২৫ এপ্রিল ২০২৪ / ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ৪:৫৫/ বৃহস্পতিবার
এপ্রিল ২৫, ২০২৪ ৪:৫৫ পূর্বাহ্ণ

বাকলিয়ায় উঠান বৈঠকে সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম

     

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চট্টগ্রাম দরদী জননেত্রী বলে আখ্যায়িত করেছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কতৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়রম্যান আবদুচ ছালাম। চট্টগ্রাম দরদী নেত্রী হওয়ার কারণেই পদ্মা সেতুর পরে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে সবচেয়ে বড় প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
চাক্তাই হতে কালুরঘাট ব্রীজ পর্যন্ত কর্ণফুলীর তীরে বাঁধ ও রাস্তা নির্মাণ ও খাল খনন, সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন প্রকল্প সমুহের বাস্তবায়ন ও জনসচেতনতা সৃষ্টি লক্ষে প্রকল্প আওতাভুক্ত সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের জনসাধারণের সাথে ধারাবাহিকভাবে মতবিনিময় ও উঠান বৈঠকে সিডিএ চেয়ারম্যান এমন মন্তব্য করেন। ১৯ নং দক্ষিণ বাকলিয়া বেলাখান সওদাগর বাড়ি রোড সমাজ কল্যাণ কর্তৃক আয়োজিত এলাকাবাসীর সাথে মতবিনিময় ও উঠান বৈঠকে মিলিত হন তিনি।
বিশিষ্ট সমাজ সেবক আলহাজ হাফেজ হারুনুর রশিদের সভাপতিত্বে ও সিটি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি শফিউল আজম বাহারের পরিচালনায় বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আলহাজ পেয়ার মোহাম্মদ সওদাগর, আলহাজ নুরুল আলম শান্তি, আলহাজ সোলেমান খান, আজিজ খান, আবদুল হাকিম খান, হাফেজ ইমরান খান, রেজাউল করিম রেজা মিয়া, আবদুল নুর, আবদুল মান্নান, জসিম উদ্দিন, শফিউল আজম হিরু, আবদুল মান্নান, এন. মোহাম্মদ পুতু. গাফ্ফার থান. আমিন খান, আবুল কাশেম মাস্টার, মো. আক্কাস, ইকবাল হোসেন খান, মো. মহিবুল্লাহ, মো. খোরশেদ, মো. ইলিয়াস, দস্তীগর আলম সুমন, ছাগির আলম সাগর, মিজানুর রহমান, আবু মোরশেদ, মো. কামাল, মো. মহিম, মো. সোহেল, মো. ফারুক। মোনাজাত পরিচালনা করেন মৌলনা মো. জাবেদ।
বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন, চট্টগ্রাম দরদী কোন প্রধানমন্ত্রী থাকলে সে হচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। এমন চট্টল দরদী প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের ইতিহাসে আর আসবে কিনা আমার সন্দেহ। চট্টগ্রামের প্রতি তার গভীর ভালবাসার কারণে চট্টগ্রাম আজ উন্নয়নের মহাসড়কে উর্ত্তীন হয়েছে চট্টগ্রাম মহানগরের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং জলবদ্ধতা নিরসনে তিনি গত ৮ বছওে প্রায় বিশ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের অনুমোদন দিয়ে এক ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন।
পদ্মা সেতুর পর চট্টগ্রামের জন্য সর্ববৃহৎ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছেন জানিয়ে আবদুচ ছালাম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি সকল সংস্থাকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এ সমস্যার সমাধান করতে কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক। আমাদের সবাইকে একটু ধর্য্য ধারণ করতে হবে। একদিনে এ সমস্যার সমাধান হবে না। তবে আগামী এক বছরের মধ্যে জলাবদ্ধতা সমস্যার দৃশ্যমান পরিবর্তন আপনারা দেখতে পাবেন ইনসাআল্লাহ। সবাই দোয়া করবেন, যেন জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান না করে আল্লাহ পাক আমার মৃত্যু না দেন।
এলাকাবাসীকে সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়ে আবদুচ ছালাম বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসন শুধু সরকারের একার কাজ নয়। আপনাদেরও সচেতন হতে হবে। আপনারা যত্রতত্র-খালের মধ্যে আবর্জনা ফেলবেন না। খালের পাড় দখল করবেন না। অবৈধ দখলে থাকলে আল্লাহর ওয়াস্তে দখলমুক্ত করে দেন। সবাই সজাগ হলে জলাবদ্ধাতা থেকে সহজে মুক্তি মিলবে।
বক্তারা আরো বলেন, বাকলিয়াবাসীর দুঃখ জলাবদ্ধতা। বৃষ্টি হলে যেমন বাকলিয়াবাসী পানিতে নিমর্জিত হয়, তেমনি দিনে দুইবার জোয়ারের পানিতেও তালিয়ে যায় এখানকার অনেক এলাকা। সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বাকলিয়াবাসীর এ দুঃখ অন্তর থেকে অনুভব করেই জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রকল্প নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হওয়ার কারণে দ্রুত তিনি সে প্রকল্পের অনুমোদন নিয়ে কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন। সিডিএ চেয়ারম্যান আমাদের অভিভাবক। তাকে সব ধরনের সহযোগিতা করে আমাদের এ সমস্যার সমাধান করতে হবে। বাকলিয়াবাসী সব সময় সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামের সাথে আছে, থাকবো। বাকলিয়াবাসী আবদুচ ছালামের ঋণ কোনদিন শোধ করতে পারবে না।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply