২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / রাত ১২:০৩/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ১২:০৩ পূর্বাহ্ণ

লোহাগাড়া থানার ওসিসহ পুলিশের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা  মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে সংবাদ সম্মলনে দাবী

     


গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মাদ শাহাজাহান পিপিএম স্থানীয় সাংবাদিকদের নিয়ে এক সংবাদ ব্রিফিং এর আয়োজন করেন। তাৎক্ষণিকভাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওসি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা মিথ্যা,ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক। কুচক্রী মহলের কথায় থানা পুলিশের মানহানি করার জন্যে এই মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
লোহাগাড়া থানার ওসি আরোও জানান, আধুনগর সর্দ্দানী পাড়ার ছিদ্দিক আহমদের পুত্র দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ২টি মামলা রয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ১২ মে দুপুর দেড়টায় তাকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় আসামী দেলোয়ার হোসেন পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ তাকে আটকের চেষ্টা করলে তিনি পুলিশের ওপর এলোপাতাড়িভাবে কিল ঘুষি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে দেলোয়ারের ভাই হারুনুর রশিদ ওরফে বিল্ডার হারুন ওরফে ক্যাডার হারুন (২৮), আনোয়ার হোসেন (১৯), বেলাল উদ্দিন (৩১), হামিদা বেগম (২২), মায়মুনা বেগম (২২) সহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজন পুরুষ-মহিলা ঘটনাস্থলে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ এসে পুলিশের উপর হামলা করে। এ সময় লোহাগাড়া থানার এ,এসআই ফখরুল ইসলাম পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে হাড় ভেঙ্গে গুরতর আহত হয়। পরে স্থানীয় ইউপি মেম্বারের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে লোহাগাড়া থানার অন্যান্য ফোর্স দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং পুলিশ ফোর্সদের উদ্ধার করেন।

ঘটনার এক পর্যায়ে পুলিশের ওপর হামলাকারীরা পালানোর সময় দেলোয়ার হোসেনের ভাই আনোয়ার হোসেনকে আটক করা হয়। আসামী দেলোয়ার হোসেনসহ অন্যান্যদেরকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। আহত লোহাগাড়া থানার এএসআই ফখরুল ইসলামকে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসার পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

লোহাগাড়া থানার এসআই মুহাম্মদ সোলাইমান জানান, তিনি গত ২ মে থেকে ১৩ মে পর্যন্ত সাময়িক ছুটিতে ছিলেন। ছুটিতে থাকা অবস্থায় তিনি কিভাবে অপরাধে জড়িত হয় এবং দুটি মামলায় আসামী হয় প্রশ্ন রাখেন। গত ১১ এপ্রিল সাতকানিয়া থানাধীন এলাকায় মামলার অন্যতম আসামী হারুন আমাকে (এসআই সোলাইমান) চাকুরীচ্যুত করার হুমকী দেয়। তারই প্রেক্ষিতে আমি সাতকানিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরীও করি। সেই ক্ষোভে আমাকে আসামী করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিরপেক্ষ তদন্ত দাবী করছেন।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply