১৮ এপ্রিল ২০২৪ / ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ১১:৫৬/ বৃহস্পতিবার
এপ্রিল ১৮, ২০২৪ ১১:৫৬ অপরাহ্ণ

খাগড়াছড়িতে শিক্ষিকার অপসারণ ও শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন

     

 

খাগড়াছড়ি,প্রতিনিধি॥ খাগড়াছড়ি জেলা সদরের মুসলিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকার অপসারণ ও শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিদ্যালয়টির সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।অভিভাবক,সমাজ কমিটি ও সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে লিক্ষিত বক্তব্যে,মুসলিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই সহকারী শিক্ষিকা মোবাইলে নিজের একাধীক অশ্লীল ভিডিও ও ছবি ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রচারের মাধ্যমে সামাজিক পরিবেশ ও মূল্যবোধ নষ্টের অভিযোগ এনে তার বিচার ও চাকুরি থেকে অপসারণের দাবি করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মুসলিমপাড়া স্থানীয় এলাকাবাসী, মো: সেলিম খান, মো: জানু শিকদার, মো: ইলিয়াছ ও রাবেয়া খাতুন প্রমুখ।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, যে শিক্ষিকা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেই নিজের অনৈতিক ও অশ্লীল ভিডিও করে প্রকাশ করতে পারে তার কাজ থেকে কমলমতি শিশুরা কি শিক্ষা নিবে। এ সব মানুষ সমাজের অবক্ষয়ের জন্য দায়ী বলেও মন্তব্য করে অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে এলাকাবাসী স্কুল বর্জনসহ কঠোর কর্মসূচি দেয়ার ঘোষণা দেয় তারা।

তারা আরো অভিযোগ করেন, চারিত্রিকভাবে হীন মানসিকতার ওই শিক্ষিকার স্বামী সময় টেলিভিশন ও দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকার সাংবাদিক হওয়ায় তার প্রভাব দেখিয়ে নিয়মিত বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন। আবার নিজেকে নৃত্যশিল্পী জাহির করে জেলা শিল্পকলা একাডেমী ও ঝর্ণাধারা’র কচিকাঁচার আসরের কর্মকর্তা হবার অজুহাতেও যখন খুশী তখনই বিদ্যালয় ত্যাগ করেন।

এবিষয়ে,খাগড়াছড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ডিপিইও) ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন জানান, অভিযুক্ত শিক্ষিকা বর্তমানে ছুটিতে আছেন। সমস্যাটি তার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কলহজনিত। এতদিন কেউ অভিযোগ করেনি। তবে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বুধবার একটি লিখিত অভিযোগ পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে দেয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান মহোদয়ের নির্দেশনা পেলে সরকারি চাকুরিবিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply