২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৩:৩২/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ৩:৩২ অপরাহ্ণ

বিনা নোটিশে ইনকিলাবে গণছাঁটাই

     

দৈনিক ইনকিলাবের  সাংবাদিক, কর্মকতা-কর্মচারীসহ প্রায় ৬০ জনকে বিনা নোটিশে ছাঁটাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া পত্রিকাটিতে যারা কর্মরত আছেন তাদেরকে ওয়েজবোর্ডের পরিবর্তে নির্ধারিত বেতনে চাকরিতে বাধ্য করা হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে ইনকিলাবের বিশেষ প্রতিনিধি ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা বলেন, ‘২১ জন সাংবাদিকসহ বিভিন্ন সেকশন থেকে প্রায় ৬০ জনকে ছাঁটাই করা হয়েছে। সংবাদকর্মীদের অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবটা এমন- কেউ যদি হিসেব-নিকেশ করে ১০০ টাকা পায় তবে তাকে ৩০ টাকা দেওয়া হবে। ৭০ টাকা দেওয়া হবে না। এর জন্য ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে লিখিত দিতে হবে আমরা সমস্ত পাওনা বুঝে পেলাম। এই প্রস্তাব যারা মানেনি তাদেরকে গণছাঁটাই করা হবে।’
বিনা নোটিশে ইনকিলাবে গণছাঁটাই
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির এই সভাপতি বলেন, ‘আমাদের ২৬ মাসের বকেয়া বাকি আছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ইনকিলাবে যাদেরকে রাখা হবে ওয়েজবোর্ড বাতিল করে কনসোলেটেড ওয়েতে (নির্ধারিত বেতন) চাকরি করতে হবে। এই শর্তে যারা থাকবেন তাদেরকে রাখা হবে।’

কর্মী ছাঁটাই বিষয়ে জানতে চাইলে পত্রিকাটির প্রধান হিসাব কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, আমি একটু ঝামেলায় আছি। এখন কথা বলতে পারব না।

এদিকে ইনকিলাবে গণচাকরিচ্যুতির ঘটনায় উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশ। বিএফইউজে সভাপতি শওকত মাহমুদ ও মহাসচিব এম আবদুল্লাহ এবং ডিইউজে সভাপতি আবদুল হাই শিকদার ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান এক যুক্ত বিবৃতিতে এ নিন্দা ও উদ্বেগ জানান।

বিবৃতিতে তারা বলেন, গত কয়েক দিনে দৈনিক ইনকিলাবের ২১ জন সাংবাদিককে বিনা নোটিশে ছাঁটাই এবং আরও বহু সংখ্যক সাংবাদিককে ওয়েজবোর্ডের পরিবর্তে নির্ধারিত বেতনে চাকরিতে বাধ্য করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দৈনিক ইনকিলাব দেশের ঐতিহ্যবাহী ও শীর্ষস্থানীয় জাতীয় দৈনিক। দেশের বিভিন্ন ক্রান্তিকালে পত্রিকাটি গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মেহনতি মানুষের পক্ষে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে প্রশংসিত হয়েছে। সেই পত্রিকায় নির্বিচারে ও গণহারে সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুতি অনাকাঙ্খিত ও অনভিপ্রেত।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, দেশের প্রচলিত আইনে যে কোন গণমাধ্যমের কর্মীকে ছাটাই করার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু সেটা করতে হবে পূর্বনোটিশ দিয়ে এবং সর্বশেষ ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার মাধ্যমে। অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের সঙ্গে আমরা লক্ষ্য করছি যে, দৈনিক ইনকিলাব প্রচলিত আইন-কানুন, বিধি-বিধান এমনকি ন্যুনতম মানবিক বিবেচনাবোধের তোয়াক্কা না করে গণছাটাই করে চলেছে। কোন দায়িত্বশীল গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের কাছে এমন আচরণ অগ্রহণযোগ্য।

সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে দৈনিক ইনকিলাবে গণচাকরিচ্যুতির আদেশ প্রত্যাহার, সাংবাদিকদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ ও কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জোর দাবী জানান।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply