২৪ এপ্রিল ২০২৪ / ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৪:০০/ বুধবার
এপ্রিল ২৪, ২০২৪ ৪:০০ অপরাহ্ণ

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপে উপকূল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা আতংকে আছে উপকূলবাসী

     

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি সাম্প্রতিক সময়ের আবহাওয়া পূর্বাভাসকে টেক্কা দিয়ে আরো বেড়েছে। প্রবল বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে সকালের দিকে উপকূল অতিক্রম করে এটি এখনো অবস্থান করছে। এর প্রভাবে রাজধানী ঢাকাসহ প্রায় সারাদেশেই ভারী ও মাঝারি ধরণের বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। যদিও এটিকে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ের আওতায় আনা হচ্ছেনা, তবুও এটি গভীর উদ্বেগের জন্ম দিয়ে খেপুপাড়াসহ বাংলাদেশি উপকূলাঞ্চল দিয়ে ভোর সাড়ে ৪টা থেকে সাড়ে ৫টার মধ্যে অতিক্রম করেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য হিন্দু বিসনেস লাইন’ এ এমন সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে।
এই নিম্নচাপের প্রভাবে গতকাল বিকালে কোথাও কোথাও বৃষ্টি হলেও গত রাত থেকে একটানা বৃষ্টি হচ্ছে। আজ সোমবারও বৃষ্টি চলবে বলে আবহাওয়ার অধিদপ্তর জানিয়েছে। এর সঙ্গে দমকা হাওয়া ও ভারী বা অতি ভারী বৃষ্টির কথা বলা হয়েছে। নিম্নচাপের ফলে সমুদ্র এলাকায় ৩ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়। ওইসব এলাকায় নৌযানগুলোকে নিরাপদ স্থানে নেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটিতে আরো বলা হয়, এই ধরণের নিম্নচাপের ব্যাপারে কোনো পূর্বাভাস দেয়া সম্ভব হয়না। এতে সাম্প্রতিক সময়ে বঙ্গোপসাগর ও আরব উপসাগর থেকে উৎপন্ন নিম্নচাপগুলোকে খুবই উদ্বেগের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি) গত বৃহস্পতিবার এই নিম্নচাপটির পূর্বাভাস দেয়। এছাড়া মার্কিন জাতীয় কেন্দ্রসহ আরো কয়েকটি কেন্দ্র তাদের পরিবেশগত পূর্বাভাসে বাংলাদেশের উপকূলে এ ধরণের বর্ষাকালীন নিম্নচাপ সৃষ্টির ধারণা দিয়েছিল।
এদিকে বাংলাদেশের আবহাওয়া বিভাগ থেকে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- ঢাকা, বরিশাল, ময়মনসিংহ, খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের অধিকাংশ এলাকা এবং রংপুর ও রাজশাহীর কয়েকটি এলাকায় ঝড়ো হওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।
পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু সারাদেশে প্রভাব বিস্তার করতে পারে। ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে ১১৭ মিলিমিটার এবং সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাত ১ মিলিমিটার রংপুরে। আর এর ফলে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে পানির স্বাভাবিক উচ্চতা বেড়ে যেতে পারে। দেশের উজান অঞ্চলের পানি সমুদ্রে নেমে যাওয়ার সময় উপকূলসহ চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত করে যেতে পারে। সুত্র  দ্য হিন্দু বিসনেস লাইন।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply