২৩ এপ্রিল ২০২৪ / ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ৯:১১/ মঙ্গলবার
এপ্রিল ২৩, ২০২৪ ৯:১১ অপরাহ্ণ

খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা অস্বস্তিতে অনন্ত আবাসিকে এখনো অসামাজিক কাজ বন্ধ হয়নি

     

বাংলাপোষ্টবিডিডট.কম

 

সন্ত্রাসী,  জুয়ারু ও ইয়াবাসেবীদের আনাগোনায় খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা অস্বস্তিতে  ভোগছে। ভয়ে ভয়ে দিন কাটছে অনেকের।বিভিন্ন দোকানের পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ীরা নগদ টাকা নিয়ে এদিকে আসতে ভয় পাচ্ছে।  একটি আবাসিক হোটেলের কারণে এমন অবস্হায় পড়েছে ব্যবসায়ীরা।ওই হোটেলে দিন রাত চলে অসামাজিক কাজ।মাত্র ২শত গজ অদূরে  অবস্হিত নিলুফা-কায়সার কলেজের ছাত্র- ছাত্রীদের কাছে আপত্তিকর দৃশ্য চোখে পড়ছে প্রতিদিন।দস্তুরমতো কয়েকজন বখাটে পড়ুয়ারা খদ্দের বনেছে এখানে। অভিভাবকেরা বিষয়টি নিয়ে চরম টেনশানে রয়েছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রীর অভিভাবক বলছে ওই হোটেলের কারণে তার মেয়েকে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যাবে। অপরাধীদের মূল আশ্রয়স্হল এটি।  মুক্তিযোদ্ধা দাবীদার এক ব্যক্তির তত্বাবধানে চলছে এই দুই নম্বরী কাজ। সংবাদ প্রকাশের পরও প্রশাসনের টনক নড়েনি। বন্ধ হয়নি অসামাজিক কর্মকাণ্ড । চট্টগ্রামের এক মন্ত্রী বাড়ীর পাশে এই অসামাজিক কর্মকাণ্ডের হোতা মুরশেদের বাড়ী এই পরিচয় দিচ্ছে সবাইকে।

আমাদের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, আবাসিক হোটেলের নাম দিয়ে এখানে মূলত চলছে দেহ ব্যবসা। উঠতি বয়সের ছাত্র ও যুবকেরাই এখানে খদ্দর হিসেবে আসে।মোরশেদ ও সুমন নামক দুই ব্যক্তি এইসব কাজ পরিচালনা করে থাকে।তারা প্রকাশ্য বলে বেড়ায় প্রশাসনকে টাকা দিয়ে নিরাপদে এই কাজ তারা করে।ওই হোটেলের মালিকও জানে বিষয়টি। হোটেলটির নাম ইতিপূর্বে বহুবার পরিবর্তন হয়েছে।সর্বশেষ লাবনী এখন অনন্ত নামে চলছে। অপারেশান ক্লীন হার্টের সময়সহ বহুবার হোটেলটি প্রশাসনের নজরে পড়েছে।বন্ধ হয়েছে বহুবার আবার কিছুদিন পর চালুও হয়।এই কথাগুলো বলল স্হানীয় ব্যবসায়ীরা। হোটেল মালিক বার বার এইসব দুই নম্বরী ব্যবসায়ীদের কেন ভাড়া দেন এই প্রশ্ন তুলেছেন ব্যবসায়ীরা। মালিকও এই অসামাজিক কাজের সাথে জড়িত বলে অনেকে সন্দেহ করছে।বিষয়টি খতিয়ে দেখলে বুঝা যাবে কেন স্হায়ীভাবে অসামাজিক কাজ বন্ধ হচ্ছে না। এই অসামাজিক কাজের প্রতিবাদে ব্যবসায়ী ও কলেজ ছাত্র- ছাত্রী অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ জমতে শুরু হয়েছে।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply