২৮ মার্চ ২০২৪ / ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / সন্ধ্যা ৬:১৩/ বৃহস্পতিবার
মার্চ ২৮, ২০২৪ ৬:১৩ অপরাহ্ণ

আরালে হারানো

     

রাহাত ভাই

ঐত, ঐখানেইত ছিল,শিমুল-কুলের
গাছ দুটি,
ছাঁয়ায় বসা রাখালের দল আর
দলপতি ;
কাঁশ ফুলের কান্ডে কান্ডে
বোনা টুপি পড়ে।
রাখালী বাঁশির সুর ছড়িয়ে যেত,
তেপান্তরের সীমানা ছাড়িয়ে,
দুর পাহড়ের গায়,
আর উল্লাসে মেতে উটে দলের
ছোট রাখালেরা,
লাঠির কারসাজি, ঘুড়ি
উড়াতে,আর
ডাংগুলি খেলায়,কে কার চেয়ে
পারদর্শী।
আজ তারা কই সব? কোথায় যে
হারাল-আড়ারে
“বন বাহারের খোলা মাঠ আর
গোহাল ভরা গরু নেই বলে
;রাখালও আর নেই।
বলে বাল্যবন্ধু আমারে।
আমার যে খুব ইচ্চে করে আবারো,
আবারো তাঁহাদের সাথে
বসে,পোড়া মাছ আর
ঝলসানো কাঁকরার কুড়মুড়ে স্বাধ
নিতে।
দুপুরের আহারের পর ক্লান্ত সবাই,
দুর্ব্বা ঘাঁসে শুয়ে শুয়ে বিশ্রাম
নিতে।
আমার যে খুব ইচ্চে করে,
কৃষাণের সাথে মই চড়ি,
লাঙ্গলের মুষ্টি  ধরি,
বীজ বুনে শশ্যে শশ্যে গোলা ভরি।
ইচ্চে করে,
কৃষাণের সাথে,শীতল পাটিতে
বসে,
লংকার ঝাল আর পান্তা ভাতের
অনন্য স্বাধ নিত।
আজো কি রাখাল মহিষের পিটে
চড়ে ;
সোনালী বালুর চড় পেড়িয়ে
“যাদুকাটার “শীতল জলে,জল পান
করে।
আমারও যে খুব ইচ্চে করে,
তাহাদের সাথে, মহিষের পিঠে
চড়তে,শীতল জলে শীতল হতে।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply