বঙ্গবন্ধু একাডেমির স্মরণ অনুষ্ঠান বিজ্ঞানের প্রতিটি শাখায় গবেষণার মাধ্যমে খ্যাতিমান হন ড. ওয়াজেদ মিয়া-আ.জ.ম. নাছির উদ্দিন
আন্তর্জাতিক পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম.এ. ওয়াজেদ মিয়ার ৮ম মৃত্যু বার্ষিকী পালনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু একাডেমি চট্টগ্রাম মহানগর আয়োজিত চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ মিলনায়তনে নাগরিক স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চসিক মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিন বলেছেন, দেশের অনন্য ব্যক্তিদের মধ্যে একজন ড. ওয়াজেদ মিয়া। বিজ্ঞানের প্রতিটি শাখায় তিনি গবেষণা চালিয়ে আন্তর্জাতিক পরমাণু বিজ্ঞানী হিসেবে আসীন হয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, ড. ওয়াজেদ মিয়াকে নিয়ে এখন গবেষণার সময় এসেছে। তাঁকে জাতীয়ভাবে মূল্যায়ন করা খুবই জরুরী। ড. ওয়াজেদ মিয়ার স্মৃতি রক্ষার্থে জাতীয়ভাবে একটি গবেষণা সেল গঠনের জন্য আহ্বান জানান।
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম.এ. সালাম প্রধান বক্তার বক্তব্যে বলেন, ড. ওয়াজেদ মিয়া পরমাণু বিজ্ঞানীর পাশাপাশি একজন সত্যবাদী ইতিহাসবিদ ছিলেন। তিনি আরও বলেন, তাঁহার মেধা, মনন সব সময় প্রগতিশীল রাজনীতির প্রতি আসক্ত ছিল। জীবদ্দশায় তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে একজন অনন্য ব্যক্তি ছিলেন এবং বঙ্গবন্ধুও ড. ওয়াজেদ মিয়াকে খুব পছন্দ করতেন। চবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আক্তার বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, নির্লোভ, নিরহংকারী ও একজন সাদা মনের মানুষ ছিলেন ওয়াজেদ মিয়া। কর্মজীবনে তিনি নিজের জন্য অনেক কিছু করতে পারতেন কিন্তু সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে স্বোচ্চার ছিলেন ওয়াজেদ মিয়া।
চসিক প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, সারা জীবন দেশকে ভালবেসে এবং দেশের জন্য নিঃস্বার্থ কাজ করে গেছেন ড. ওয়াজেদ মিয়া। তিনি বলেন, তাহার দুই রতœ সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল অনুপম কর্মকাণ্ডের জন্য বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত লাভ করতে সক্ষম হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু একাডেমি চট্টগ্রাম মহানগর আহ্বায়ক সাংবাদিক আলী আহমেদ শাহীনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সাংবাদিক সৈয়দ দিদার আশরাফী ও আবৃত্তিশিল্পী দিলরুবা খানমের যৌথ সঞ্চালনায় এতে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক নাট্যজন সজল চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন রাজনীতিক আকতার উদ্দিন মাহমুদ পারভেজ, সুমন দেব নাথ, এ.কে. জাহেদ চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমদ, ভানুরঞ্জন চক্রবর্ত্তী, আনসারুল হক আনসার, সেলিম চৌধুরী, হেফাজতুল ইসলাম চৌধুরী, কাজী মোঃ আইয়ুব, মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন হায়দার, মুক্তিযোদ্ধা এস.এম. আবু তাহের, মুক্তিযোদ্ধা এস.এম. নুরুল আমিন, ব্যাংকার ফাতেমা আক্তার, রোজী চৌধুরী, ডা. দুলাল কান্তি চৌধুরী, স্বপ্না চক্রবর্ত্তী, কৃষ্ণা দাশ, নীলা বোস, লায়ন ছাবের আহমদ, অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম খান, পারভীন আক্তার চৌধুরী, ছাবের আহমদ, রিমন মহুরী, এস.এম. শফিকুর রহমান, আহমদ এরশাদ খোকন, সেলিম উদ্দিন ডিবলু, আনিস আহমেদ খোকন, হারুন উর রশিদ, মোখলেছুর রহমান, সৈয়দ জাহিদ হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সামশুদ্দীন, দিলারা মৌ, এ.কে.এম. মজিবুর রহমান, জামাল উদ্দিন, হারুন উর রশিদ, বিপ্লব দাশ গুপ্ত, শ্রীমৎ উপেক্ষা পাল ভিক্ষু, মুক্তিযোদ্ধা এম এ সালাম, প্রকৌশলী মৃনাল কান্তি বড়ুয়া, বাপ্পী চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার আবুল কাশেম, মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান মিলন, আ.ম. হেদায়েত হোসেন সোহেল, মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত হোসেন, ,আলতাফ হোসেন হৃদয়, আসিফ ইকবাল, ইমরান সোহেল প্রমুখ। স্মরণ সভায় ১০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া স্মারক সম্মাননা প্রধান করা হয়।