২০ এপ্রিল ২০২৪ / ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৪:৪৫/ শনিবার
এপ্রিল ২০, ২০২৪ ৪:৪৫ অপরাহ্ণ

শোকের মাসে প্রকাশিত বরগুনার তালতলী উপজেলা গাইড সংযোগ-এ স্থান পেলনা বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা জনমনে ক্ষোভ চরমে

     

শোকের মাস আগষ্ট, আর এ মাসে প্রকাশিত যে কোন পেপার পত্রিকায় ও বই-পুস্তকে স্থান পায় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের একাধিক ছবি কিন্তু ব্যাতিক্রম হলো এবার শুধু বরগুনার তালতলী থেকে প্রকাশিত সংযোগ নামের তালতলী উপজেলা গাইডটিতে।
আগষ্ট মাসে বরগুনার তালতলী উপজেলা থেকে প্রকাশিত সংযোগ নামের তালতলী উপজেলা গাইড-এ স্থান পেল না এবার স্বাধীন বাংলার মহান স্থাপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের কোন ছবি।
সংযোগ নামে এ গাইডটি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে তাতে জামাত-বিএনপি পন্থীদের নাম-ছবি থাকা সত্বেও বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের কোন নাম বা ছবি এবং তালতলীর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা না থাকায় তালতলী উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাসহ তালতলীর গোটা জনমনে এখন চরম ক্ষেভের সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধাদের দাবী শোকের মাস আগষ্ট, আর এ মাসে সংযোগ নামের এ ধরনের একটি গাইড বের হওয়ায় গাইডের প্রথম পৃষ্ঠায় সূচিপত্রে সমাজের সকল শ্রেনী পেশার মানুষের নাম, সরকারী, বে-সরকারী বিভিন্ন অফিস আদালত, হাসপাতাল, চিকিৎসক, চেয়ারম্যান-মেম্বর, গ্রাম পুলিশ, হাট-বাজার, রাজনৈতিক, গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও বিভিন্ন দল ও তার অঙ্গ সংগঠনের নামের তালিকা থাকা সত্বেও স্বাধীন বাংলার মহান স্থাপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের কোন ছবি এবং তালতলী উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামের কোন তালিকা না থাকার পিছনে অবশ্যই কোন না কোন গুরু রহস্য লুকায়িত আছে।
সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের বিষয়টি খুব গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে অন্ততো একবার খতিয়ে দেখা উচিত, মুলত এ সংযোগ গাইডটি কাদের, আর গাইড এর সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত ব্যাক্তিরা কারা, কি ছিল তাদের পূর্বের দল বা পরিচয়।
শোকের মাস আগষ্ট -এ প্রকাশিত এ সংযোগ গাইডের পিছনে মুক্তিযোদ্ধার চেতনায় বিশ্বাসী নয়,স্বাধীনতা বিরধী চক্র বা জামাত-শিবিরের মত এমন কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের আতাত থাকতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন সচেতন মহলের অনেকে।
খোঁজ নিয়ে আর ও জানা যায়, উপজেলার বাজার সংলগ্ন একটি মাদ্রাসার এবতেদায়ী শিক্ষক মুঃ আঃ মুতালিব নামের জনৈক এর সম্পাদনায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা সম্পূর্নরুপে বাদ দিয়ে সংযোগ গাইডটি প্রকাশিত করা হয়েছে।
এদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা বাদ দিয়ে সংযোগ গাইডটি বের করার পর অবস্থা বে-গতি দেখে সু-চতুর ঐ প্রকাশক পিট বাচাঁনোর দায়ে সম্পূর্ন ভূলেভরা মুক্তিযোদ্ধাদের নামের একটি তালিকা ছাপিয়ে সর্ব শেষ পৃষ্ঠা নম্বর দিয়ে সংযোগ গাইর্ডের মাঝখানে অর্থাৎ ২২ পৃষ্ঠ ও ২৩ পৃষ্ঠ মধ্যে আটা দিয়ে জোড়া তালি লাগিয়ে ৬৬ ও ৬৫ পৃষ্ঠা নম্বরের একটি মনগরা তালিকা আটকিয়ে লাগিয়ে দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আরও হেয় প্রতিপন্ন করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এতে উপজেলা কমান্ডারের নাম যথা স্থানে না দিয়ে নিচে দেয়া হয়েছে এবং কোন কোন মুক্তি যোদ্ধার নাম তালিকা থেকে সংযোগে সংযোগ গাইডটিতে বাদ ও পড়ছে।ে এছাড়াও বরগুনা প্রেসক্লাবের সদস্য নয় এমন কিছু কিছু ব্যাক্তির নাম বরগুনা প্রেস ক্লাবের নামের তালিকায় প্রেসক্লাবের সদস্য দেখিয়ে ছাপিয়েছেন, অপর দিকে আমতলী প্রেস ক্লাবের নিয়োমিত সদস্য থাকা সত্বেও একাধিক সদসস্যের নাম আমতলী প্রেসক্লাবের নামের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে সংযোগে ছাপিয়েছেন। সবচেয়ে আশ্চার্যজনক ব্যাপার হচ্ছে তালতলী প্রেসক্লাবের নামের তালিকায় সাংবাদিকতা করেন না বা সাংবাদিক হিসেবে কোন পরিচিতি নেই এমনকি কোন জাতীয় বা আঞ্চলিক পত্রিকার বর্তমান প্রতিনিধি না এমন একাধিক ভুয়া সাংবাদিক এর নামসহ বর্তমানে মৃত্যু এমন ব্যাক্তির নামও তালতলী প্রেসক্লাবের নামের তালিকায় সাংবাদিক দেখিয়ে সংযোগ গাইডটিতে ছাপিয়ে এবং মুক্তিযোদ্ধার চেতনায় বিশ্বাসী এমন একাধিক বরগুনায় কর্মরত সাংবাদিকদের নাম বাদ দিয়ে গাইডটি সর্বত্র বিতরন করে গোটা সাংবাদিক জগতকে কুলোশিত করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
সংযোগ নামের গাইডটি প্রকাশিত হওয়ার পর খোজ নিয়ে আর ও জানাগেছে, গাইডটি প্রকাশকালে বিএনপি দলীয় জনৈক কেন্দ্রীয় নেতার ছত্রছায়ায় বিএনপি দলীয় মালিকানাধীন প্রেস ঢাকা থেকে সু-কৌশলে সংযোগ গাইডটি উদ্দেশ্য প্রমোদিত হয়ে ছাপিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে।
সু-চতুর ঐ প্রকাশক সংযোগ গাইডটির প্রথম দিকে উপদেষ্টা পদে সরকার দলীয় বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তির নাম ব্যাবহার করে সু-কৌশলে ফায়দা লুটে তার উদ্দেশ্য হাছিল করে যাচ্ছে।
সম্পাদক/প্রকাশক, নির্বাহী সম্পাদক, সহকারী সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্ট সংযোগ গাইডের সাথে সম্পৃক্তদের ছাত্র জীবন থেকে শুরু করে জীবন ইতিহাস পর্যালোচনা করলেই বেড়িয়ে আসবে এর আসল রহস্য।
মূলত এরা কারা, কোন দল বা সংগঠনের লোক এরা, কি ছিল তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। এ ছাড়াও ও সংযোগ এর প্রকাশকের বিরুদ্ধে ঢাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যাক্তি প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ও রয়েছে।

 

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply