাম রেজা। অনুষ্ঠানে হাজারো ইসলামী ফ্রন্ট, যুবসেনা, ছাত্রসেনার নেতাকর্মীসহ সম্মিলিত জাতীয় জোট নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
