২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৫:৩৪/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ৫:৩৪ অপরাহ্ণ

ইপিজেড চত্বরে ভোক্তা অধিকারের মানববন্ধনে বক্তারা অসহনীয়ভাবে চালের মূল্যবৃদ্ধি অবিলম্বে রোধ করতে হবে

     

 

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কাউন্সিল অব ভোক্তা অধিকার বাংলাদেশ (সিআরবি)’র উদ্যোগে আজ ৬ অক্টোবর শুক্রবার বিকালে নগরীর ইপিজেড চত্বরে সাম্প্রতিক সময়ে চালের মূল্য অসহনীয়ভাবে বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ প্রতিবাদ সমাবেশ সংগঠনের মহানগর সমন্বয়কারী মোঃ আবদুস সামাদ রুবেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজনীতিবিদ ও শ্রমিকনেতা এড. মোঃ জানে আলম। প্রধান বক্তা ছিলেন ভোক্তা অধিকার এক্টিভিস্ট নোমান উল্লাহ বাহার। বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ ফসিউল আলম, ইকো ফ্রেন্ডসের সাংগঠনিক সম্পাদক কাইমুর রশিদ বাবু, সিআরবি শাখা সমন্বয়ক মুহাম্মদ আলী, এম আশরাফ চৌধুরী, উৎপল কুমার দাশ, মুহাম্মদ রেজাউল হক ফারুক, মোঃ ইসলাম, মোঃ খলিলুর রহমান, মোঃ সোহেল, মোঃ নয়ন, এ.কে সিরাজী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলেও অধরা নেপথ্য নায়করা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে গত পাঁচ মাসে চালের বাজার থেকে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা পকেটস্থ করেছে চালের বাজারের নিয়ন্ত্রক বিশেষ সিন্ডিকেটের সদস্যরা। অথচ এই সময়ে দেশে চালের মজুদ এক কোটি টনের বেশি ছিল বলে নিশ্চিত করেছেন খোদ খাদ্যমন্ত্রীসহ সরকারের সংশ্লিষ্টরা। এমনকি বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর মজুদদারদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যদিও সরকারের নীতিনির্ধারকদের দাবি, এই মজুদদাররা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে চাল নিয়ে চালবাজি ও ষড়যন্ত্র করেছে। তাই আমাদের প্রশ্ন এই ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না ?
চালের এই কৃত্রিম সংকটে সরকারের ভাবমূর্তির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ খাদ্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনও বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া চালের দাম অতিরিক্ত হওয়ায় চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন ভোক্তারা। চালের দাম কমার সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশ হলেও এখন পর্যন্ত খুচরা বাজারে পড়েনি তেমন কোনো প্রভাব। প্রায় জায়গায় আগের বাড়তি দামে অথবা সামান্য কিছু কমিয়ে চাল বিক্রি করছেন খুচরা বিক্রেতারা। এমন পরিস্থিতিতে সিন্ডিকেট সদস্যরা সরকারের কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা বাগিয়ে নিয়ে নির্বিঘেœ চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের রমরমা ব্যবসা। ছোটখাটো অভিযানের মাধ্যমে দু’চারজন চুনোপুঁটি ধরা হলেও চাল কারসাজির নেপথ্যের নায়কদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি আড়ালেই থেকে যায়। আমরা ভোক্তা অধিকার লুণ্ঠনকারীদের চাল ব্যবসায়ী ও সরকার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের শাস্তি দাবী করছি এবং যারা চাল কারসাজির নেপথ্যের নায়কদের শাস্তি না দিয়ে তাদের সাথে সমঝোতা করছে তার নিন্দা জানাচ্ছি।
সভায় বক্তারা চালের মূল্য বৃদ্ধি রোধে ৭টি সুপারিশ উত্থাপন করেন-(১) প্রথমত ওএমএস পদ্ধতিতে খোলা বাজারে চাল বিক্রি করা এবং ভিজিএফ, ভিজিডি ও টিআর কর্মসূচি চালু। (২) চিহ্নিত মিল মালিক ও চাল ব্যবসায়ীদের অযৌক্তিক মুনাফা লাভের ধারা থেকে ফিরিয়ে আনা। (৩) অবাধ ব্যাংক ঋণ মনিটরিং ও ছাড়কৃত ঋণে সুদ সহনীয় রাখা। (৪) খাদ্যপন্য ব্যবসায়ীরা যাতে ব্যাংক ঋণ নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের বেশি খাদ্যশস্য গুদামজাত করতে না পারে সে জন্য মজুদ বিরোধী আইন কার্যকর। (৫) বাজার মনিটরিং বৃদ্ধি। (৬) ধানী জমিতে তামাক চাষ বন্ধে নীতিমালা প্রণয়ন। (৭) কৃষকদের ধান উৎপাদনে উৎসাহিত করতে মৌসুমী ধানের ন্যার্য্য মূল্য নিশ্চিত করা।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply