মুস্তাক মুহাম্মদ এর ধর্ষণের বিরুদ্ধে কবিতাগুচ্চ-১
ধর্ষিতর চিৎকার: তবু চুপ
ধর্ষিত শশীলতাদের চিৎকার
আর সহ্য করতে পারি না!
প্রতিনিয়ত নারকীয় রূপে কামদেবরা জেগে উঠছে-
শিশু বোন মা কিছুই মানছে না!
এই আমার বাংলাদেশ!
যেখানে ধর্ষিতর চিৎকারে বাতাস ভারী হয়,
জীবন দিতে হচ্ছে মেয়ের বাবার,
ভাইরাল হচ্ছে ধর্ষণের ভিডিও
তবু আমাকে চুপ থাকতে হচ্ছে
মদনদেবের হাত যে লম্বা
আর কত ! আর কত !
তারিখ: ১০/০৫/২০১৭, বাঁকড়া পাঁচপোতা, যশোর।
ভাল আছি অন্ধ হয়ে
আমি কোনো মেয়ের পিতা
আমার সোনা মনি স্কুলে যায়
আদর করে গলা জড়ায়ে ধরে
আব্বু বলে ডাকে;
আমার হৃদয়ে স্বর্গীয় আনন্দ
দক্ষিণা বাতাসের মতো বয়ে যায।
ওর অভিমানী ঠোঁটের কাছে
পৃথিবীর সব মানিক্য মলিন হয়ে যায়।
আমার মেয়ে আজ নিরাপদ নই
আতঙ্কে থাকি কখন কি হয়!
হে আমার বাংলাদেশ
এতোদিন তোমাকে লুটেপুটে খেয়েও হয় নি
নরপিচাশদের। এখন শিশু বাচ্চার ক্ষত বিক্ষত
নিথর দেহটা দেখতে হচ্ছিল আমাকে!
এখন আমি অন্ধ হয়ে গেছি!
বাংলাদেশের রক্তাক্ত দেহটা
দেখার চেয়ে অন্ধকারে ভাল থাকি।
তারিখ : ১০/০৫/২০১৭, বাঁকড়া পাঁচপোতা, যশোর।
আমি বয়রা হয়ে গেছি
পৃথিবীর সবচেয়ে যন্ত্রণাকর চিৎকার
যেদিন শুনেছি,
আমার দশ বছরী মেয়েটা যেদিন
রক্তাক্ত ক্ষত বিক্ষত শরীর নিয়ে
আমার সামনে চিৎকার করে কেঁদে ছিলো
আমি সেদিন থেকে বয়রা হয়ে গেছি!
তারিখ: ১০/০৫/২০১৭, বাঁকড়া পাঁচপোতা, যশোর।
এগিয়ে আসুন : শশীলতাদের জন্য
এখন যেভাবে নৈতিকতার অবক্ষয় ঘটছে
তা রোধ করা সবচেয়ে প্রয়োজন।
এগিয়ে আসি বাংলাদেশের মানুষেরা
আমার মেয়ের জন্য একটি নিরাপদ
বাংলাদেশ গড়ার জন্য।
ও যেনো নিরাপদে স্কুলে যেতে পারে
ওর পৃথিবীটা যেনো নিরাপদ হয়।
আর কোনো ধর্ষিত শশীলতার চিৎকার
আমরা শোনবো না।
আমরা শশীলতাদের সাফল্যর কাহিনী শুনবো।
এগিয়ে আসুন সংগ্রামী বাঙালি ভাইয়েরা,
সন্তানের পিতারা, শশীলতাদের ভালবাসি।
তারিখ: ১০/০৫/২০১৭, বাঁকড়া পাঁচপোতা, যশোর।