২০ এপ্রিল ২০২৪ / ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ৪:৪১/ শনিবার
এপ্রিল ২০, ২০২৪ ৪:৪১ পূর্বাহ্ণ

সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে- নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল মালেক

     

 

দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে এবং নারী ও কন্যাশিশুর নেতৃত্বে বিশ^ এর সহযোগিতায় মেয়েদের জন্য সেরা বিদ্যালয় ক্যাম্পেইন উদ্যোগের মঙ্গলবার নওগাঁর  পত্মীতলায় উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে বার্ষিক পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান- ২০১৭ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়াও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সর্বাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করায় পত্মীতলা প্রেসক্লাব সভাপতি আলহাজ্ব বুলবুল চৌধুরীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।

উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পত্মীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল মালেক। প্রধান অতিথি বলেন “সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর নিজস্ব একটা কর্ম-পরিকল্পনা থাকা আবশ্যক। শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করা এবং মেয়েদের বিদ্যালয়ে ধরে রাখার দায়িত্ব শুধু শিক্ষকদের নয়, এক্ষেত্রে অভিভাবক, এনজিও এবং বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির দায়িত্বও রয়েছে। দি হাঙ্গার প্রজেক্ট সেই কাজটি করে চলেছে। আমাদের সবার উচিত হবে শিক্ষার্থীদের স্বার্থের দিকটি বিবেচনা করা। আজকের শিক্ষার্থী আগামি দিনে বাংলাদেশকে স্বনির্ভরতায় ভরিয়ে তুলবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়ম বেগম শেফা, উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার মাহমুদা সুলতানা, উপজেলা সমবায় অফিসার কে,এম সরওয়ার্দি, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সুলতান আহমেদ, উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার আলম আলী, উপজেলা নির্বাচন অফিসার জাহিদুর রহমান,  প্রেসক্লাব সভাপতি ও উপজেলা দূর্নীতি প্রেিরাধ কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব বুলবুল চৌধুরী, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ইজাবুল হক, সেরা বিদ্যালয় নির্বাচক প্যানেলের সভাপতি আলহাজ্ব জয়নাল আবেদিন ও গণগবেষণা ফোরাম সভাপতি শাহীনুর রহমান প্রমূখ।

বার্ষিক পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্যে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এসএম ওয়াজেদ আলী মৃধা বলেন “মেয়েদের জন্য সেরা বিদ্যালয় ক্যাম্পেইন উদ্যোগের ফলে পতœীতলা উপজেলায় বাল্যবিবাহ কমে গিয়েছে এবং বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা গুলোতে শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন অভিভাবকরাও বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখছেন। ফলে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শিক্ষা ব্যবসস্থা এগিয়ে চলেছে।

২০১৭ সালের সেরা উদ্যোগী শিক্ষক হিসেবে পুরষ্কৃত হন বাঁকরইল বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাসেদ আলী, কাদিয়াল সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক গোলাম রাব্বানী, চকমুলি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সনজিত কুমার মন্ডল এবং পাটুল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম। সেরা অভিভাবক হিসেবে পুরষ্কৃত হয়েছেন ডাসনগর মলংশাহ দাখিল মাদ্রাসার ১ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী শাপলার মা মনোয়ারা বেগম, পতœীতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মরিয়ম হাসদার মা সুমি হাসদা, বনগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী শারমিন আক্তারের মা শাহনাজ বেগম, পুঁইয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী হাসি’র মা রাজিয়া সুলতানা এবং দুঃসাহসী অভিভাবক হিসেবে আব্দুল মজিদ মিয়াকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।

এ বছর শিক্ষার্থীদের উদ্যোগের দৃষ্টান্ত হিসেবে সেরা ইউনিট পুরষ্কার পায় গগনপুর উচ্চ বিদ্যালয় ইউনিট, চকফরিদ মেহেরুল্লাহ দাখিল মাদ্রাসা, নিরমইল দারাজিয়া দাখিল মাদ্রাসা এবং সন্তোষপাড়া দাখিল মাদ্রাসা। পাঁচটি নির্ণায়কের ভিত্তিতে ২০১৭ সালে সেরা বিদ্যালয় হিসেবে পুরষ্কৃত হন মেয়েদের স্কুলে অংশগ্রহণ ও পড়াশুনার উন্নত মানের জন্য  উচ্চ বিদ্যালয়, মেয়েদের নেতৃত্বের বিকাশের জন্য খিরসীন এসকে উচ্চ বিদ্যালয়, সহায়ক পরিবেশের জন্য বামইল উচ্চ বিদ্যালয়, সামাজিক নিরাপত্তার জন্য গাহন উচ্চ বিদ্যালয় এবং কার্যকর শিক্ষক, অভিভাবক সভার জন্য পুঁইয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। এছাড়াও ক্যাম্পেইন পরিচালনাকারি ৪০ জন সহায়কের মধ্যে সেরা সহায়ক পুরস্কার পান আরিফুল ইসলাম এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সর্বাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করায়  প্রেসক্লাব সভাপতি আলহাজ্ব বুলবুল চৌধুরীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply