২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / রাত ৮:০০/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ৮:০০ অপরাহ্ণ

সুনামগঞ্জে প্রকল্পের বরাদ্ধ আত্মসাৎ ও অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন

     

সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা 
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়নের ইউপি সদস্যা কর্তৃক কাবিখা ও পাউবো পিআইসির প্রকল্পের কাজে অনিয়ম দুর্নীতি এবং সরকারী খাস ও ভিপি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের দায়ে দায়েরকৃত অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে অভিযোগগুলোর তদন্ত করেছেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার সহকারী কমিশনার শোভন রাংসা। অভিযোগে প্রকাশ,গত বছর ইউনিয়নের কান্দি ছমেদনগর গ্রামের এলজিইডি রাস্তা হতে অরুন এর বাড়ী হয়ে বুলবুলের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ করার জন্য বরাদ্দ পেয়ে কাজ না করেই উক্ত বরাদ্দ সংশ্লিষ্ট কমিটিকে নিয়ে আত্মসাৎ করেন ঐ ইউপি সদস্যা। জানা যায়,গত অর্থ বছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা ১ম পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় সদর উপজেলা পিআইও অফিসের মাধ্যমে জাহানারা খাতুনকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি মনোনিত করে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু কাজ না করেই তার নেতৃত্বাধীন কমিটি সরকারী বরাদ্দ আত্মসাৎ করে। অনুরুপভাবে সুনামগঞ্জ পাউবোর অধীনস্থ বনগাঁও পটাং খালের বামতীরে বাঁধ নির্মাণ হাওর প্রকল্প-১ এর নাম ব্যবহার করে ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে তিনি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। পিআইসি সভাপতি জাহানারা খাতুন সরকারের বরাদ্দকৃত প্রায় ১১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পাউবো কর্মকর্তা ও পিআইসির লোকজন মিলে পরস্পরের যোগসাজসে কাজ না করেই আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লেখ্য সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কানলার হাওরের ডুবন্ত বাধের ভাঙ্গা ও মেরামত কাজে ২৪৫ নং পিআইসির সভাপতি হচ্ছেন ইউপি সদস্যা জাহানারা বেগম। অভিযোগ রয়েছে সভাপতি জাহানারার নেতৃত্বাধীন প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি পিআইসি আদৌ কোন বাঁধে ছটাক পরিমান মাটি ফেলেনি। অন্যদিকে কান্দি ছমেদনগর গ্রামের মৃত রুসমত আলীর পুত্র আব্দুল করিম ও আব্দুল করিমের পুত্র আলী আহমদ জুলহাস কর্তৃক সরকারী ভিপি ও খাস খতিয়ানের জায়গা জোরপূর্বক দখল করে বিল্ডিং ভবন নির্মাণের দায়ে আনীত অভিযোগেরও তদন্ত করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
অভিযোগকারী হামদু মিয়া,রফিক মিয়া,আবুল কাশেম,কান্দু মিয়া,আমির হোসেন,মোস্তফা মিয়া,রুস্তম আলী,আব্দুর রহিম,সুরুজ আলী,অজু উদ্দিন,আব্দুস ছাত্তার ও ওমর আলীগং সাংবাদিকদের জানান, জাহানারা খাতুনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনে প্রথমে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেছি। অভিযোগ দায়েরের আক্রোশে ইউপি সদস্যা জাহানারা খাতুন অভিযোগকারীদেরকে মিথ্যে চাঁদাবাজীর মামলায় হয়রানীর হুমকী দিচ্ছেন বলেও তারা জানান। তারা আরো বলেন,তদন্ত কর্মকর্তা প্রকল্পের এক জায়গায় তদন্ত শুরু করলেও শেষ মাথায় গিয়ে তার সরজমিন তদন্ত সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করেননি।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি সদস্যা জাহানারা বেগম বলেন,আমি আমার প্রকল্পের কাজ ঠিকভাবেই করেছি। আমি কোন দুর্নীতির আশ্রয় নেইনি। চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বলেন,সদস্যা জাহানারা বেগমের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ হয়েছে সত্য। শনিবার সরেজমিনে এসে ম্যাজিস্ট্রেট শোভন রাংসা তদন্ত করে গেছেন।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply