২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৩:৫৮/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ৩:৫৮ অপরাহ্ণ

ফটিকছড়ি নতুন ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ দলীয় মনোনয়ন পেলেন শহিদুল আলম

     

দিদার কাদেরী

ফটিকছড়ি উপজেলার নানুপুর ইউনিয়নের ৭, ৮ এবং ৯ নং ওয়ার্ডকে বিভক্তি করে আলাদা ইউনিয়ন রুপান্তর করার জন্য ১৯৯৬-৯৭ সাল হতে সরকারী-বেসরকারীর উচ্চ মহল পর্যায়ে গণ স্বাক্ষরসহ বিভিন্ন দৌড় ঝাপ দিয়ে, ২০০০ সালের ২১সেপ্টেম্বর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সকল মন্ত্রনালয়,বিভাগ,সংযুক্ত অধীনস্থ দপ্তর সমূহ এবং বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট কর্তৃক জারীকৃত বিধি ও আদেশাবলী সম্বলিত বিধিবদ্ধ প্রজ্ঞাপন সমূহ। নং অম/অবি/ব্যাংকিং/শাখা-১/পবি-৩/২০০০ (অংশ -১) ৩৯৪-বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক অর্ডার, ১৯৭৩ (প্রেসিডেন্টস অর্ডার নং ২৭) এর ৮(১) ধারার বিধান মোতাবেক বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক মোরশেদুল আলম কাদেরী, মেম্বার কর্তৃক গেজেট আসে প্রস্তাবিত ২১ নং খিরাম আলাদা ইউনিয়ন করার। এ খবর পেয়ে খিরামবাসী আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেন। এর কিছুদিন পরে ২০০৬ সালের ১১ জুলাই সরকার কর্তৃত জারীকৃত গেজেটে সীমানা র্নিধারনী জটিলতার পরিপেক্ষিতে মোহাম্মদ ইউনুুছ, পিতা-মৃত খায়রুজ্জমান, সাং-ঢালকাটা,উপজেলা ফটিকছড়ি,জিলা-চট্টগ্রাম আপীল্যান্ট বনাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম। উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও ডিলিমিটেশন অফিসার ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম-রেসপন্ডেন্ট। জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম বরাবরে আলাদা ইউনিয়ন না করার জন্য সীমানা নির্ধারনী দেখিয়ে না দাবী করেন।
মামলার কারনে দীর্ঘ দিন নির্বাচন বন্ধ থাকে।

উল্লেখ্য,২০০০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সরকারের সকল মন্ত্রনালয়, বিভাগ, সংযুক্ত অধীনস্থ দপ্তর সমূহ এবং বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট কর্তৃক জারীকৃত বিধি ও আদেশাবলী সম্বলিত বিধিবদ্ধ প্রজ্ঞাপন কর্তৃক ২১ নং খিরাম ইউনিয়নের গেজেট প্রকাশ হয় । এর পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রীমকোর্টে ১৪ নানুপুর ইউপির জনৈক সদস্য সীমানা নির্ধারনী দেখিয়ে মামলা করে। দীর্ঘ দিন আইনি লড়াইয়ের পর গত ১১/০৫/২০১৭ ইং তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার ২১ নং খিরাম ইউনিয়নের পক্ষে মহামান্য হাইকোর্ট রায় দেন।

পরিশেষে নানুপুর ইউনিয়ন পরিষদ ও নবগঠিত খিরাম ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন আগামী ২৮ শে ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে গত (২২ জানুয়ারী) বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করেছেন।
এ সংক্রান্ত ফটিকছড়ি উপজেলা রিটার্নিং অফিসার বরাবর এবং কার্যালয়ে এক গণবিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, আগামী ২৮ শে ফেব্রুয়ারি উপজেলার নানুপুর ইউনিয়ন এবং নবগঠিত খিরাম ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে  একটি চিঠি এসেছে নির্বাচন কমিশন থেকে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ৩১ শে জানুয়ারি মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিন, ৩ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই, ১০ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন এবং ২৮ শে ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য রিট পিটিশনের স্থগিতাদেশ থাকায় ২০১১ ও ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনেও এই দুই ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।

সর্বশেষ ২০০৩ সালের ইউপি নির্বাচনে এই নানুপুর ইউপিতে আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ ওসমান গনি বাবু চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

নানুপুর ও খিরাম ইউনিয়নের বিভিন্ন জনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য দক্ষিণ খিরাম থেকে ৫ জন, মধ্যম খিরাম থেকে ৪ জন এবং উত্তর খিরাম থেকে ৩ জন সম্ভাব্য প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য উপজেলা আওয়ামীলীগ বরাবর আবেদন করেছেন।
এতে কেন্দ্রীয় দলের যাচাই বাছাই শেষে দুই ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ দলীয় দুই প্রার্থী যথাক্রমে নানুপুর ইউনিয়ন হতে সৈয়্যদ ওসমান গনি বাবু, ও খিরাম ইউনিয়ন হতে মুহাম্মদ শহিদুল আলম কে দলীয় ভাবে মনোনয়ন দেওয়া হয়।

 

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply