উল্টোপথে এসে ফের ধরা সমবায় সচিবের গাড়ি
উল্টোপথে গাড়ি নিয়ে এসে পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পরদিন একই কাজ করলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মাফরুহা সুলতানা। আজ সোমবার সন্ধ্যায় শেরাটন হোটেলের দিক থেকে উল্টোপথে এসে বাংলামটর মোড়ে পৌঁছানোর কিছুটা আগে তার গাড়ি আটকায় ট্রাফিক পুলিশ। এদিন উল্টোপথে আসা পুলিশ সুপার পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তার গাড়িও আটকানো হয়।
ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. মোসলেহউদ্দিন আহমেদ ও উপ-কমিশনার রিফাত রহমান শামীম এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন। পরে যুগ্ম কমিশনার মফিজ উদ্দিন আহম্মেদও তাদের সঙ্গে যোগ দেন।
সোমবার বিকেলে হেয়ার রোড, রূপসী বাংলা হোটেলের সামনে, বাংলামোটর ও বিজয়সরণি এলাকায় অনেক গাড়ি উল্টোপথে চলতে দেখা গেছে। অথচ এর ২৪ ঘণ্টা আগে রোববার বিকেলে ওই এলাকায় দুদক চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে ট্রাফিক পুলিশ অভিযান চালিয়ে জরিমানা করে।
সরেজমিনে বিকেল ৪টা থেকে পৌনে ৫টা পর্যন্ত হেয়ার রোডে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনের সামনে দেখা যায়, এই পৌনে এক ঘণ্টায় কমপক্ষে ২৫টি গাড়ি ও ৩০টি মোটরসাইকেল উল্টোপথে চলতে। এর মধ্যে এমপি, অর্থ মন্ত্রণালয় ও পুলিশসহ সরকারি বিভিন্ন দফতর এবং বেসরকারি গাড়িও ছিল।
বিকেল ৩টা থেকে পৌনে ৪টা পর্যন্ত রূপসী বাংলা হোটেলের বিপরীতে (মিন্টুরোড থেকে যাওয়ার পথে) উল্টোপথে বেশ কিছু গাড়ি চলতে দেখা যায়। এর মধ্যে ৩টা ২২ মিনিটে একটি সাদা হাইস গাড়ি (ঢাকা মেট্টো গ-১৭-৮৫৪১) মিন্টুরোডের দিক থেকে উল্টোপথে রুপসী বাংলা ক্রসিংয়ের দিকে যায়। পৌনে ৪টার দিকে নীল রঙেরর একটি পুলিশের জিপ গাড়ি উল্টোপথে চলে যায়। এর আগে ৩টা ৩২ মিনিটে একটি প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্টো-গ ২৯-৬৮৫৪) মিন্টুরোডের দিক থেকে বের হয়ে উল্টোপথে রুপসী বাংলা ক্রসিংয়ের দিকে চলে যায়। গাড়িটির সামনে ‘পুলিশ’ লেখা স্টিকার ছিল।
এই এলাকার দায়িত্বরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সংগ্রাম দেবনাথ জানান, দুপুরের পর উল্টোপথে চলায় রুপসী বাংলার বিপরীতে তিনটি গাড়িকে জরিমানা করা হয়েছে। এরমধ্যে একটি মোটরসাইকেল এবং দুটি প্রাইভেটকার।
উল্টোপথে একাধিক গাড়ি চলতে দেখা গেছে, সে তুলনায় মামলা কম কেন-জানতে চাইলে তিনি বলেন, একজন সার্জেন্টেরে পক্ষে তো একবারেই সব গাড়ি ধরা সম্ভব নয়। এরপরও চেষ্টা অব্যাহত আছে।এবিনিউজ