২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / রাত ১:৫৮/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ১:৫৮ পূর্বাহ্ণ

আনোয়ারা সদরে সড়কের বেহাল দশা- বিপাকে জনসাধারণ

     

মুহাম্মদ ফয়সাল হোসেন

পিএবি সড়কটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। আনোয়ারা-বরকলগামী সব যানবাহন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে। আনোয়ারা সদরের উপর দিয়ে চলাচল করতে হয় হাজার হাজার জনসাধারণকে। আনোয়ারা দিদার মার্কেটের সামনে কার্পেটিং, ইট, বালু, উঠে গিয়ে খানাখন্দে পরিণত হয়েছে এই সড়কটির। ফুলকলি দোকান থেকে শুরু করে জয়কালী হাট পর্যন্ত এই সড়কটি এখন মরণফাঁদ। কোথাও কোথাও বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে ছোট ছোট পুকুরে পরিণত হয়েছে। যার ফলে যানবাহনগুলো অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এজন্য এই সড়কে যাতায়াতকারী স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সাধারণ যাত্রীসহ, দোকান মালিকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দিদার মার্কেটের আল-হারামাইন ইলেক্ট্রনিক্সের স্বত্বাধিকারী মাওলানা নঈম উদ্দিন বাংলাপোস্টবিডিকে জানায়, পূর্ব আনোয়ারাবাসীর গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দিয়ে দৈনিক হাজার হাজার কেইপিজেড শ্রমিক থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী সহ উপজেলার অনেক গুরত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা চলাচল করে। বাস, ট্রাকগুলো চলাচলের সময় পানির সিটকে পড়ে দোকানের বিভিন্ন মালামাল ও সাধারণ জনগণের কাপড়-চোপড় নষ্ট করে দেয়। অনেক সময় চালকের সাথে পথচারী ও দোকান মালিকের সাথে বাকবিতন্ডা লেগে যায়। তিনি আরো বলেন শুরুতে এত গর্ত ছিল না। এখন ছোট বড় অনেক গর্ত হয়েছে। যেখানে সামান্য বৃষ্টি পরলেই পানি জমে গিয়ে পুকুর সৃষ্টি হয়। এবং বিভিন্ন সময় যানবাহন বিকল হয়ে গর্তের মধ্যে আটকে পড়ে ফলে ব্যাপক জ্যামের সৃষ্টি হয়।

সিএনজি চালক মোজাম্মেল জানান, আনোয়ারা সদরের ফুলকলি দোকানের মোড় থেকে আনোয়ারা কলেজ গেইট পর্যন্ত আধাকিলোমিটার রাস্তা যেতে যেখানে ৫-৭ মিনিট সময় লাগার কথা, সড়কটিক বেহাল দশার কারণে সেখানে ২০-২৫ মিনিট সময় লাগছে। রাস্তার এই বেহাল দশার কারণে বিভিন্ন যানবাহনের যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে পড়ে। তাছাড়া যেকোন সময় এই সড়কে বড় ধরণের দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন। সরেজমিনে পরিদর্শনে গেলে, স্থানীয় বাসিন্দা সোহেলে জানান, আজকে বেশ কিছু গাড়ী যাওয়ার সময় বিকল হয়ে যায় এবং মালভাহী ভ্যানগাড়ির চাকা ভেঙ্গে গর্তের মধ্যে আটকা পড়ে। ফলে বিরাট জ্যামের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়দের সহয়তায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। তিনি আরো জানান, প্রথমদিকে বেশ কয়েকটি গর্তের সৃষ্টি হলেও তা ছিল খুব ছোট। এবং তা সংস্কার না করায় এর পাশাপাশি আরো অনেক গর্তের সৃষ্টি হয়ে ছোট ছোট পুকুরে পরিণত হয়। যার ফলে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি চেয়ারম্যান অসীম কুমার দেব বাংলাপোস্ট বিডিকে জানান, এটি আনোয়ারার প্রধান সড়ক। গর্ত সৃষ্টির শুরু থেকেই সড়ক ও জনপদ বিভাগে আমি দরখাস্ত করেছি এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। এখনো কোন সুফল দেখছি না। তার কাছে বর্তমান এই নাজুক অবস্থা অবতরণে পদক্ষেপ কি জানতে চাইলে তিনি জানান, ব্যক্তিগত তহবিল থেকে অল্প কিছুদিনের মধ্যে কিছু ইট, সুরকি দিয়ে আপাতত সংস্কার করার উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। পরবর্তীতে সওজ বিভাগ থেকে অর্থের যোগান পেলে পুরো সংস্কার এর কাজ শুরু করা হবে।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply