২৩ এপ্রিল ২০২৪ / ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / দুপুর ১২:৫১/ মঙ্গলবার
এপ্রিল ২৩, ২০২৪ ১২:৫১ অপরাহ্ণ

রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে চট্টগ্রামের ভাষাসৈনিকদের অবদান অবিস্মরণীয়

     

 

ভাষা আন্দোলন স্মৃতিরক্ষা পরিষদ চট্টগ্রাম জেলার উদ্যোগে চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ, সমাজকর্মী অমর একুশের ঐতিহাসিক আন্দোলনের মহান ভাষাসৈনিক অধ্যাপক সোলায়মান খান এর ৬২তম মৃত্যু বার্ষিকী স্মরণে এক আলোচনা সভা আজ  মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর দোস্তবিল্ডিং চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। ভাষা আন্দোলন স্মৃতিরক্ষা পরিষদের সভাপতি ইতিহাস গবেষক সোহেল মুহাম্মদ ফখরুদ-দীন এর সভাপতিত্বে অনুষ্টিত এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক সংগঠক বাবুল কান্তি দাশ। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সংগঠক ও সন্দ্বীপনা সাংস্কৃতিক একাডেমীর সভাপতি ভাস্কর ডি কে দাশ মামুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাবন্ধিক ও সাপ্তাহিক পরিস্থিতির সম্পাদক এ.কে.এম আবু ইউসুফ, বিশিষ্ট কবি শিহাব উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার নুর হোসেন, চন্দনাইশ উন্নয়ন ফোরাম চট্টগ্রাম এর সভাপতি মাওলানা রেজাউল করিম তালুকদার, অধ্যাপক দিদারুল আলম, চট্টগ্রাম জেলা স্কাউটস এর সাধারণ সম্পাদক এস.এম শাহনেওয়াজ আলী মির্জা, অমর কান্তি দত্ত, সাংবাদিক ও ছড়াকার সৈয়দ শিবলী সাদিক কপিল, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সাংবাদিক নিজাম উদ্দিন, সফিকুল ইসলাম চৌধুরী, কবি মাহমুদ নয়ন, রাজীব দত্ত, উদয়ন বড়–য়া, এডভোকেট খায়ের আহমেদ প্রমূখ। প্রখ্যাত ভাষাসৈনিক শিক্ষাবিদ চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান অধ্যাপক সোলায়মান খানসহ প্রয়াত ভাষাসৈনিকদের আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করে দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়। সভায় বক্তারা বলেছেন, মাতৃভাষা বাংলা আন্দোলনে সূচনালগ্নে চট্টগ্রামের কৃতি পুরুষ ভাষাসৈনিক অধ্যাপক সোলায়মান খান এর অবদান অপরিসীম। তিনি ভাষা আন্দোলনের স্থপতি অধ্যক্ষ আবুল কাসেম এর সাথে ভাষা আন্দোলনের মুখপত্র সাপ্তাহিক সৈনিক পত্রিকা প্রকাশনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। অধ্যাপক সোলায়মান খান খেলাফত রব্বানী পার্টির প্রথম আহবায়ক ও পরে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে দেশের জন্য ভূমিকা রাখেন। ১৯৫২ সালের ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৩ সালে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, ১৯৫৪ সালে নির্বাচন সংগ্রামে তিনি বলিষ্ট ভূমিকা পালন করেন। চট্টগ্রাম নাইট কলেজে শিক্ষকতাকালীন সময়ে তিনি চট্টগ্রামে তমদ্দুন মজলিসের সাংগঠনিক কার্যক্রম ব্যাপকভাবে পালন করেন। আজকের দিনে অনেক বাঘাবাঘা রাজনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদ ভাষাসৈনিক প্রয়াত সোলায়মান খান এর কর্মী ও সংগঠনের সাথে জড়িত ছিল। ক্ষনজন্মা এই মহাপুরুষ চন্দনাইশ উপজেলা বরকল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৫ সালে কলকাতা থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার পথে রাজবাড়ির অদুরে গোয়ালন্দের মাঝখানে চলমান ট্রেনে সোলায়মান খান শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পরের দিন তাঁকে গোয়ালন্দ হতে অনতিদূরে উজান চর নাজিরুদ্দিন হাই স্কুলের সম্মুখে জানাজার নামায পর তাঁকে ঐ কবরস্থানে দাফন করা হয়।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply