ছাতকে ভূমি অফিসের দূর্নীতির ঘটনায় তোলপাড়
ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
ছাতকে ভূমি অফিসের অভ্যন্তরে সীমাহীন ঘুষ দূর্নীতির ঘটনা প্রকাশ হওয়ায় মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর রাতেই অফিস সহকারির নেতৃত্বে ৪জন তহশীলদারকে নিয়ে গোপন বৈঠক করা হয়েছে। এসময় তার আরো ৪জন প্রাইভেট অলিখিত কর্মচারি উপস্থিত ছিলেন। এনিয়ে সর্বত্র তোলপাড় চলছে। জানা যায়, ছাতক এসিল্যান্ড অফিসের সহকারি শামছুদ্দোহা যোগদানের পর এখানে ব্যাপক ঘুষ বানিজ্য বৃদ্ধি পাওয়ায় ৩ লক্ষাধিক জনসাধারণ ভূমি সংক্রান্ত বিষয়ে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েন। এসিল্যান্ড অফিসের অধিনে পীরপুর, জাহিদপুর, জগঝাপ ও ছাতক সদরসহ ৪টি ভূমি অফিস রয়েছে। এসিল্যান্ড অফিসে সেবা নিতে আসা লোকজনের সাথে টাকা ছাড়া কথাও বলতে রাজি হননা দায়িত্বরতরা। তাদের কাছে আগে ঘুষ পরে কাজ এমন নীতিতে তারা অফিস পরিচালনা করছেন। এখানে টাকা ছাড়া যেন ফাইল নড়েনা। এসব অপকর্মে নেতৃত্ব দিচ্ছেন অফিস সহকারি শামছুদ্দোহা ও কানুনগোর দায়িত্বে থাকা সার্ভেয়ার পিকলু চৌধুরী। তাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেছেন সেবা নিতে আসা ভূমি মালিকরা। শামছুদ্দোহার রয়েছে অজয়, আকমল, আলতাব ও মাসুম নামে ৪জন প্রাইভেট কর্মচারি। এসব কর্মচারিদের অন্যায় আবদারের কাছে অফিস যেন জিম্মি। অফিস সূত্র জানায়, ৪টি তহশীল অফিসের মাধ্যমে এখানে বছরে প্রায় ৩হাজার নামজারি মোকদ্দমা দায়ের হয়ে থাকে। এসব নামজারি জমা খারিজ, হালনাগাদ রেকর্ড সংশোধন ইত্যাদির অজুহাতে দলিলের প্রকার ভেদে সর্বনিম্ন ১০হাজার থেকে লক্ষাধিক টাকা ঘুষ আদায় করা হয়। এসব টাকার সিংহভাগ শামছুদ্দোহার পকেটস্থ হয়। অথচ সরকারি নিয়মানুযায়ি প্রতি নামজারির ফি সাড়ে বার শ’ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া প্রতি নামজারি মোকদ্দমা এন্ট্রির নামে আদায় করা হয় আরো ৫শ’ টাকা করে। সে প্রতিদিন ৪প্যাকেট বেনসন সিগারেট সাবাড় করে থাকে। সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের ভূক্তভোগিরা তার বিরুদ্ধে অবাধ ঘুষ বাণিজ্যের একাধিক লিখিত অভিযোগ করলেও কোন প্রতিকার হয়নি। এব্যাপারে সামছুদোহা তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে অফিসে গিয়ে চা-খাওয়ার দাওয়াত দেন। এব্যাপারে এসিল্যন্ড সোনিয়া সুলতানার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।