২৪ এপ্রিল ২০২৪ / ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৩:৩৪/ বুধবার
এপ্রিল ২৪, ২০২৪ ৩:৩৪ অপরাহ্ণ

মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ খান বাঘা’র ইন্তেকাল, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় আজ দাফন

     

 

পাহাড়তলী থানাস্থ ১২নং ওয়ার্ড সরাই পাড়া নিবাসী যুদ্ধকালিন কমান্ডার, পাহাড়তলী থানার দীর্ঘদিনের দায়ীত্ব পালনকারী কমান্ডার, পাহাড়তলী বনিক সমিতির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ খান বাঘা ৩ জুন শনিবার বিকাল ৫টায় মেহেদীবাগস্থ মেক্স হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়াবন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেন (ইন্না —– রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বৎসর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলে, ১মেয়ে, জামাতাসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী, আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব রেখে যান।আজ ৪ জুন রবিবার বাদ জোহর পাহাড়তলী হাজী ক্যাম্প জামে মসজিদে মরহুমের নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। যানাজা শেষে হাজী ক্যাম্প মাঠে মরহুমকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান করা হয়। রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে চট্টগ্রাম জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান চৌধুরী, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হাসান বিন আলী ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে হাবিলদার মনিরুদ্দিন নেতৃত্বে মরহুমকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফ্ফর আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা  জাহাঙ্গীর চৌধুরী সি.এন.সি (স্পেশাল), ডেপুটি কমান্ডার শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ, জেলার ডেপুটি কমান্ডার সরোয়ার কামাল দুলু, মহানগর সহকারী কমান্ডার আবুল কাসেম, ভারপ্রাপ্ত মেয়র নিছার আহমদ মঞ্জু, খুলশী থানা কমান্ডার মুহাম্মদ ইউসুপ, আকবর শাহ থানা ডেপুটি কমান্ডার নুর উদ্দিন, সদরঘাট থানা কমান্ডার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার হাজী জাফর আহমদ, মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, পাহাড়তলী থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আসলাম, ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছাবের সওদাগর, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি আমীর হুমায়ুন সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন রাজনীতিক দলের নেতৃবৃন্দ, পাহাড়তলী চাউল বাজার বনিক সমিতির নেতৃবৃন্দ সহ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সুচনা লগ্নে অবাঙ্গালীরা পাহাড়তলী এলাকায় নিরিহ বাঙ্গালীদের উপর যখন অমানষিক হত্যা লিলা শুরু করে তখন বীরদর্পে এই মহান ব্যক্তি ফরিদ খান বাঘা প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। পরবর্তীতে পাকিস্তানী সরকার তাঁকে জীবিত অথবা মৃত অবস্থায় ধরে দিতে পারলে তখনকার সময়ে ১১ হাজার টাকা পত্রিকা ও রেডিও এর মাধ্যমে পুরস্কার ঘোষণা করে। পরবর্তীতে তিনি ভারতের চাকলিয়া ট্রেনিং ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে গ্রুপ কমান্ডার হিসেবে (গ্রুপ নং-৯৬) বাংলাদেশে গ্রুপ নিয়ে প্রবেশ করে চট্টগ্রাম শহরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনের নেতৃত্ব দেন।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply