২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / দুপুর ১২:৫১/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ১২:৫১ অপরাহ্ণ

গোলাম রসুলের স্বপ্নে ভরা অন্তর,প্রধানমন্ত্রীর হাতে জমির দলিল হস্তান্তর

     

কে.এম-রিয়াজুল ইসলাম,বরগুনা প্রতিনিধি
মারা যাওয়ার আগে নিজ জমির দলিল প্রধানমন্ত্রীর হাতে হস্তান্তর করতে চান বরগুনার উপকুলীয় অঞ্চল পাথরঘাটা উপজেলার সাগরপাড়ের দরিদ্র পল্লীতে বসতরত গোলাম রসুল। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করাটাই যেন তার জীবনের শেষ ইচ্ছা। আগস্টের শোককে লালন করে আছেন   বঙ্গবন্ধুপ্রেমী এই মানুষটি আজও তার অন্তরে। বঙ্গবন্ধু পরিবারকে ভালবেসে ছেলে-মেয়েদের নাম রেখেছেন হাসিনা, রেহানা, জামাল, কামাল ও রাসেল।
৭০ বছরের বৃদ্ধ গোলাম রসুলের মনের আসা, তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য যে জমিটুকু রেখেছেন, সাক্ষাৎ করে সেই জমির দলিল দেবেন। ওই জমিতে একটি ভবন নির্মাণ করার ইচ্ছা তার দীর্ঘদিনের। যেখানে দুর্যোগে মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে।
বঙ্গোপসাগরের মোহনা বিষখালী নদীরপাঁড়ে পাথরঘাটার পৌর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দরিদ্রপল্লীতে এই বঙ্গবন্ধুপ্রেমীর বাড়ি। ছেষট্টির ৬ দফা এবং আটষট্টির আগরতলা মামলার সময় থেকেই বঙ্গবন্ধুর ভক্ত আজও। জাতির জনককে ভালবাসেন অন্তর থেকে।
১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু পাথরঘাটা আসলে তার সাথে দেখা হয় গোলাম রসুলের। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনীর বামনার বুকাবুনিয়া ৯ নম্বর সাব সেক্টরের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন গোলাম রসুল।বর্তমানে বৃদ্ধ অবস্থায় পৌর আওয়ামী লীগের দায়িত্ব পালন করে আসছেন নিজ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি হিসেবে। বাড়ির সামনে নিজ ওয়ার্ডে দলীয় কার্যালয় করেছেন,যা অর্থের অভাবে থেমে আছে।জানা গেছে, বিএনপির আমলে একাধিক মিথ্যা মামলার শিকার হন গোলাম রসুল। সেসময় মামলা চালাতে গিয়ে আর্থিক ক্ষতির স্বীকার হতে হয় গোলাম রসুলকে।বৃদ্ধ অবস্থায় এখন বাড়িতে বসে ফলের গাছ লাগান এবং তার পরিচর্যায় দিন কাটান। বয়সের ভারে নুয়ে পড়া মানুষটি এখন আর যেতে পারছেন না বাজার ঘাটে। তার নিজের নামে রেকর্ড করা জমির একটি অংশ রেখেছেন শেখ হাসিনার নামে,যেখানে তার ইচ্ছা একটা ভবন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে।উপকূলীয় দরিদ্র মানুষেরা যাতে সেখানে প্রাকৃতিক দূর্যোগে আশ্রয় নিতে পারে। গোলাম রসুলের শেষ ইচ্ছা মৃত্যুর আগে হলেও প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে সেই জমির দলিল তার হাতে দিয়ে আসা।
রসুল জানান, সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল তার। তবে সেসময় এ ইচ্ছার কথা বলা হয়নি।
পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও  পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন জানান, গোলাম রসুল ভীষণভাবে বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসতেন। বঙ্গবন্ধু শাহাদাতের খবর শুনে রসুল মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছিলেন।আওয়ামী লীগের জন্য তার অবদান অনেক। নিজের সন্তানদের নামও বঙ্গবন্ধুর সন্তানদের নামানুসারে রেখেছেন।রসুলের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করবেন। নিজের জমিতে তিনি দুর্যোগ আশ্রয় কেন্দ্র করবেন।  প্রধানমন্ত্রীর হাতে জমির দলিলটুকু তুলে দেওয়াই হলো জীবনের শেষ ইচ্ছে গোলাম রসুলের।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply