মেক্সিকোয় ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪৯
মেক্সিকোর মধ্যাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৯ জনে। ৭ দশমিক ১ মাত্রার এই ভূমিকম্পে রাজধানী মেক্সিকো সিটির বহু ভবন ধসে পড়েছে। মোরেলাস ও পুয়েবলা প্রদেশ দুটিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ দফতরের তথ্য অনুযায়ী, এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মেক্সিকো সিটি থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে পুয়েবলা রাজ্যের আতেনসিঙ্গো এলাকায়। কেন্দ্র ছিল ভূ-পৃষ্ঠের ৫১ কিলোমিটার গভীরে।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বেলা ১টার পরপর এই ভূমিকম্পে সব কিছু কাঁপতে শুরু করলে মানুষ আতঙ্কে রাস্তার বেরিয়ে আসে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, এ পর্যন্ত ১৪৯ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মেক্সিকো সিটির দক্ষিণে অবস্থিত মোরেলাস প্রদেশে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ৫৪ জনের মৃত্যু সংবাদ নিশ্চিত করেছে সেখানকার গভর্নর। এ ছাড়া দক্ষিণ-পূর্বের শহর পুয়েবলাতে ও পশ্চিমের মেক্সিকো প্রদেশে অনেকেই হতাহত হয়েছে।
ভূমিকম্পের পরপর কাজ শুরু করেন উদ্ধারকর্মীরা। তবে যোগাযোগব্যবস্থা প্রায় অচল হয়ে পড়ায় উদ্ধারকাজে বিঘ্ন ঘটছে বলে জানিয়েছে সিএনএন। বিদ্যুৎ ও টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। ৪৪টি স্থানে উদ্ধারকাজ চলছে বলে জানিয়েছেন মেক্সিকো সিটির মেয়র মিগুয়েল অ্যাঙ্গেল টেলেভিসা।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট এনরিক পেনা নিয়েতো এই বিপর্যয়ে দেশবাসীকে শান্ত থাকতে অনুরোধ জানিয়েছেন।
ড্যানিয়েল লিবারসন নামের এক পর্যটক জানান, ভূমিকম্পের সময় তিনি ছিলেন একটি হোটেলের ২৬ তলায়। পুরো ভবন তখন এপাশ-ওপাশ দুলছিল। ভেঙে পড়ছিল জানালার কাচ।
টেলিভিশনে আসা ছবিতে দেখা যায়, রাজধানীতে একটি বহুতল ভবনের মাঝের একটি ফ্লোর ধসে গেছে, সেখানে ছুটে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।
মেক্সিকো সিটির দক্ষিণ দিকের শহর কুয়েরনাভাকায় ধসে পড়া ভবনের নিচে অনেকে চাপা পড়েছেন বলে স্থানীয় রেডিওর সংবাদে বলা হয়।
১৯৮৫ সালের এই দিনেই আরেকটি ভয়াবহ ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল মেক্সিকোতে। উত্তর আমেরিকার ভূমিকম্পপ্রবণ এই দেশের দক্ষিণাঞ্চলে চলতি মাসের শুরুতেই আরেকটি বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়। ৮ দশমিক ১ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে নিহত হয় অন্তত ৯০ জন।