২০ এপ্রিল ২০২৪ / ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৪:২৯/ শনিবার
এপ্রিল ২০, ২০২৪ ৪:২৯ অপরাহ্ণ

মৃত্যুকুপে পরিণত পারকি সমুদ্র সৈকত সড়ক!

     

নওশাদ আলী

ঘূর্ণিঝড় মোরার প্রভাব আর ভারী বর্ষণে ধেবে গিয়ে মৃত্যুকুপে পরিণত হয়েছে পারকি সমুদ্র সৈকত সড়ক টি। গত রমজানে ঘূর্ণিঝড় মোরার প্রভাবে পারকি সমুদ্র সৈকতের বুড়ির পুলের অংশে ফাটল সৃষ্টি হয়ে ধেবে যায়। তখন থেকেই সড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিলো। সড়কটি সংস্কারের ব্যপারে শুরু থেকেই কর্তৃপক্ষ ছিলো উদাসীন। ঘূর্ণিঝড় মোরার রেশ কাটতে না কাটতেই লাগাতার ভারী বর্ষণ শুরু হলে সড়কটির বাকি অংশও পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। ঈদের ছুটিতে হাজার হাজার পর্যটক জীবনের ঝুকি নিয়ে এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতেছে। শুধু তাই নয়, জেলেদের আহরিত সামুদ্রিক মৎস্য পরিবহনও এই পথে হয়ে থাকে। ব্যস্ততম এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে বিভিন্ন প্রকারের শত শত যানবাহন।

এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করা হাসান নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, প্রতিদিন ব্যবসায়িক কাজে এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হয় বলতে গেলে জীবনের ঝুকি নিয়েই যাওয়া আসা করি। সডকের এই করুণ অবস্থার সাধারণ যাত্রীকে দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি। ঈদের ৩য় দিন সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় দূর দুরান্ত থেকে আসা পর্যটকরা দুর্ঘটনার ভয়ে গাড়ী থেকে নেমে ভাঙা অংশ হেটে পার হচ্ছে।

সড়কটির ব্যপারে কথা বলার জন্য ২নং বারশত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম,এ কাইয়ুম শাহ’র সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সাথে সাথেই উপজেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগকে অবহিত করা হয়েছিল। উপজেলা থেকে জরুরিভিত্তিতে ৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। উপজেলা থেকে সড়কটি সংস্কারের কাজ পান জসিম এন্ড ব্রাদার্স নামে এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান । এরপর আমি ওমরাহ্‌ করতে চলে যাই। এসে শুনি এখনো পর্যন্ত ঐ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কোন কার্যক্রম শুরু করেননি। আমি আসার সাথে সাথেই উপজেলায় আবারো অবহিত করেছি আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যই কাজ শুরু হবে।স্থানীয়দের অভিযোগ এখনো পর্যন্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কোন কার্যক্রম তাদের চোখে পড়েনি। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির এ অবস্থার সৃষ্টি হলেও কোন ধরণের পদক্ষেপ না নেওয়ায় এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী মানুষেরা ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply