২৪ এপ্রিল ২০২৪ / ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ১:২৯/ বুধবার
এপ্রিল ২৪, ২০২৪ ১:২৯ পূর্বাহ্ণ

শার্শায় ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা

     

 

বেনাপোল প্রতিনিধি 

প্রেমিককে নিজ ঘরে নিয়ে এসে শারিরীক সম্পর্করত অবস্থায় ধরা পড়ে যান মায়ের চোখে। এ নিয়ে স্কুল পড়ুয়া মেয়ের সঙ্গে মায়ের ঝগড়া। যার শেষটা হয় আত্মহত্যায়। এমনই ভাষ্য এলাকাবাসীর। এ ব্যাপারে যশোরের শার্শা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দু’পক্ষই বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ছিল মরিয়া। এমনকি পুলিশের সঙ্গে আঁতাত করে গোপনে দাফনের ব্যবস্থাও প্রায় সম্পন্ন। তবে এলাকাবাসী ও স্থানীয় সংবাদকর্মীদের চাপেরমুখে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠাতে বাধ্য হয় পুলিশ।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথপোকথনে আরো জানাযায়, শার্শা উপজেলার বন মান্দারতলা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে আব্দুস সালাম সিঙ্গাপুর থেকে ফিরে স্থানীয় ইমাদুল ইসলামের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে ফাতেমা খাতুনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। ঘটনাটি দু’পক্ষের মধ্যেই জানা ছিল। শনিবার রাতে ফাতেমার ঘরে ঢুকে তার সঙ্গে শারিরীক সম্পর্কে লিপ্ত হয় সালাম। আপত্তিকর অবস্থায় ফাতেমার মা দেখে ফেলে। এ সময় সালাম পালিয়ে যায়। মায়ের কাছে ধরা পড়ে যাওয়া। এ নিয়ে মা-মেয়ের তুমুল ঝগড়া। পরিবার থেকে রায় না পেয়ে এরপর লোক লজ্জার ভয়ে ফাতেমা রোববার গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে।
ক্ষমতাশীন দলের স্থানীয় লোকজন উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের মাধ্যমে স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে আঁতাত করে ময়না তদন্ত ছাড়াই দাফনের ব্যবস্থা করে। পরে গণমাধ্যমকর্মীরা এ ঘটনা জেনে যায়। এতে বাধ্য হয়ে রাতে মরদেহ উদ্ধার করতে গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ লুৎফর রহমান ঘটনা স্থলে যায়।
শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ এম মসিউর রহমান বলেন, ‘এটা ধর্ষণের ঘটনা নয়। বাড়িতে মা বাবার সাথে ঝগড়া হয়েছে। তাই সে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে।’
শার্শার নাভারণ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনা শুনেছি। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।’

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply