২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৫:২১/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ৫:২১ অপরাহ্ণ

মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

     

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার নন্দনপুর কাদেরিয়া দাখিল মাদ্রাসার কৃষি শিক্ষক ইমাম হোসেনের বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এনিয়ে সম্প্রতি ২৪জন ছাত্রী মাদ্রাসা সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে।
তবে এ ঘটনায় মাদ্রাসা সুপার নিয়ম রক্ষার কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েই দায় সেরেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে ছাত্রীদের ধর্ষণের অভিযোগে শনিবার দুপুরে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির এক সভার আয়োজন করা হয়। এ সময় ওই শিক্ষকের বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে। পরিস্থিতি সামলাতে মাদ্রাসা সুপার মাদ্রাসা ছুটি ঘোষণা করেন।খবর পেয়ে পুলিশ মাদ্রাসা থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক ইমাম হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নন্দনপুর কাদেরিয়া দাখিল মাদ্রাসায় প্রায় দুই বছর আগে ইমাম হোসেন যোগদান করেন । অভিযুক্ত শিক্ষক নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার খানপুর গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে। তিনি শুরু থেকেই ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়ানোর সময় ধর্ষণ এবং ক্লাসে যৌন হয়রানি করতেন।
তার যৌন হয়রানি বিষয়টি ছাত্রীরা একাধিকবার সুপারকে জানালেও তিনি কর্ণপাত করেননি। সম্প্রতি পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির ২৪জন ছাত্রী লিখিত অভিযোগ করে। পড়ে ইমাম হোসেনকে ১০ অক্টোবর কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন সুপার। এরপর ইমাম হোসেন আত্মগোপনে চলে যান। ১২ অক্টোবর তিনি শোকজের জবাব দেন ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিন ছাত্রী জানায়, শিক্ষক ইমাম হোসেন কৌশলে তাদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেছেন। ওই শিক্ষক তাদের মতো অন্তত ৫০-৬০জন ছাত্রীর সাথে যৌনকর্ম করেছেন। বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে তাদের ক্ষতি হবে বলে চুপ থাকতে বলেন।
মাদ্রাসা সুপার মো. আতিকুর রহমান বলেন, ইমামের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের লিখিত অভিযোগ পেয়ে দু’বার তাকে শোকজ করা হয়েছে। জবাবে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ওই শিক্ষকের বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শনিবার দুপুরে মাদ্রাসা ছুটি দেওয়া হয়। রবিবার শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক নিয়মে চলবে।
মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি সৈয়দ আবুল কাশেম বলেন, বিষয়টি লজ্জাজনক। এ বিষয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভা করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয়েছে ।
সদর মডেল থানার ওসি মো. লোকমান হোসেন বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। ছাত্রীদের অভিভাবকরা থানায় এখনো আসেনি। তাদের লিখিত অভিযোগের আলোকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।সুত্র ইত্তেফাক
শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply